Dhaka 1:05 pm, Monday, 13 May 2024

‘১০ বছরে ১০০ ক্যানসার-কিডনি রোগীর চিকিৎসা করিয়েছি’

ক্লাস নাইন থেকে সংগীত চর্চার সূচনা। এরপর বন্ধুদের নিয়ে ব্যান্ড গড়ে তোলা এবং মৌলিক গানসহ আত্মপ্রকাশ। অতঃপর তরুণ প্রজন্মের কাছে আলাদা অবস্থান করে নেওয়া। বলছি ‘অ্যাশেজ’ ব্যান্ডের ভোকাল জুনায়েদ ইভানের কথা। গানের পাশাপাশি সমাজ সেবাতেও বেশ সরব এই সঙ্গীতশিল্পী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে ইভান লিখেছেন, কোনোরকম ফেসবুক লাইভ কিংবা সংগঠন না খুলে, অ্যাওয়ার্ড, গণমাধ্যম, প্রচারণা ছাড়া গত ১০ বছরে চিকিৎসা করিয়েছি ১০০ জন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী অথবা জটিল কিডনি রোগীদের। যাদের অনেকে বেঁচে আছেন। অনেকে মারা গেছেন। শ্রোতাপ্রিয় এই গায়ক আরও লিখেছেন, ‘অ্যাশেজ’ এমন একটি ব্যান্ড যারা প্রত্যেকটি কনসার্ট থেকে উপার্জিত টাকার একটি ভাগ খরচ করে মানুষের জন্য। এটা চলতে থাকবে। গ্রাম থেকে গ্রামে। শহর থেকে শহরে।

আরো পড়ুন:নিজেকে আড়ালে রাখার কারণ জানালেন জেমস

বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, আমরা কখনও চাইনি কোনো ব্যানারের মাধ্যমে কাজটি করতে। যখন কনসার্ট করতাম তখন অনেকেই এসে বলতেন একজনের ক্যানসার হয়েছে কিংবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। আপনি যদি কনসার্টটি করে দেন তাহলে ওই রোগীর চিকিৎসার খরচ তোলা সহজ হয়। তখন মনে হয়েছে কাজটি আমার জন্য সহজ। এরপর থেকে প্রতিমাসে এক-দুটি করে চ্যারিটি শো করতে থাকি। অনেক সময় নিজেই অ্যারেঞ্জ করতাম। কনসার্ট থেকে টাকা তুলতাম। একইসঙ্গে দেশজুড়ে যারা বিচ্ছিন্নভাবে ক্যাম্পেইন করেন তাদের বলতাম অর্থ সংগ্রহ করে ওই ব্যাক্তিকে (রোগী) সহায়তা করতে।

আরো পড়ুন:‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন ড্রামার তিতি

ইভান আরও বলেন, আমরা সবসময় মানুষের কাছে টাকা না চেয়ে মাঝে মাঝে নিজেরাই কনসার্ট থেকে আয়ের একটা অংশ দেওয়া শুরু করি। চ্যারিটি করা শুরু করি। ওইসব কনসার্ট থেকে পাওয়া আমার পারিশ্রমিকের পুরোটাই দিতাম। পাশাপাশি সাউন্ডের লোকজনসহ আরও যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদেরও চ্যারিটি কনসার্টগুলো থেকে পারিশ্রমিক কম নিতে বলতাম। তারাও হাসিমুখে কম নিতেন। সেসময় আমাদের সঙ্গে অন্য যে ব্যান্ডগুলো গান করত তারাও এ ব্যাপারে সাহায্য করত। নামেমাত্র পারিশ্রমিক নিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় একটা অংশ ভালো অংকের অর্থ সাহায্য করত। তখন আমার মনে হয়েছে মানুষ আসলেই অনেক ভালো।

2 thoughts on “‘১০ বছরে ১০০ ক্যানসার-কিডনি রোগীর চিকিৎসা করিয়েছি’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

‘১০ বছরে ১০০ ক্যানসার-কিডনি রোগীর চিকিৎসা করিয়েছি’

Update Time : 03:02:49 pm, Sunday, 28 April 2024

ক্লাস নাইন থেকে সংগীত চর্চার সূচনা। এরপর বন্ধুদের নিয়ে ব্যান্ড গড়ে তোলা এবং মৌলিক গানসহ আত্মপ্রকাশ। অতঃপর তরুণ প্রজন্মের কাছে আলাদা অবস্থান করে নেওয়া। বলছি ‘অ্যাশেজ’ ব্যান্ডের ভোকাল জুনায়েদ ইভানের কথা। গানের পাশাপাশি সমাজ সেবাতেও বেশ সরব এই সঙ্গীতশিল্পী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে ইভান লিখেছেন, কোনোরকম ফেসবুক লাইভ কিংবা সংগঠন না খুলে, অ্যাওয়ার্ড, গণমাধ্যম, প্রচারণা ছাড়া গত ১০ বছরে চিকিৎসা করিয়েছি ১০০ জন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী অথবা জটিল কিডনি রোগীদের। যাদের অনেকে বেঁচে আছেন। অনেকে মারা গেছেন। শ্রোতাপ্রিয় এই গায়ক আরও লিখেছেন, ‘অ্যাশেজ’ এমন একটি ব্যান্ড যারা প্রত্যেকটি কনসার্ট থেকে উপার্জিত টাকার একটি ভাগ খরচ করে মানুষের জন্য। এটা চলতে থাকবে। গ্রাম থেকে গ্রামে। শহর থেকে শহরে।

আরো পড়ুন:নিজেকে আড়ালে রাখার কারণ জানালেন জেমস

বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, আমরা কখনও চাইনি কোনো ব্যানারের মাধ্যমে কাজটি করতে। যখন কনসার্ট করতাম তখন অনেকেই এসে বলতেন একজনের ক্যানসার হয়েছে কিংবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। আপনি যদি কনসার্টটি করে দেন তাহলে ওই রোগীর চিকিৎসার খরচ তোলা সহজ হয়। তখন মনে হয়েছে কাজটি আমার জন্য সহজ। এরপর থেকে প্রতিমাসে এক-দুটি করে চ্যারিটি শো করতে থাকি। অনেক সময় নিজেই অ্যারেঞ্জ করতাম। কনসার্ট থেকে টাকা তুলতাম। একইসঙ্গে দেশজুড়ে যারা বিচ্ছিন্নভাবে ক্যাম্পেইন করেন তাদের বলতাম অর্থ সংগ্রহ করে ওই ব্যাক্তিকে (রোগী) সহায়তা করতে।

আরো পড়ুন:‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন ড্রামার তিতি

ইভান আরও বলেন, আমরা সবসময় মানুষের কাছে টাকা না চেয়ে মাঝে মাঝে নিজেরাই কনসার্ট থেকে আয়ের একটা অংশ দেওয়া শুরু করি। চ্যারিটি করা শুরু করি। ওইসব কনসার্ট থেকে পাওয়া আমার পারিশ্রমিকের পুরোটাই দিতাম। পাশাপাশি সাউন্ডের লোকজনসহ আরও যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদেরও চ্যারিটি কনসার্টগুলো থেকে পারিশ্রমিক কম নিতে বলতাম। তারাও হাসিমুখে কম নিতেন। সেসময় আমাদের সঙ্গে অন্য যে ব্যান্ডগুলো গান করত তারাও এ ব্যাপারে সাহায্য করত। নামেমাত্র পারিশ্রমিক নিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় একটা অংশ ভালো অংকের অর্থ সাহায্য করত। তখন আমার মনে হয়েছে মানুষ আসলেই অনেক ভালো।