Dhaka 2:16 pm, Friday, 17 May 2024

বাংলাদেশ-নেপালের বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তুষ্টি সচিবদের

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ৭ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভায় দুদেশের মধ্য বিরাজমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে উপস্থিত প্রতিনিধিরা। গত ১৮ থেকে ১৯ এপ্রিল নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সভায় এ অভিমত প্রকাশ করা হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং নেপাল প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের বাণিজ্য সচিব দীনেশ কুমার ঘিমিরে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলে দু’দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সপ্তম সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরো পড়ুন:ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

এছাড়া দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাধা দূরীকরণে একটি প্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ট্রেড নেগোসিয়েশন কমিটির (টিএসসি) সভা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। বাংলাদেশ ও নেপাল উভয় দেশ প্রতিবন্ধকতাবিহীন বাণিজ্য যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কার্গো চলাচলের ক্ষেত্রে বিবিআইএন-এমভিএ এর আওতায় কার্গো প্রটোকল বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ ও নেপাল ২০২৬ সালে একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে পারস্পারিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতে সাম্প্রতিককালে নেপালের সঙ্গে সৃষ্ট সহযোগিতার প্রশংসা করে দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও নির্ধারিত সঞ্চালন অবকাঠামো এবং বিনিয়োগ সুরক্ষা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।

সভায় উভয়পক্ষ কৃষি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কারিগরি প্রবিধান সহজীকরণ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারকসমূহের বাস্তবায়নে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণে একমত হন। সমঝোতা স্মারকসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। পারস্পারিক শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসন এবং সহজীকরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে কাস্টমস সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় দেশ সম্মত হয়। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নেপালের ভিসা পদ্ধতি সহজীকরণ ও ত্বরান্বিতকরণের জন্য নেপালকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। পরবর্তী ৮ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা উভয় পক্ষের সুবিধামত সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

বাংলাদেশ-নেপালের বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তুষ্টি সচিবদের

Update Time : 01:11:21 pm, Sunday, 21 April 2024

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ৭ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভায় দুদেশের মধ্য বিরাজমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে উপস্থিত প্রতিনিধিরা। গত ১৮ থেকে ১৯ এপ্রিল নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সভায় এ অভিমত প্রকাশ করা হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং নেপাল প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের বাণিজ্য সচিব দীনেশ কুমার ঘিমিরে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলে দু’দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সপ্তম সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরো পড়ুন:ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

এছাড়া দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাধা দূরীকরণে একটি প্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ট্রেড নেগোসিয়েশন কমিটির (টিএসসি) সভা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। বাংলাদেশ ও নেপাল উভয় দেশ প্রতিবন্ধকতাবিহীন বাণিজ্য যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কার্গো চলাচলের ক্ষেত্রে বিবিআইএন-এমভিএ এর আওতায় কার্গো প্রটোকল বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ ও নেপাল ২০২৬ সালে একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে পারস্পারিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতে সাম্প্রতিককালে নেপালের সঙ্গে সৃষ্ট সহযোগিতার প্রশংসা করে দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও নির্ধারিত সঞ্চালন অবকাঠামো এবং বিনিয়োগ সুরক্ষা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।

সভায় উভয়পক্ষ কৃষি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কারিগরি প্রবিধান সহজীকরণ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারকসমূহের বাস্তবায়নে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণে একমত হন। সমঝোতা স্মারকসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। পারস্পারিক শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসন এবং সহজীকরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে কাস্টমস সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় দেশ সম্মত হয়। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নেপালের ভিসা পদ্ধতি সহজীকরণ ও ত্বরান্বিতকরণের জন্য নেপালকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। পরবর্তী ৮ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা উভয় পক্ষের সুবিধামত সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।