Dhaka 2:05 am, Monday, 20 May 2024

বিএনপির জন্য মায়াকান্না করছে ওবায়দুল কাদের: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন, প্রায় সময়ই তিনি বকবক করেন, খুব কথা বলেন। বিএনপির জন্য ওনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে এটা মনে হয়। মুরগির ছানার নিরাপত্তার জন্য যেমন চিল মায়াকান্না করে, কুমির যেমন কান্নাকাটি করে তেমন কুম্ভিরাশ্রু ওবায়দুল কাদেরের চোখ দিয়ে ক্রমাগত পড়ছে। সোমবার (৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাবীব উন নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে—এমন আওয়াজ ওবায়দুল কাদের মাঝে মাঝে দেন। আরও অনেক কথা বলেন, বিএনপি ক্লান্ত, বিএনপি হতাশ, বিএনপির নেতারা বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এ কথাগুলো বলেন।

আরো পড়ুন:বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে: কাদের

রিজভী বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লাখ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (শেখ হাসিনা) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে, টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকে তাহলে তো শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর তো ২০/২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারে তাহলে আমরা বাদ যাবো কেন। এই নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউ চান্স পাবে না। কারণ, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে।

আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল,পদ্মা সেতু দেখান এইবার বাজেটে লাখো কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পা দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একেবারে সাজানো মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের মা আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যে মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ অর্থসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

2 thoughts on “বিএনপির জন্য মায়াকান্না করছে ওবায়দুল কাদের: রিজভী

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

বিএনপির জন্য মায়াকান্না করছে ওবায়দুল কাদের: রিজভী

Update Time : 05:31:04 pm, Monday, 6 May 2024

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন, প্রায় সময়ই তিনি বকবক করেন, খুব কথা বলেন। বিএনপির জন্য ওনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে এটা মনে হয়। মুরগির ছানার নিরাপত্তার জন্য যেমন চিল মায়াকান্না করে, কুমির যেমন কান্নাকাটি করে তেমন কুম্ভিরাশ্রু ওবায়দুল কাদেরের চোখ দিয়ে ক্রমাগত পড়ছে। সোমবার (৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাবীব উন নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে—এমন আওয়াজ ওবায়দুল কাদের মাঝে মাঝে দেন। আরও অনেক কথা বলেন, বিএনপি ক্লান্ত, বিএনপি হতাশ, বিএনপির নেতারা বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এ কথাগুলো বলেন।

আরো পড়ুন:বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে: কাদের

রিজভী বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লাখ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (শেখ হাসিনা) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে, টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকে তাহলে তো শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর তো ২০/২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারে তাহলে আমরা বাদ যাবো কেন। এই নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউ চান্স পাবে না। কারণ, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে।

আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল,পদ্মা সেতু দেখান এইবার বাজেটে লাখো কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পা দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একেবারে সাজানো মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের মা আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যে মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ অর্থসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।