Dhaka 6:06 am, Monday, 6 May 2024

আদমদীঘিতে তীব্র রোদ্রের দাবাদাহ রোগির চাপ হাসপাতালে

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কয়েকদিনের টানা রোদ্রের দাবদাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। একদিকে মানুষের ঘর থেকে তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছে  অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। সাধারন শ্রমিক থেকে খেটেখাওয়া মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। এছাড়া ঘন ঘন  বিদ্যুৎ এর লোড শেডিং এর কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে।   উপজেলার সদর  ৫০ শয্যা হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের রোগি ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।  এ ছাড়া রয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া আসা। প্রতিদিন ৮/৯ বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। চলমান তীব্র দাপদাহের কারণে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৮ এপ্রিল খুলবে বলে সরকার ঘোষনা দিয়েছে আজ। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে উপজেলাবাসীর। গরম থেকে বাঁচতে বারবার গোসল ও পুকুর-ডোবায় গা ভিজিয়ে প্রশান্তি নিচ্ছেন অনেকেই।
ডাব,কলা,তরমুজ,আনারস,পেয়ারা, জামরুল, পেপে সহ রসাল বিভিন্ন ফলের কদর বেড়ে গেছে। ফলের দামও অনেক গুন বেড়ে গেছে। উপজেলায় তীব্র গরমে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। উপজেলায় রয়েছে একটি হাসপাতাল, কয়েকটি ক্লিনিক, আছে চালকলসহ আছে নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প ও কল-কারখানায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তীব্র তাপদাহে কারনে মৌসুমী জ্বর,সর্দি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার ফার্মেসিগুলিতে প্যারাসিটামল, এলার্জি জাতীয় ওষুধ, ওর স্যালাইন টেস্টি স্যালাইন, গ্লুকোজ ওষূধ বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ডাব বিক্রির চাহিদাও বেড়ে গেছে । সোনা মিয়া নামের একজন রিকসাচালক জানান  প্রচন্ড গরমের কারনে জীবন হিমসিম। জ্যৈষ্ঠ মাস তবু বৃষ্টির দেখা নাই। স্থানীয়  চিকিৎসক ডাঃ হামিদুর রহমান রানা জানান গরম থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ছাড়া রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পানি শসা, লেবু, লেবুর রস, পানি ও ফলের রস বেশি করে খেতে হবে। মাঝে মধ্যে ঠান্ডা পানিতে গামছাজাতীয় কিছু দিয়ে গা মুছে নেওয়া ভালো। হালকা সুতি কাপড় পরতে হবে এই গরমে। আর তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে এসি বাদ দিয়ে খোলা বাতাস গ্রহন করতে হভে। তবেই এই গরমে সুস্থ থাকা যাবে। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ ফজলে রাব্বী জানান তীব্র তাপদাহে সবাইকে যতটুকু সময় পারা যায় ঘরে থাকতে হবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া তিব্র রোদে বাহিরে না যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে মাথায় ছাতা দিয়ে চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক ওর ছোট বাচ্চাদের প্রতি  খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে এবং পুষ্টিকর ফল খেতে হবে। সাবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

One thought on “আদমদীঘিতে তীব্র রোদ্রের দাবাদাহ রোগির চাপ হাসপাতালে

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

আদমদীঘিতে তীব্র রোদ্রের দাবাদাহ রোগির চাপ হাসপাতালে

Update Time : 06:15:43 pm, Tuesday, 23 April 2024
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কয়েকদিনের টানা রোদ্রের দাবদাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। একদিকে মানুষের ঘর থেকে তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছে  অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। সাধারন শ্রমিক থেকে খেটেখাওয়া মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। এছাড়া ঘন ঘন  বিদ্যুৎ এর লোড শেডিং এর কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে।   উপজেলার সদর  ৫০ শয্যা হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের রোগি ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।  এ ছাড়া রয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া আসা। প্রতিদিন ৮/৯ বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। চলমান তীব্র দাপদাহের কারণে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৮ এপ্রিল খুলবে বলে সরকার ঘোষনা দিয়েছে আজ। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে উপজেলাবাসীর। গরম থেকে বাঁচতে বারবার গোসল ও পুকুর-ডোবায় গা ভিজিয়ে প্রশান্তি নিচ্ছেন অনেকেই।
আরো পড়ুন:আদমদীঘিতে বাড়ির রাস্তায় যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ
ডাব,কলা,তরমুজ,আনারস,পেয়ারা, জামরুল, পেপে সহ রসাল বিভিন্ন ফলের কদর বেড়ে গেছে। ফলের দামও অনেক গুন বেড়ে গেছে। উপজেলায় তীব্র গরমে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। উপজেলায় রয়েছে একটি হাসপাতাল, কয়েকটি ক্লিনিক, আছে চালকলসহ আছে নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প ও কল-কারখানায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তীব্র তাপদাহে কারনে মৌসুমী জ্বর,সর্দি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার ফার্মেসিগুলিতে প্যারাসিটামল, এলার্জি জাতীয় ওষুধ, ওর স্যালাইন টেস্টি স্যালাইন, গ্লুকোজ ওষূধ বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ডাব বিক্রির চাহিদাও বেড়ে গেছে । সোনা মিয়া নামের একজন রিকসাচালক জানান  প্রচন্ড গরমের কারনে জীবন হিমসিম। জ্যৈষ্ঠ মাস তবু বৃষ্টির দেখা নাই। স্থানীয়  চিকিৎসক ডাঃ হামিদুর রহমান রানা জানান গরম থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ছাড়া রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পানি শসা, লেবু, লেবুর রস, পানি ও ফলের রস বেশি করে খেতে হবে। মাঝে মধ্যে ঠান্ডা পানিতে গামছাজাতীয় কিছু দিয়ে গা মুছে নেওয়া ভালো। হালকা সুতি কাপড় পরতে হবে এই গরমে। আর তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে এসি বাদ দিয়ে খোলা বাতাস গ্রহন করতে হভে। তবেই এই গরমে সুস্থ থাকা যাবে। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ ফজলে রাব্বী জানান তীব্র তাপদাহে সবাইকে যতটুকু সময় পারা যায় ঘরে থাকতে হবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া তিব্র রোদে বাহিরে না যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে মাথায় ছাতা দিয়ে চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক ওর ছোট বাচ্চাদের প্রতি  খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে এবং পুষ্টিকর ফল খেতে হবে। সাবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।