উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং দলীয় এমপিকে শোকজ করা হতে পারে। সাংগঠনিক শাস্তির পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। আওয়ামী লীগের তৃণমূলে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বৈঠকের শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি থাকা অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের প্রার্থিতা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সাংগঠনিক নানা বিষয়ে এবং বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরো পড়ুন:ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৩
এদিন সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময়মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হীরক জয়ন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরো পড়ুন:ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৩
জানা গেছে, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি তোলেননি। সাংগঠনিক বিষয় পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানান। ফলে দলের অন্য নেতারা আর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি। প্রসঙ্গত, দেশে এখন ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ মে থেকে প্রথম পর্যায়ের ভোট শুরু হবে।