Dhaka 5:17 pm, Monday, 20 May 2024

আম্পায়ারদের ভুলে বিশ্বকাপ জয় ইংল্যান্ডের!

ক্রিকেট ইতিহাসে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালকে সবচেয়ে সেরা ফাইনাল বলা হয়ে থাকে। টানটান উত্তেজনা ও নানান নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ ছিল ম্যাচটি। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে রোমাঞ্চে ভরপুর সেই ম্যাচের ফল না এলে বাউন্ডারির হিসাবে শিরোপা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। এতে ৪৪ বছরের আক্ষেপ ঘুচে ইংলিশদের। তবে সেদিনের সেই শিরোপা যোগ্যতায় নয়, বরং আম্পায়ারের ভুলেই জিতেছিল ইংল্যান্ড। মাঠের উত্তেজনায় বিষয়টি না বুঝলেও পরদিন ঠিকই বিষয়টি বুঝতে পারেন আম্পায়ার। দীর্ঘ ৫ বছর পর খোদ সেই আম্পায়ার মাইরাস এরাসমাসই নিজের ভুল করা বিষয়টি জানালেন। আইসিসির এলিট প্যানেল থেকে অবসরের পর দ্য টেলিগ্রাফে এমনটাই জানিয়েছেন প্রোটিয়া এই আম্পায়ার।

আরো পড়ুন:ফাইনালে খেলবেন মোস্তাফিজ

ফাইনালে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল। সে সময়েই আলোচিত ঘটনাটি ঘটে। বেন স্টোকস ও আদিল রশিদের দৌড়ে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময়ে মার্টিন গাপটিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। এ ঘটনায় ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন ফিল্ড আম্পায়ার এরাসমাস এবং কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু ক্রিকেটের নিয়মে এটি ছিল ৫ রান। নিয়ম অনুযায়ী, বল ব্যাটে লাগায় ১ রান ও ৪ রান, অর্থাৎ মোট ৫ রান পাওয়ার কথা ছিল ইংলিশদের। কিন্তু ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন মাঠের দুই আম্পায়ার। পরে সেই ১ রানই ছিল ম্যাচ ফ্যাক্টর। এমসিসি আইনের ১৯.৮-এর ধারা বলছে, ‘যদি ওভার-থ্রো বা ফিল্ডারের ইচ্ছাকৃত কোনো কারণে বাউন্ডারি হয়, তবে পেনাল্টির জন্য যে রান তারা নিয়েছে, তার সঙ্গে ব্যাটারদের সম্পন্ন করা চলমান রান যুক্ত হবে। যদি তারা বল ছোঁড়ার সময় একে অন্যকে অতিক্রম করে থাকে।’

আরো পড়ুন:টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন না স্টোকস

সেদিনের ঘটনা নিয়ে এরাসমাসের ভাষ্য, ‘পরদিন সকালে আমি হোটেল রুমের দরজা খুলে ব্রেকফাস্টের জন্য যাচ্ছি আর কুমারও একই সময় দরজা খুলে আমাকে বলল, ‘তুমি দেখেছ আমরা যে বিশাল ভুল করে ফেলেছিলাম?’ আমি কেবল তখনই বিষয়টা জানতে পারি। কিন্তু মাঠে ওই সময়ে আমরা কেবল বলছিলাম ৬। বুঝতেই পারছেন, একে অন্যকে বলছিলাম, ৬, ৬ এটা ৬-ই হবে। বুঝতেই পারিনি, তারা দুজন একে অন্যকে অতিক্রম করেনি। ওটা মাথাতেই ছিল না।’রস টেইলরকে দেওয়া এলবিডব্লিউ প্রসঙ্গে এরাসমাসের মন্তব্য, ‘ওটায় বল উঁচু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে ওরা নিজেদের রিভিউ শেষ করে ফেলেছে। পুরো ৭ সপ্তাহে ওটা ছিল আমার একমাত্র ভুল। আর তারপরে আমি খুবই হতাশ হয়ে যাই। কারণ, আমি যদি পুরো বিশ্বকাপে কোনো ভুলই না করতাম, তবে হয়ত ফল একেবারেই ভিন্ন হতো। আর অবশ্যই ওটা খেলায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কারণ, সে (টেইলর) ছিল তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’

2 thoughts on “আম্পায়ারদের ভুলে বিশ্বকাপ জয় ইংল্যান্ডের!

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

আম্পায়ারদের ভুলে বিশ্বকাপ জয় ইংল্যান্ডের!

Update Time : 02:03:15 pm, Wednesday, 3 April 2024

ক্রিকেট ইতিহাসে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালকে সবচেয়ে সেরা ফাইনাল বলা হয়ে থাকে। টানটান উত্তেজনা ও নানান নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ ছিল ম্যাচটি। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে রোমাঞ্চে ভরপুর সেই ম্যাচের ফল না এলে বাউন্ডারির হিসাবে শিরোপা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। এতে ৪৪ বছরের আক্ষেপ ঘুচে ইংলিশদের। তবে সেদিনের সেই শিরোপা যোগ্যতায় নয়, বরং আম্পায়ারের ভুলেই জিতেছিল ইংল্যান্ড। মাঠের উত্তেজনায় বিষয়টি না বুঝলেও পরদিন ঠিকই বিষয়টি বুঝতে পারেন আম্পায়ার। দীর্ঘ ৫ বছর পর খোদ সেই আম্পায়ার মাইরাস এরাসমাসই নিজের ভুল করা বিষয়টি জানালেন। আইসিসির এলিট প্যানেল থেকে অবসরের পর দ্য টেলিগ্রাফে এমনটাই জানিয়েছেন প্রোটিয়া এই আম্পায়ার।

আরো পড়ুন:ফাইনালে খেলবেন মোস্তাফিজ

ফাইনালে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল। সে সময়েই আলোচিত ঘটনাটি ঘটে। বেন স্টোকস ও আদিল রশিদের দৌড়ে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময়ে মার্টিন গাপটিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। এ ঘটনায় ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন ফিল্ড আম্পায়ার এরাসমাস এবং কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু ক্রিকেটের নিয়মে এটি ছিল ৫ রান। নিয়ম অনুযায়ী, বল ব্যাটে লাগায় ১ রান ও ৪ রান, অর্থাৎ মোট ৫ রান পাওয়ার কথা ছিল ইংলিশদের। কিন্তু ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন মাঠের দুই আম্পায়ার। পরে সেই ১ রানই ছিল ম্যাচ ফ্যাক্টর। এমসিসি আইনের ১৯.৮-এর ধারা বলছে, ‘যদি ওভার-থ্রো বা ফিল্ডারের ইচ্ছাকৃত কোনো কারণে বাউন্ডারি হয়, তবে পেনাল্টির জন্য যে রান তারা নিয়েছে, তার সঙ্গে ব্যাটারদের সম্পন্ন করা চলমান রান যুক্ত হবে। যদি তারা বল ছোঁড়ার সময় একে অন্যকে অতিক্রম করে থাকে।’

আরো পড়ুন:টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন না স্টোকস

সেদিনের ঘটনা নিয়ে এরাসমাসের ভাষ্য, ‘পরদিন সকালে আমি হোটেল রুমের দরজা খুলে ব্রেকফাস্টের জন্য যাচ্ছি আর কুমারও একই সময় দরজা খুলে আমাকে বলল, ‘তুমি দেখেছ আমরা যে বিশাল ভুল করে ফেলেছিলাম?’ আমি কেবল তখনই বিষয়টা জানতে পারি। কিন্তু মাঠে ওই সময়ে আমরা কেবল বলছিলাম ৬। বুঝতেই পারছেন, একে অন্যকে বলছিলাম, ৬, ৬ এটা ৬-ই হবে। বুঝতেই পারিনি, তারা দুজন একে অন্যকে অতিক্রম করেনি। ওটা মাথাতেই ছিল না।’রস টেইলরকে দেওয়া এলবিডব্লিউ প্রসঙ্গে এরাসমাসের মন্তব্য, ‘ওটায় বল উঁচু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে ওরা নিজেদের রিভিউ শেষ করে ফেলেছে। পুরো ৭ সপ্তাহে ওটা ছিল আমার একমাত্র ভুল। আর তারপরে আমি খুবই হতাশ হয়ে যাই। কারণ, আমি যদি পুরো বিশ্বকাপে কোনো ভুলই না করতাম, তবে হয়ত ফল একেবারেই ভিন্ন হতো। আর অবশ্যই ওটা খেলায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কারণ, সে (টেইলর) ছিল তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’