রাজধানীর পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুরে অবস্থিত হোটেল ওয়ান ষ্টার (আকবর)। হেটেলটির বিভিন্ন অপরাধের তথ্য দৈনিক সংবাদ দিগন্তে প্রকাশ হলে হোটেলের ওয়ান ষ্টার (আকবর) সাইনবোর্ডবিহীন অভিনব কৌশলে চলছে এখন অনৈতিক কারবার। জানা গেছে, হোটেলটি আবাসিক হোটেল আকবরে শাহ-আলম, জীবন ও রফিকের নারী ও মাদক বাণিজ্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ। জানা গেছে, হোটেল মালিক দেশের বাইরে থাকায় আবাসিক হোটেলটিতে স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। হোটেলটির ৪র্থ তলায় রয়েছে স্পা এবং ৫-৬ষ্ঠ তলায় স্কর্ট সর্ভিসের নামে চলছে জমজমাট নারী বাণিজ্য।
আরো পড়ুন: ঢাকা-দিল্লিকে সতর্ক করলেন ডোনাল্ড লু
এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানাকে অবগত করলে তারা অভিযান চালানোর চেষ্টা করে। তবে হোটেলের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে এত ভয়ংকর কারবার চলছে। পুলিশ অভিযান চালানোর আগেই তাদের নিয়ন্ত্রিত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এসব অপরাধীরা দুরে ছিটকে পরে। উক্ত হোটেলটি ঘিরে রয়েছে বড় ধরনের একটি নারী চক্র ও মাদক কারবারী। তবে শাহ-আলম, জীবন, রফিকের নেতৃত্বেই চলছে আবাসিক হোটেলটি। ডিএমপির নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছে অপরাধীদের অনৈতিক কারবার। উক্ত অপরাধীরা সহজ-সরল মেয়েদের উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে এবং দেশ ও দেশের বাইরে রয়েছে একটি বড় নারী সিন্ডিকেট। এছাড়া অপরাধীরা অধিক মুনাফার আশায় দেশের বাইরে সুন্দরী যুবতীদের পাচার করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ অভিযান দেওয়ার আগেই হোটেলের নিয়ন্ত্রিত সিসি ক্যামেরায় দেখে অপরাধারীরা ছিটকে পরে।
যার ফলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউকে পায়না। কিন্তু পুলিশ বলছে আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে। তবে আপনাদের অভিযোগের প্রেপেক্সিতে পুলিশ কাজ করছে। এসব হোটেলগুলোর নেই কোন বৈধতা। আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের কথা থাকলেও নেই তার কোন অনুমোদন। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। নেই কোন নিরাপত্তার ব্যস্থাও। এছাড়াও ডিএমপির যেধরনের নির্দেশনা রয়েছে তার কোনটাই চোঁখে পড়েনি উক্ত হোটেলটি।
এদিকে অপরাধীরা বলেন, ভাই রেড দিয়ে কোন লাব নেই, কারন থানা পুলিশ রেড দেওয়ার আগেই আমাদেরকে জানিয়ে দেয় এবং আমরা প্যাকেজ সরিয়ে ফেলি। তাই পুলিশের এসে কোন লাব হয়না বরং তাদেরকে আমরা প্রতিমাসে মাসোহাড়া দিয়ে থাকি। তার বিনিময়ে তারা আমাদের সহযোগীতা করে থাকেন।
আরো পড়ুন: রমজানে কুয়েতে ৪ ঘণ্টার অফিস