Dhaka 5:52 pm, Friday, 3 May 2024

রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চলবে

রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চালিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নিউইয়র্ক আদালত। এ মামলায় সারবস্তু আছে বলে মনে করছেন বিচারকরা। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের মধ্য থেকে ব্লুমবেরি ও ইস্টার্ন হাওয়াই নামে দুটি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিয়েছেন নিউইয়র্ক কাউন্টি সুপ্রিম কোর্ট। তবে এ মামলা খারিজ করেনি আদালত।   

আরো পড়ুন:‘আ.লীগের নেতৃত্বেই মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে’

এ ছাড়া ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন ইসমায়েল রেয়েস, ব্রিজিত ক্যাপিনা, রোমুয়ালদো আগারাদো ও নেস্তর পিনেদা। ফিলিপাইনের স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা এক পত্রে আরসিবিসি বলেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেছে বলে স্বীকার করেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্তে নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, তিনটি ‘কজ অব অ্যাকশনের’ আইনি ভিত্তি নেই। আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ—এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা—এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখীর দিকে: অর্থমন্ত্রী

তবে নিউইয়র্কের আদালত জানিয়েছেন, আরসিবিসি ও অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে, যেমন যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেওয়া।২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

One thought on “রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চলবে

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

মন্ত্রী-এমপিদের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চলবে

Update Time : 06:31:00 pm, Saturday, 2 March 2024

রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চালিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নিউইয়র্ক আদালত। এ মামলায় সারবস্তু আছে বলে মনে করছেন বিচারকরা। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের মধ্য থেকে ব্লুমবেরি ও ইস্টার্ন হাওয়াই নামে দুটি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিয়েছেন নিউইয়র্ক কাউন্টি সুপ্রিম কোর্ট। তবে এ মামলা খারিজ করেনি আদালত।   

আরো পড়ুন:‘আ.লীগের নেতৃত্বেই মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে’

এ ছাড়া ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন ইসমায়েল রেয়েস, ব্রিজিত ক্যাপিনা, রোমুয়ালদো আগারাদো ও নেস্তর পিনেদা। ফিলিপাইনের স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা এক পত্রে আরসিবিসি বলেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেছে বলে স্বীকার করেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্তে নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, তিনটি ‘কজ অব অ্যাকশনের’ আইনি ভিত্তি নেই। আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ—এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা—এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখীর দিকে: অর্থমন্ত্রী

তবে নিউইয়র্কের আদালত জানিয়েছেন, আরসিবিসি ও অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে, যেমন যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেওয়া।২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।