Dhaka 7:38 pm, Tuesday, 21 May 2024

আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, কারাগারেও যেতে পারেন ট্রাম্প

ফৌজদারি মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির এক আদালত। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে আবারও আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করলে জেলে যেতে হতে পারে তাকে। খবর রয়টার্সের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নিউইয়র্কের একটি আদালত এই আদেশ দেন। পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলছিল ওই আদালতে। শুনানি চলাকালে আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক বা আদালতের কর্মী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনকে আক্রমণ না করেন।

আরো পড়ুন:ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আটক

কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৯ বার এই আদেশ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় আদালতের কাছে। এজন্য বিচারক হুয়ান মারচেন নির্দেশ দেন, প্রতিবারের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য এক হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একইসঙ্গে নিজের তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সাতটি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওয়েবসাইট থেকে দুটি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাকে।

আরো পড়ুন:ড. ইউনূসের বিচারের গতি অস্বাভাবিক: মিলার

এদিকে গত ২৩ এপ্রিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে এ মামলার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের করা এমন ১০টি পোস্টের কথা উল্লেখ করে তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটররা। সেসব পোস্টে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ঘুষ মামলার সম্ভাব্য সাক্ষীদের অপমান করেছেন এবং জুরির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য, আদালতের আদেশ অমান্য করলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফলে নতুন এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারবেন বিচারক।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, কারাগারেও যেতে পারেন ট্রাম্প

Update Time : 12:40:25 pm, Wednesday, 1 May 2024

ফৌজদারি মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির এক আদালত। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে আবারও আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করলে জেলে যেতে হতে পারে তাকে। খবর রয়টার্সের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নিউইয়র্কের একটি আদালত এই আদেশ দেন। পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলছিল ওই আদালতে। শুনানি চলাকালে আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক বা আদালতের কর্মী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনকে আক্রমণ না করেন।

আরো পড়ুন:ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আটক

কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৯ বার এই আদেশ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় আদালতের কাছে। এজন্য বিচারক হুয়ান মারচেন নির্দেশ দেন, প্রতিবারের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য এক হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একইসঙ্গে নিজের তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সাতটি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওয়েবসাইট থেকে দুটি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাকে।

আরো পড়ুন:ড. ইউনূসের বিচারের গতি অস্বাভাবিক: মিলার

এদিকে গত ২৩ এপ্রিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে এ মামলার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের করা এমন ১০টি পোস্টের কথা উল্লেখ করে তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটররা। সেসব পোস্টে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ঘুষ মামলার সম্ভাব্য সাক্ষীদের অপমান করেছেন এবং জুরির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য, আদালতের আদেশ অমান্য করলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফলে নতুন এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারবেন বিচারক।