![](https://dailysdiganta.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
কোনো শর্ত ছাড়াই রাস্তায় অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালাতে দিতে হবে- দাবি তুলে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোটা দেখা গেছে। আজ রবিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা। তারা মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকায় দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছে না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন। এতে মিরপুর ১২ থেকে ১০ নম্বরগামী যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রিকশাচালকরা দাবি করেন যে, কোনো শর্ত ছাড়া তাদের রাস্তায় অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালাতে দিতে হবে।
পল্লবী জোনের এসি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিস্তারিত পরে জানাব।’
এদিকে রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফারুকুল আলম বলেন, ‘মূল সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ব্যবহার রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বড় সমস্যা। এসব যান হুটহাট সড়কে চলে আসছে। সঙ্গে আছে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের দৌরাত্ম।’
আরও পড়ুন:রবিবার বন্ধ ঢাকার যেসব মার্কেট ও দোকানপাট
ওসি আরও বলেন, ‘ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূল সড়কে যেন অযান্ত্রিক যান চলাচল করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে এসব অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আমরা অটোরিকশা ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্যারেজেও অভিধান পরিচালনা করছি, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সম্প্রতি রাজধানীতে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত কোনো রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এই নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
সভায় তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এটা আগে কার্যকর করুন। এ ছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করুন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে অবৈধ এই পরিবহনের আনুমানিক সংখ্যা ৮ থেকে ১০ লাখ। সঙ্গে রয়েছে আরও দেড় থেকে দুই লাখ ইজিবাইক। এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। বিদ্যুৎচালিত এই পরিবহনের ব্যাটারি চার্জ করতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়, তা এসি ব্যবহার করেন না এমন প্রায় ১৫ লাখ আবাসিক গ্রাহকের চাহিদা পূরণ হতে পারে।