Dhaka 10:51 pm, Sunday, 19 May 2024

মাইথারকান্দি খাল দখলে নিয়েছে ময়লার ভাগাড়ে

কুমিল্লার, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর বাজার সংলগ্ন মাইথারকান্দি খাল এখন আবর্জনার পাহাড়ে পরিনত হয়ে।  এই খাল আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে  তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ। খালটির উৎসমুখের আবর্জনা পরিচ্ছন্ন ও ভরাট হওয়া অংশ খননের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় – যে আবর্জনায় খাল এমন ভাবে ভরাট হয়েছে, তা কি?খাল – না কি? ময়লার পাহাড় দেখে বুঝার কোন উপায় নেই। বাজার ও বাসা-বাড়ির সমস্ত ময়লা – আবর্জনায় খাল কে দখল করে ফেলছে। পাশেই সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়।  বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ হলে বলেন যে,  নাকের ডগায় ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ এর কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।  জাতীয় পরিবেশ পদক এবং দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক  প্রাপ্ত ও খাল-নদী-জলাভূমি  সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির আহবায়ক, অধ্যাপক  মতিন সৈকত এর সাথে কথা হলে তিনিও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে  একমত পোষন করে  বলেন যে, মাইথারকান্দি খালটি কালাডুমুর নদ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। গৌরীপুর বাজার এবং সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে মাইথারকান্দি খাল মাইথারকান্দি গ্রাম,পলুদ্দির পাড়, পেন্নাই, হরিপুর, আমিরাবাদ, ইছাপুর, তিনচিটা, বারিকান্দি, রাঙাসিংগুলা, সুন্দলপুর, জুরানপুর, গোয়ালমারি, মোল্লাকান্দি হয়ে খিরাই নদীতে মিশেছে। এটি বড় খাল নামেও পরিচিত। আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মাইথারকান্দি খাল ৩টি ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। তিন ইউনিয়নের প্রায় ৩০গ্রামের কৃষক শুকনো মৌসুমে সেচের পানি পাচ্ছেন না,এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে সময় মতো ফসল আবাদ করতে পারছেন না। খালটির বিভিন্ন জায়গায় যে যার মত করে দখলে দূষণে হত্যা করছে। শীঘ্রই খালটি পূনঃখনন করে পানি চলাচলের জন্য  এমপি মহোদয় ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক এবং  স্হানীয়  উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে মাইথারকান্দি খালটি যেন ময়লা – আবর্জনার দখল থেকে মুক্তি পায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

মাইথারকান্দি খাল দখলে নিয়েছে ময়লার ভাগাড়ে

Update Time : 04:49:21 pm, Monday, 6 May 2024
কুমিল্লার, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর বাজার সংলগ্ন মাইথারকান্দি খাল এখন আবর্জনার পাহাড়ে পরিনত হয়ে।  এই খাল আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে  তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ। খালটির উৎসমুখের আবর্জনা পরিচ্ছন্ন ও ভরাট হওয়া অংশ খননের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরো পড়ুন:ময়মনসিংহ-কুমিল্লার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : সিইসি
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় – যে আবর্জনায় খাল এমন ভাবে ভরাট হয়েছে, তা কি?খাল – না কি? ময়লার পাহাড় দেখে বুঝার কোন উপায় নেই। বাজার ও বাসা-বাড়ির সমস্ত ময়লা – আবর্জনায় খাল কে দখল করে ফেলছে। পাশেই সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়।  বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ হলে বলেন যে,  নাকের ডগায় ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ এর কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।  জাতীয় পরিবেশ পদক এবং দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক  প্রাপ্ত ও খাল-নদী-জলাভূমি  সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির আহবায়ক, অধ্যাপক  মতিন সৈকত এর সাথে কথা হলে তিনিও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে  একমত পোষন করে  বলেন যে, মাইথারকান্দি খালটি কালাডুমুর নদ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। গৌরীপুর বাজার এবং সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে মাইথারকান্দি খাল মাইথারকান্দি গ্রাম,পলুদ্দির পাড়, পেন্নাই, হরিপুর, আমিরাবাদ, ইছাপুর, তিনচিটা, বারিকান্দি, রাঙাসিংগুলা, সুন্দলপুর, জুরানপুর, গোয়ালমারি, মোল্লাকান্দি হয়ে খিরাই নদীতে মিশেছে। এটি বড় খাল নামেও পরিচিত। আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মাইথারকান্দি খাল ৩টি ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। তিন ইউনিয়নের প্রায় ৩০গ্রামের কৃষক শুকনো মৌসুমে সেচের পানি পাচ্ছেন না,এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে সময় মতো ফসল আবাদ করতে পারছেন না। খালটির বিভিন্ন জায়গায় যে যার মত করে দখলে দূষণে হত্যা করছে। শীঘ্রই খালটি পূনঃখনন করে পানি চলাচলের জন্য  এমপি মহোদয় ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক এবং  স্হানীয়  উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে মাইথারকান্দি খালটি যেন ময়লা – আবর্জনার দখল থেকে মুক্তি পায়।