টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। মূলত চার-ছক্কার ওই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিজেদের একটু ঝালাই করে নেওয়াই উদ্দেশ্য। তাছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কয়েকটি পজিশনে কারা খেলবেন সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। সেটিও নিশ্চিত করা হবে এই সিরিজের পারফরম্যান্স দেখে। তাইতো প্রথম তিন ম্যাচে ও পরের দুই ম্যাচে আলাদা আলাদা দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেই তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ হবে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই দুই ম্যাচের স্কোয়াডে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া আইপিএল থেকে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান ও চোট কাটিয়ে সৌম্য সরকারও ফিরেছেন।
আগের তিন ম্যাচের স্কোয়াডে থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছে ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন ও অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনকে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেসার শরিফুল ইসলামকে।
আজ সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। আজকের একাদশে শেষ দুই ম্যাচের জন্য দলে ফেরা সাকিব, মোস্তাফিজ ও সৌম্য সরকারের দলে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। স্কোয়াডে লিটনকে রাখলেও আজ তাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে তানজিদ হাসান তামিমকে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের জায়গাও প্রায় পাকা। পরের দুই জায়গায় জাকের আলী অনিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্পিনার হিসেবে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের খেলার সম্ভবনা আজকেও বেশি। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন থাকছেন। আর বিশেষজ্ঞ পেস বোলার হিসেবে থাকবেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
One thought on “ঢাকায় চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ”