Dhaka 3:41 pm, Thursday, 9 May 2024

হাসপাতালে দালাল নির্মূলের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল নির্মুলের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টে এক দালালকে তিন মাসের সাজা প্রদান করা হয়। আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। গ্রেফতারকৃত দালাল রুহুল আমিন (৩৫), পিতা- মৃত বাদশা মিয়া, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২য় মুরাদপুরের বাসিন্দা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করতে জেলা প্রশাসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা প্রদান করেন। হাসপাতাল থেকে বারবার সতর্ক করার পরেও তারপরেও দালালদের দৌরাত্ম থামছে না। কুমিল্লার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকা থেকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরদের হয়রানি করে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগী করা হচ্ছে। এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে হাসপাতাল ও কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে দালালদের তালিকা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাত সাড়ে নয়টায় তালিকাভুক্ত দালাল রুহুল আমিনকে সরকারী আদেশ অমান্য করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গাইনী ওয়ার্ডের সামনে ঘুরাঘুরি করতে দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার মোঃ মোসলেম উদ্দীন আটক  করে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট সোপর্দ করে। অভিযুক্ত রুহুল আমিন অপরাধ স্বীকার করলে আদালত তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে গত শনিবার কুমেক হাসপাতাল থেকে জুয়েল নামের এক দালালকে গ্রেফতার করে তাহার পকেট থেকে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও সেবনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে  ও সাধারণ রোগীদের ঠকিয়ে দালালি করার অপরাধে  ৩ মাসের কারাদণ্ড  ও ৫০  টাকা অর্থদণ্ড করা হয়, অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হইলে আরো সাত দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন এসি ল্যান্ড  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আদর্শ সদর মো: মেহেদী হাসান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানা যায় এসকল দালালরা সেবা নিতে আসা রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হয়রানি করে। বিভিন্ন প্রাইভেট মানহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সহায়তায় তালিকা করে চিহ্নিত দালালদের সাজা দেয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে কুমিলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান   হাসপাতালটি দালালমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।

One thought on “হাসপাতালে দালাল নির্মূলের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

হাসপাতালে দালাল নির্মূলের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

Update Time : 02:40:40 pm, Monday, 25 March 2024
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল নির্মুলের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টে এক দালালকে তিন মাসের সাজা প্রদান করা হয়। আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। গ্রেফতারকৃত দালাল রুহুল আমিন (৩৫), পিতা- মৃত বাদশা মিয়া, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২য় মুরাদপুরের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন :ময়মনসিংহ-কুমিল্লার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : সিইসি
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করতে জেলা প্রশাসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা প্রদান করেন। হাসপাতাল থেকে বারবার সতর্ক করার পরেও তারপরেও দালালদের দৌরাত্ম থামছে না। কুমিল্লার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকা থেকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরদের হয়রানি করে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগী করা হচ্ছে। এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে হাসপাতাল ও কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে দালালদের তালিকা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাত সাড়ে নয়টায় তালিকাভুক্ত দালাল রুহুল আমিনকে সরকারী আদেশ অমান্য করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গাইনী ওয়ার্ডের সামনে ঘুরাঘুরি করতে দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার মোঃ মোসলেম উদ্দীন আটক  করে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট সোপর্দ করে। অভিযুক্ত রুহুল আমিন অপরাধ স্বীকার করলে আদালত তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আরো পড়ুন :তিনে ব্যাট করলেন তামিম, জানা গেলো আসল কারণ
এর আগে গত শনিবার কুমেক হাসপাতাল থেকে জুয়েল নামের এক দালালকে গ্রেফতার করে তাহার পকেট থেকে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও সেবনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে  ও সাধারণ রোগীদের ঠকিয়ে দালালি করার অপরাধে  ৩ মাসের কারাদণ্ড  ও ৫০  টাকা অর্থদণ্ড করা হয়, অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হইলে আরো সাত দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন এসি ল্যান্ড  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আদর্শ সদর মো: মেহেদী হাসান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানা যায় এসকল দালালরা সেবা নিতে আসা রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হয়রানি করে। বিভিন্ন প্রাইভেট মানহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সহায়তায় তালিকা করে চিহ্নিত দালালদের সাজা দেয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে কুমিলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান   হাসপাতালটি দালালমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।