Dhaka 7:53 pm, Saturday, 18 May 2024

বসত ঘরে বজ্রপাত, আগুনে পুড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি গ্রামে বজ্রপাতে মা ও শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দীঘিনালার মধ্য বেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে মা-ছেলে অঙ্গার হয়ে গেছেন। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী গাড়ি চালক ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।

খবর পেয়ে হাসিনা বেগমের স্বামী পানছড়ি থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতের ভাশুর আবদুর রহিম জানান, মা-ছেলেসহ তিন জন একই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় শেষ রাতের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। পরে তাদের টিনের চালার মাটির ঘরে আগুন লাগলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। যাতে মা ও শিশু সন্তানের মৃত্যু ঘটে। ওই পরিবারের বড় ছেলে হাফিজকে অক্ষত অবস্থায় বের করেছেন প্রতিবেশীরা। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক জানান, লাশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সারাদেশে বজ্রপাতে মোট ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, রাঙামাটিতে ৩ জন, কক্সবাজারে ২ জন, খাগড়াছড়িতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

One thought on “বসত ঘরে বজ্রপাত, আগুনে পুড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

বসত ঘরে বজ্রপাত, আগুনে পুড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

Update Time : 11:37:08 am, Sunday, 5 May 2024

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি গ্রামে বজ্রপাতে মা ও শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দীঘিনালার মধ্য বেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে মা-ছেলে অঙ্গার হয়ে গেছেন। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী গাড়ি চালক ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।

খবর পেয়ে হাসিনা বেগমের স্বামী পানছড়ি থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতের ভাশুর আবদুর রহিম জানান, মা-ছেলেসহ তিন জন একই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় শেষ রাতের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। পরে তাদের টিনের চালার মাটির ঘরে আগুন লাগলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। যাতে মা ও শিশু সন্তানের মৃত্যু ঘটে। ওই পরিবারের বড় ছেলে হাফিজকে অক্ষত অবস্থায় বের করেছেন প্রতিবেশীরা। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক জানান, লাশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সারাদেশে বজ্রপাতে মোট ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, রাঙামাটিতে ৩ জন, কক্সবাজারে ২ জন, খাগড়াছড়িতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন।