Dhaka 7:45 pm, Saturday, 18 May 2024

বরখাস্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ ভাঙচুর, টাকা লুটপাটের অভিযোগ

কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে বরখাস্ত অধ্যক্ষ মো. ছামিউল ইসলাম ভাড়াটে সন্ত্রাসী দল নিয়ে কলেজে ভাঙচুর করেছেন। তিনি অফিসে ঢুকে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। এসময় কলেজের প্রায় দুই লক্ষ টাকাও লুট করে নিয়ে যান তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ ধর্মপুর জব্বার ডিগ্রি কলেজে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ওই কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, ছামিউল ইসলাম অবৈধভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগ তার এমপিও বাতিল করে। পরবর্তীতে তিনি তার আপন বড় ভাই হাবিবুর রহমানকে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি করে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য করেন। ছামিউল ইসলামের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল তাকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি বরখাস্ত হওয়ার পরেও সোনালী ব্যাংক, গাইবান্ধা প্রধান শাখা থেকে তথ্য গোপন করে কলেজ নামীয় হিসাব হতে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যা চলমান রয়েছে। এসব নিয়ে খুব ক্ষুব্ধ ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম। তিনি গত ২৩ এপ্রিল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে ভাংচুর চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা লুটপাট করে নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. এহেতাসামুল হক, মো. শফিউল ইসলাম, এসএম মমিনুর রহমান, মিজানুর রহমান, শফিকুর রহমান, রওশন আরা বেগম, রাশেদা বেগম, জায়েদা আনছারী, তপন কুমার বর্মন, মো. মাজেদ হাউলিদার, আব্দুস সালাম প্রমুখ।

One thought on “বরখাস্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ ভাঙচুর, টাকা লুটপাটের অভিযোগ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

বরখাস্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ ভাঙচুর, টাকা লুটপাটের অভিযোগ

Update Time : 05:02:00 pm, Wednesday, 24 April 2024
কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে বরখাস্ত অধ্যক্ষ মো. ছামিউল ইসলাম ভাড়াটে সন্ত্রাসী দল নিয়ে কলেজে ভাঙচুর করেছেন। তিনি অফিসে ঢুকে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। এসময় কলেজের প্রায় দুই লক্ষ টাকাও লুট করে নিয়ে যান তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ ধর্মপুর জব্বার ডিগ্রি কলেজে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ওই কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:গাইবান্ধায় ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ২ কার্ভাড ভ্যান জব্দ
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, ছামিউল ইসলাম অবৈধভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগ তার এমপিও বাতিল করে। পরবর্তীতে তিনি তার আপন বড় ভাই হাবিবুর রহমানকে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি করে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য করেন। ছামিউল ইসলামের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল তাকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি বরখাস্ত হওয়ার পরেও সোনালী ব্যাংক, গাইবান্ধা প্রধান শাখা থেকে তথ্য গোপন করে কলেজ নামীয় হিসাব হতে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যা চলমান রয়েছে। এসব নিয়ে খুব ক্ষুব্ধ ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম। তিনি গত ২৩ এপ্রিল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে ভাংচুর চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা লুটপাট করে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ২০ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধন
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. এহেতাসামুল হক, মো. শফিউল ইসলাম, এসএম মমিনুর রহমান, মিজানুর রহমান, শফিকুর রহমান, রওশন আরা বেগম, রাশেদা বেগম, জায়েদা আনছারী, তপন কুমার বর্মন, মো. মাজেদ হাউলিদার, আব্দুস সালাম প্রমুখ।