![](https://dailysdiganta.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে বগুড়ার আদমদীঘিতে চার্জারফ্যান, আইপিএস ও আইপিএস‘র ব্যাটারির চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। আদমদীঘিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বইছে তাপদাহ। তীব্র তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুতের লোডশেডিংও বেড়ে চলেছে। অসহ্য গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ভিড় করছেন চার্জার ফ্যান ও আইপিএস (ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই)-এর দোকানে। আর চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সুযোগে এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে বাজারে। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গত একমাসে ইলেকট্রিক পণ্যের বাজারে আকার ও মানভেদে প্রতিটি চার্জার ফ্যানে ১,০০০–২,০০০ টাকা, আইপিএস-এ ৩,০০০–৫,০০০ টাকা, আইপিএস ব্যাটারিতে ২,০০০–৫,০০০ টাকা এবং এসিতে ৫,০০০–৭,০০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ফ্যানের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। চার্জার ফ্যান, আইপিএস, আইপিএস্ এর ব্যাটারি কিনতে ভিড় করেছেন তারা।
শিক্ষার্থী নাসরিন জাহান লোডশেডিংয়ের সময় গরমে কষ্ট পেয়ে সান্তাহার সোনার বাংলা মার্কেটে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন মাঝারি মানের যে ফ্যান আগে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় পাওয়া যেত, তা এখন ৬,০০০ টাকা। কয়েকটি দোকানে ঘুরে দেখেছি; প্রতিটি ফ্যানে ১,৫০০–২,০০০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। সাজু ইলেকট্রনিক এর মালিক সাজু হোসেন বলেন গত এক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় দিনে ৭০–৮০টি চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে। গত মাসে এ বিক্রি ছিল দিনে সর্বোচ্চ ২০–৩০টি। চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি আইপিএসের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে, দিনে ১৫–২০টি আইপিএস বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিটি চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকায়। আর ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় একেকটি আইপিএসের দাম ২০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক মাসে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে ১,০০০–২০০০ টাকা। বাজারে এখন ১২ ইঞ্চি মাপের একটি চার্জার ফ্যানের দাম সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। চাহিদার কারণে ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানের পাশাপাশি অন্যান্য দোকানেও এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট বা মাঝারি আকারের চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। বাজারে ১৪, ১৬ ও ১৮ ইঞ্চির চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি।
চার্জার ফ্যানের মতো বাজারে আইপিএসেরও নানা ধরন বিক্রি হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি মাঝারি মানের ৮০০ থেকে ১,২০০ ওয়াটের আইপিএসের। এসব আইপিএসের দাম ব্র্যান্ডভেদে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, যা গত মাসের দামের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা বেশি। উপজেলার নশরৎপুর থেকে আইপিএস কিনতে আসা সায়েদুল হক অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা চাহিদাকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। এক বছর আগে যে আইপিএস ৩৫ হাজার টাকা ছিল, তা আজ এসে দেখি ৪০ হাজার টাকা। বাজারে লুমিনাস, রহিমআফরোজ, এক্সট্রিম ব্র্যান্ডের আইপিএসের চাহিদা বেশি বলে জানান এক বিক্রেতা। একই মার্কেটের আরেক বিক্রেতা শাহাজাজান খান জানান, তিনি গত এক সপ্তাহেই কমপক্ষে ১০০টি আইপিএস বিক্রি করেছেন। এদিকে আমদানি করা আইপিএসের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে স্থানীয়ভাবে বানানো আইপিএসেরও। অনেকে মেকানিকের দোকানে আসছেন নষ্ট চার্জার ফ্যান ও আইপিএস সারিয়ে নিতে। এ সুযোগে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও আইপিএসের ব্যাটারির দাম।
One thought on “আদমদীঘিতে লোডশেডিংয়ে বেড়েছে চার্জার ফ্যানের চাহিদা”