Dhaka 8:25 pm, Thursday, 9 May 2024

আনসার সদস্য স্বামীকে নিয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

৮ম শ্রেণী পাশ আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম (৩৮)। বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কর্মরত আছেন ঢাকার সুত্রাপুর থানায়। বিয়ে করেছেন ৭টি। যেখানেই যান সেখানেই বিয়ে করেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে। বর্তমানে ৩ নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে আর ৬ষ্ট স্ত্রী যশোরের বেনাপোল রয়েছে। ২ স্ত্রীর ২ টি সন্তান রয়েছে। ৬ষ্ট স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কণ্যাকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে আসেন ঝিনাইদহের পবহাটিতে। সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিতে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। উপায় না পেয়ে কোনমত পালিয়ে বাঁচে আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।
৬ষ্ট স্ত্রী সাথী জানায়, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমাদের এলাকায় আসতো। নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। তার কথায় ভুলে আমার পরিবার ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তার সাথে বিয়ে দেয়। সেই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আমার কাছেই থাকতো। ২২ সালে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে আমার খোজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। আমার ও আমার সন্তানের কোন খরচ দিতো না। ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি এলাকার ওই মেয়ের সাথে। ২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিলো। আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে এসেছে। তারপর সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করছে। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর বাড়ি থেকে পালিয়েছে তরিকুল ইসলাম। আমি তরিকুল ও সেজুতির বিচার চাই। এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

One thought on “আনসার সদস্য স্বামীকে নিয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

আনসার সদস্য স্বামীকে নিয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

Update Time : 06:37:22 pm, Saturday, 27 April 2024
৮ম শ্রেণী পাশ আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম (৩৮)। বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কর্মরত আছেন ঢাকার সুত্রাপুর থানায়। বিয়ে করেছেন ৭টি। যেখানেই যান সেখানেই বিয়ে করেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে। বর্তমানে ৩ নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে আর ৬ষ্ট স্ত্রী যশোরের বেনাপোল রয়েছে। ২ স্ত্রীর ২ টি সন্তান রয়েছে। ৬ষ্ট স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কণ্যাকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে আসেন ঝিনাইদহের পবহাটিতে। সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিতে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। উপায় না পেয়ে কোনমত পালিয়ে বাঁচে আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:কালীগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৬ষ্ট স্ত্রী সাথী জানায়, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমাদের এলাকায় আসতো। নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। তার কথায় ভুলে আমার পরিবার ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তার সাথে বিয়ে দেয়। সেই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আমার কাছেই থাকতো। ২২ সালে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে আমার খোজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। আমার ও আমার সন্তানের কোন খরচ দিতো না। ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি এলাকার ওই মেয়ের সাথে। ২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিলো। আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে এসেছে। তারপর সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করছে। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর বাড়ি থেকে পালিয়েছে তরিকুল ইসলাম। আমি তরিকুল ও সেজুতির বিচার চাই। এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।