Dhaka 3:41 am, Monday, 20 May 2024

ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা

চা আসলেই চমৎকার পানীয়। বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চা মেলে। চায়ের কত ধরণ আর স্বাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাদে আলাদা হলেও এর কদর কিন্তু কোথাও কম নয়। আর এ রোজার সময় সারা দিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করতে চা প্রেমিদের ইফতারের পর এক কাপ চা যেন জাদুর মত কাজ করে। আর সেটা যদি হয় ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা, তাহলে তো কথাই নেই। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর গুলশান এলাকার ৫২ নম্বর রোডে “ব্যাচেলর এক্সপ্রেস” নামের একটি দোকানে। তবে অন্যান্য চায়ের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম এই চা। উপকরণ ও প্রস্তুতকরণেও আছে ভিন্নতা। এই চা খেতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন বলে জানান রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা তরুণ দুই বন্ধু আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। এ ব্যাপারে তারা দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি গরু

এ বিষয়ে মাহবুব হাসান জানালেন, তিনি আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সেখানেই প্রথম এই চা খান। উটের গুড়া দুধ দিয়ে মূলত এই চা তৈরি করা হয়। এরপর দেশে যখন ব্যবসা শুরু করলেন, তখন এই চা বিক্রির চিন্তা মাথায় আনেন। তিনি জানান, আমি দুবাইতে থাকাকালে এটা খেয়েছিলাম। তো এটা গরুর দুধের মতো না। পরে যখন দেশে আমি রেস্টুরেন্ট দিলাম তখন এটা রাখলাম। বাংলাদেশের মানুষ খাবার পিপাসু। নতুন কিছু পেলেই লোকজন আসে। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশে আর কোথাও পাওয়া যায় না। তারা সবসময় তো খাবে না। তাই শখের বশে ৪০০ টাকা খুব বেশি না।

আরো পড়ুন:ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করবে সরকার

মাহবুব জানান, দুবাইয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসা আছে। সেখান থেকেই আনেন এই দুধ। আগের দিন জানালে পরের দিন এই গুঁড়া দুধ তার হাতে চলে আসে বলেও জানান তিনি। প্রতি প্যাকেট উটের গুঁড়া দুধের মেয়াদ এক বছর বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:ইফতারে মজাদার ব্রেড হালুয়া

কামাল উদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনে অনেক রকম চা খেয়েছি। পরে যখন পত্রিকায় খবর দেখলাম উটের দুধের চা পাওয়া যাচ্ছে, তখন এটার স্বাদ নিতে আসলাম। বলা হয়েছিল এই চা নাকি ব্যতিক্রম। তো এসেও তাই-ই দেখলাম, একটু ব্যতিক্রম। নাসির উদ্দীন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এটার স্বাদ একটু ব্যতিক্রম, ঘ্রাণটাও আলাদা। না খেলে বুঝা যাবে না। গুলশানের এই ক্যাফেটি খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে গেলেই পাওয়া যাবে উটের ‍দুধের চা।

2 thoughts on “ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা

Update Time : 03:14:14 pm, Friday, 5 April 2024

চা আসলেই চমৎকার পানীয়। বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চা মেলে। চায়ের কত ধরণ আর স্বাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাদে আলাদা হলেও এর কদর কিন্তু কোথাও কম নয়। আর এ রোজার সময় সারা দিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করতে চা প্রেমিদের ইফতারের পর এক কাপ চা যেন জাদুর মত কাজ করে। আর সেটা যদি হয় ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা, তাহলে তো কথাই নেই। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর গুলশান এলাকার ৫২ নম্বর রোডে “ব্যাচেলর এক্সপ্রেস” নামের একটি দোকানে। তবে অন্যান্য চায়ের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম এই চা। উপকরণ ও প্রস্তুতকরণেও আছে ভিন্নতা। এই চা খেতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন বলে জানান রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা তরুণ দুই বন্ধু আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। এ ব্যাপারে তারা দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি গরু

এ বিষয়ে মাহবুব হাসান জানালেন, তিনি আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সেখানেই প্রথম এই চা খান। উটের গুড়া দুধ দিয়ে মূলত এই চা তৈরি করা হয়। এরপর দেশে যখন ব্যবসা শুরু করলেন, তখন এই চা বিক্রির চিন্তা মাথায় আনেন। তিনি জানান, আমি দুবাইতে থাকাকালে এটা খেয়েছিলাম। তো এটা গরুর দুধের মতো না। পরে যখন দেশে আমি রেস্টুরেন্ট দিলাম তখন এটা রাখলাম। বাংলাদেশের মানুষ খাবার পিপাসু। নতুন কিছু পেলেই লোকজন আসে। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশে আর কোথাও পাওয়া যায় না। তারা সবসময় তো খাবে না। তাই শখের বশে ৪০০ টাকা খুব বেশি না।

আরো পড়ুন:ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করবে সরকার

মাহবুব জানান, দুবাইয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসা আছে। সেখান থেকেই আনেন এই দুধ। আগের দিন জানালে পরের দিন এই গুঁড়া দুধ তার হাতে চলে আসে বলেও জানান তিনি। প্রতি প্যাকেট উটের গুঁড়া দুধের মেয়াদ এক বছর বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:ইফতারে মজাদার ব্রেড হালুয়া

কামাল উদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনে অনেক রকম চা খেয়েছি। পরে যখন পত্রিকায় খবর দেখলাম উটের দুধের চা পাওয়া যাচ্ছে, তখন এটার স্বাদ নিতে আসলাম। বলা হয়েছিল এই চা নাকি ব্যতিক্রম। তো এসেও তাই-ই দেখলাম, একটু ব্যতিক্রম। নাসির উদ্দীন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এটার স্বাদ একটু ব্যতিক্রম, ঘ্রাণটাও আলাদা। না খেলে বুঝা যাবে না। গুলশানের এই ক্যাফেটি খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে গেলেই পাওয়া যাবে উটের ‍দুধের চা।