Dhaka 6:04 pm, Monday, 20 May 2024

গাইবান্ধায় নীতিমালা ভঙ্গ করে এক জনপ্রতিনিধিকে ৯০ লাখ টাকার কাজ দেওয়ার অভিযোগ

আইন ভঙ্গ করে গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এক জনপ্রতিনিধিকে প্রায় ৯০ লাখ টাকার অগভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সায়হান আলী গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিককে এই দেন। এনিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার (জেলা পরিষদ বিভাগ) সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ ধারা-৬ এর উপ-ধারা (২) এর (ঙ) উল্লেখ আছে-কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না-যদি তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। অর্থাৎ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন তালিকাভুক্ত প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। যেহেতু তিনি গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদার হিসেবে লাভজনক কাজে নিয়োজিত। তাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোন ঠিকাদারি কাজ করতে পারবেন না। এই আইন ভঙ্গ করে ২০২৩ সালে ২ অক্টোবর আবু বকর সিদ্দিকের নামে প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩৮টি অগভীর নলকুপ স্থাপনের কার্যাদেশ দিয়েছেন।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওয়ায় গাইবান্ধা  জেলায় ২ হাজার ১০৬ টি টিউবওয়েল স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়। এ হিসেবে  প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে জেলার মোট ৮১টি ইউনিয়নে এ সব নলকুপ স্থাপিত হবে। এজন্য দরপত্র আহবান ও কার্যাদেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৩৩৮টি টিউবওয়েল (৬ নম্বর) ও ৩৮ মিলিমিটার ডায়ার হ্যান্ড পাম্প স্থাপনের কাজ পান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার আবু বকর সিদ্দিক। যার স্মারক নম্বর ৪৬.০৩.৩২০০.০৬১.১৪.০২১.২০-৯৭৭ (৮৪০৮২৩। ফলে জনপ্রতিনিধি ঠিকাদারী কাজ পাওয়ায় শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।আবেদনে আরও বলা হয়, একই দপ্তরে ৪২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে কার্যাদেশ প্রদান করেন। এই কার্যাদেশ পাওয়ার পর একই বছরের ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে কাজ থেকে বিরত বা চুক্তিপত্র বাতিল না করে তিনি সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ বাস্তবায়ন করেন।যার স্মারক নম্বর ৪৬.০৩.০০০০.০৬১.১৪.০২১.২০-৪১০।
এছাড়া কোন দরপত্র আহবান ছাড়াই জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিলের প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভাউচারের মাধ্যমে ব্যয় করে পরিষদ চত্বরে নির্মিত মসজিদ গত ১৯ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন।
https://youtu.be/8FgbFvYAEwg?si=RToiR5hxnlQPVV7T

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

গাইবান্ধায় নীতিমালা ভঙ্গ করে এক জনপ্রতিনিধিকে ৯০ লাখ টাকার কাজ দেওয়ার অভিযোগ

Update Time : 04:21:44 pm, Sunday, 11 February 2024
আইন ভঙ্গ করে গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এক জনপ্রতিনিধিকে প্রায় ৯০ লাখ টাকার অগভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সায়হান আলী গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিককে এই দেন। এনিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার (জেলা পরিষদ বিভাগ) সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালন
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ ধারা-৬ এর উপ-ধারা (২) এর (ঙ) উল্লেখ আছে-কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না-যদি তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। অর্থাৎ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন তালিকাভুক্ত প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। যেহেতু তিনি গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদার হিসেবে লাভজনক কাজে নিয়োজিত। তাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোন ঠিকাদারি কাজ করতে পারবেন না। এই আইন ভঙ্গ করে ২০২৩ সালে ২ অক্টোবর আবু বকর সিদ্দিকের নামে প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩৮টি অগভীর নলকুপ স্থাপনের কার্যাদেশ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় মাটির নিচে  মিলল প্রাচীন ‘দুর্গ নগরীর’
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওয়ায় গাইবান্ধা  জেলায় ২ হাজার ১০৬ টি টিউবওয়েল স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়। এ হিসেবে  প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে জেলার মোট ৮১টি ইউনিয়নে এ সব নলকুপ স্থাপিত হবে। এজন্য দরপত্র আহবান ও কার্যাদেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৩৩৮টি টিউবওয়েল (৬ নম্বর) ও ৩৮ মিলিমিটার ডায়ার হ্যান্ড পাম্প স্থাপনের কাজ পান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার আবু বকর সিদ্দিক। যার স্মারক নম্বর ৪৬.০৩.৩২০০.০৬১.১৪.০২১.২০-৯৭৭ (৮৪০৮২৩। ফলে জনপ্রতিনিধি ঠিকাদারী কাজ পাওয়ায় শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।আবেদনে আরও বলা হয়, একই দপ্তরে ৪২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে কার্যাদেশ প্রদান করেন। এই কার্যাদেশ পাওয়ার পর একই বছরের ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে কাজ থেকে বিরত বা চুক্তিপত্র বাতিল না করে তিনি সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ বাস্তবায়ন করেন।যার স্মারক নম্বর ৪৬.০৩.০০০০.০৬১.১৪.০২১.২০-৪১০।
এছাড়া কোন দরপত্র আহবান ছাড়াই জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিলের প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভাউচারের মাধ্যমে ব্যয় করে পরিষদ চত্বরে নির্মিত মসজিদ গত ১৯ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ
https://youtu.be/8FgbFvYAEwg?si=RToiR5hxnlQPVV7T