Dhaka 7:04 am, Saturday, 4 May 2024

পিডিবি অফিসের ড্রাইভারের ছেলের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

অনিয়মের বেড়াজালে বন্দি কিশোরগঞ্জের বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এ-ই সেই অফিস যেখানে পিতার চাকরি করেন সন্তান। এ অফিসের গাড়ি চালক আমজাদ হোসেন কিন্তু তার পরিবর্তে ওনার ছেলে পল্লব নিয়মিত গাড়ি চালক। আর সেই গাড়ি চালক সন্তানই পরিচয় দেন উপসহকারী প্রকৌশলী। এমন পরিচয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি এই ঘটনায় কিশোরগঞ্জের সচেতন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে সরকারি চাকরিজীবী আর ভৃয়া চাকরিজীবীদের নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতুহল বেড়েই চলেছে। পিডিবির কতিপয় কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য ভুয়া উপসহকারী প্রকৌশলী সেজে রাতের আঁধারে গ্রাহকদের সংযোগ কেটে দিয়ে মিটার নিয়ে আসে অফিসে তার বিপরীতে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ফোনের কথোপকথন রেকর্ড এসেছে সাংবাদিক মহলে। অভিযোগ ও কল রেকর্ডটে জানাযায়, কিশোরগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত কর্মচারী উচ্চমান সহকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ জিয়াউর রহমান, ফিডার বি মোঃ আশরাফুল ইসলাম হিরন, ও পিতার পরিবর্তে গাড়ি চালক পল্লব সিন্ডিকেট তাহারা গভীর রাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গ্রাহকের আঙিনায় গিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ এনে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এবং মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে ছেড়ে দেন। যাহা বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলীকে অবহিত করেন না।
 এমনি ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল নামাপাড়া এলাকায় গ্রাহক হারুন মিয়ার বাসা হানা দিয়ে সংযোগ কেটে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন এতে গ্রাহকের কোন সাড়া না পেয়ে চারদিন পর গ্রাহক অফিসে এসে ঘটনা জানালে উক্ত ফিডারে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলী ঈদের ছুটিতে থাকায় তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন আমার অবর্তমানে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি এনিয়ে অফিসে বিভিন্ন ধরনের কথা হচ্ছে। যেহেতু আমি ছুটিতে ছিলাম তাই এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
উল্লেখ্য যে উক্ত গ্রাহক হতে পূর্বে বিভিন্ন অজুহাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উল্লেখিত কর্মচারী হাতিয়ে নেন বলে অফিসে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ।
অভিযুক্ত সাইফুলকে ফোনে পাওয়ানি। নগুয়া খিদমা হাসপাতালের পিছনে গ্রাহক ঠিকাদার মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের কাছ থেকে আরো পূর্বে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন উল্লেখিত কর্মচারীবৃন্দ এমন অভিযোগও রয়েছে বলে দাবি অফিসের একটি সুএের। অন্যদিকে অফিসের আরেকটি সুএ বলেন, বিভিন্ন সময় তাদের সিন্ডিকেটের বলি হয়ে লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও মামলার আসামি হয়েছে জমির মালিক জেলখানা মোরের আজহার।
আজহার জানান, আমার জমিতে বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করে মানিক কিন্তু মামলার আসামি আমি এ হলো কিশোরগঞ্জের পিডিবি সিন্ডিকেট। কিশোরগঞ্জ সচেতন মহলের দাবি এ অফিসের অনেক অনিয়ম রয়েছে তার মাঝে অতিরিক্ত বিল তৈরি করেন বহিরাগত লোকের মাধ্যমে। অফিসের লোকজনকে টাকা দিলে নষ্ট মিটার লাগিয়ে বিল না দিয়ে বছরের পর বছর পার। কোন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দিলে তার সমাধান না হওয়া। দালাল সিন্ডিকেট ছাড়া মিটার পাওয়া কষ্টকর। এমন অনেক অভিযোগ অহরহ থাকলেও প্রতিকার নেই। সেই সাথে এ অফিসের কর্মচারীরা ম্যাজিষ্টেডের ভয় দেখিয়েও টাকা আদায় করে তারা। এসব অভিযোগের বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ এ-র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার অফিসের লোকজন মিটার নিয়ে এসেছে। এবং সেই মিটারের গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করে ময়মনসিংহ পাঠিয়েছি। গাড়ি চালকের চাকরির বিষয়ে বলেন,আমজাদ অসুস্থ থাকায় তার ছেলে পল্লব গাড়ি টি চালায় তবে কোন অন্যায় কাজ করতে পারবে না। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারী আমাকে বলেছে সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে ১০ ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। আমার অফিসারের নাম ভাংগিয়েও অনেকে টাকা নিয়েছে বলে আমি শুনেছি। অফিসের অনুমতি ছাড়া তারা অভিযান চালিয়েছে তাও সত্যি তবে মিটারটি টেম্পারিং সরকারি নীতিমালার বাইরে অন্যদিকে গ্রাহক বলছে আমার মিটার ভালো তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় ৪ এপ্রিল মিটার নিলেও ১০ দিন অপেক্ষা করে টাকা না পেয়ে মামলা করেছে ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

পিডিবি অফিসের ড্রাইভারের ছেলের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

Update Time : 06:28:47 pm, Monday, 22 April 2024
অনিয়মের বেড়াজালে বন্দি কিশোরগঞ্জের বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এ-ই সেই অফিস যেখানে পিতার চাকরি করেন সন্তান। এ অফিসের গাড়ি চালক আমজাদ হোসেন কিন্তু তার পরিবর্তে ওনার ছেলে পল্লব নিয়মিত গাড়ি চালক। আর সেই গাড়ি চালক সন্তানই পরিচয় দেন উপসহকারী প্রকৌশলী। এমন পরিচয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি এই ঘটনায় কিশোরগঞ্জের সচেতন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে সরকারি চাকরিজীবী আর ভৃয়া চাকরিজীবীদের নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতুহল বেড়েই চলেছে। পিডিবির কতিপয় কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য ভুয়া উপসহকারী প্রকৌশলী সেজে রাতের আঁধারে গ্রাহকদের সংযোগ কেটে দিয়ে মিটার নিয়ে আসে অফিসে তার বিপরীতে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ফোনের কথোপকথন রেকর্ড এসেছে সাংবাদিক মহলে। অভিযোগ ও কল রেকর্ডটে জানাযায়, কিশোরগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত কর্মচারী উচ্চমান সহকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ জিয়াউর রহমান, ফিডার বি মোঃ আশরাফুল ইসলাম হিরন, ও পিতার পরিবর্তে গাড়ি চালক পল্লব সিন্ডিকেট তাহারা গভীর রাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গ্রাহকের আঙিনায় গিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ এনে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এবং মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে ছেড়ে দেন। যাহা বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলীকে অবহিত করেন না।
 এমনি ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল নামাপাড়া এলাকায় গ্রাহক হারুন মিয়ার বাসা হানা দিয়ে সংযোগ কেটে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন এতে গ্রাহকের কোন সাড়া না পেয়ে চারদিন পর গ্রাহক অফিসে এসে ঘটনা জানালে উক্ত ফিডারে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলী ঈদের ছুটিতে থাকায় তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন আমার অবর্তমানে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি এনিয়ে অফিসে বিভিন্ন ধরনের কথা হচ্ছে। যেহেতু আমি ছুটিতে ছিলাম তাই এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
উল্লেখ্য যে উক্ত গ্রাহক হতে পূর্বে বিভিন্ন অজুহাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উল্লেখিত কর্মচারী হাতিয়ে নেন বলে অফিসে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ।
আরো পড়ুন:কিশোরগঞ্জে পিকআপের চাপায় যুবক নিহত
অভিযুক্ত সাইফুলকে ফোনে পাওয়ানি। নগুয়া খিদমা হাসপাতালের পিছনে গ্রাহক ঠিকাদার মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের কাছ থেকে আরো পূর্বে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন উল্লেখিত কর্মচারীবৃন্দ এমন অভিযোগও রয়েছে বলে দাবি অফিসের একটি সুএের। অন্যদিকে অফিসের আরেকটি সুএ বলেন, বিভিন্ন সময় তাদের সিন্ডিকেটের বলি হয়ে লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও মামলার আসামি হয়েছে জমির মালিক জেলখানা মোরের আজহার।
আজহার জানান, আমার জমিতে বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করে মানিক কিন্তু মামলার আসামি আমি এ হলো কিশোরগঞ্জের পিডিবি সিন্ডিকেট। কিশোরগঞ্জ সচেতন মহলের দাবি এ অফিসের অনেক অনিয়ম রয়েছে তার মাঝে অতিরিক্ত বিল তৈরি করেন বহিরাগত লোকের মাধ্যমে। অফিসের লোকজনকে টাকা দিলে নষ্ট মিটার লাগিয়ে বিল না দিয়ে বছরের পর বছর পার। কোন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দিলে তার সমাধান না হওয়া। দালাল সিন্ডিকেট ছাড়া মিটার পাওয়া কষ্টকর। এমন অনেক অভিযোগ অহরহ থাকলেও প্রতিকার নেই। সেই সাথে এ অফিসের কর্মচারীরা ম্যাজিষ্টেডের ভয় দেখিয়েও টাকা আদায় করে তারা। এসব অভিযোগের বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ এ-র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার অফিসের লোকজন মিটার নিয়ে এসেছে। এবং সেই মিটারের গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করে ময়মনসিংহ পাঠিয়েছি। গাড়ি চালকের চাকরির বিষয়ে বলেন,আমজাদ অসুস্থ থাকায় তার ছেলে পল্লব গাড়ি টি চালায় তবে কোন অন্যায় কাজ করতে পারবে না। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারী আমাকে বলেছে সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে ১০ ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। আমার অফিসারের নাম ভাংগিয়েও অনেকে টাকা নিয়েছে বলে আমি শুনেছি। অফিসের অনুমতি ছাড়া তারা অভিযান চালিয়েছে তাও সত্যি তবে মিটারটি টেম্পারিং সরকারি নীতিমালার বাইরে অন্যদিকে গ্রাহক বলছে আমার মিটার ভালো তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় ৪ এপ্রিল মিটার নিলেও ১০ দিন অপেক্ষা করে টাকা না পেয়ে মামলা করেছে ।