রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন বারিধারা কুটনীতিক পাড়া গুলশানে হেয়ার কাটিং সেলুন বিউটি পার্লার স্পা সেন্টারের নেপথ্যে চলছে জমজমাট মাদক ও যৌন ব্যবসা সহ ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। তবে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত পাপাচার জেনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। এসব অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়। তবুও এক শ্রেণীর নরপশু টাকার লোভে ব্যবসার নামে জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সমাজ নষ্ট করছে। মাদক আর নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে। অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশান বারিধারার সোহরাওয়ার্দী উদ্দানের ৫৫ নং বাড়িটির লিফটের ৪র্থ তলায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী পরিচয়দানকারী শামসুনাহার ওরফে ডলি এবং তার সহযোগী নারী চক্রের দালাল সিদ্দিক আবেরা নামক একটি স্পা সেন্টারের নামে দির্ঘদীন ধরেই চলছে তাদের নারী বাণিজ্য ও মাদক কারবার। অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং সেলুন অথবা স্পা সেন্টার খুলে দেদারসে দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা ফেদে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সু—সজ্জিত ১০টি কামরা, যেখানে অত্যান্ত সুন্দরী যুবতি রমনিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসংগি হচ্ছে। এ সকল অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন: গুলশানে স্পা সেন্টারকে ঘিরে ওসির বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের চেষ্টা
তবে উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী সিদ্দিক বলেন, ভাই আপনাদের যা খুশি করতে পারেন। এসব বিষয়ে পুলিশ প্রসাশনের জানা রযেছে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন আমাদের বিসয় অবগত রয়েছে। সিটি কপোর্রেশেনের বড় বড় কর্মকর্তারা আমাদের নিকট হতে মোটা অংকের পেমেন্ট নিয়ে থাকেন। তাই তারা কোন অভিযান বা জেল জরিমানা করেনা। তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে আমরা ব্যবসা করে থাকি। তাছাড়া বাড়িধারা এলাকার সোসাইটির সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ অনেকেই আমাদের নিকট হতে মাসোহারা নিয়ে থাকেন এবং তারা বিষয়গুলো জানেন। তিনি আরো বলেন, আমিতো মালিক না এই প্রতিষ্ঠানের মালিক শামসুনাহার ওরফে ডলি। তবে আমি তার এই ব্যবসাটাকে পরিচালনা করে থাকি। ম্যাডাম বিষয়গুলো দেখেন। আরো জানা গেছে, ডলি ও সিদ্দিক দেশ বিদেশ বহু আগ থেকেই নারী পাচার করে থাকতেন। কারন নারী পারে তাদের লাবজনক বেশি। কিন্তু সেটিকে ঢাকার জণ্য খুলে বসেছেন স্পার নামে নারী বাণিজ্য। তবে তার প্রতিষ্ঠানে যদি কোন সুন্দরী মেয়ে তাদের প্রস্তাবে বিদেশ গমনে যেতে রাজি না হন তহলে তাকে পরতে হয় বিপাকের মূখে। তবে সিদ্দিক কথায় কথায় বলেন, ভাই আমি কি জানি সব জানে ম্যাডাম। কিন্তু তার এই ম্যাডামের নিকট সুন্দরী নারী সংগ্রহ করে থাকেন তিনি নিজেই। তবে ডলির নিকট সত্যতার জন্য একাধিকবার ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে পুলিশ বলছে আমরা এবিষয়ে খুবই তৎপর। আমরা এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খুব শীর্ঘই অভিযান পরিচালনা করবো।
অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইলিং হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তসরুপ করে দিচ্ছে। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরাকারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি করে পাশ্চাত্য স্টাইলে সবচেয়ে নোংড়া ও নিকৃষ্ট পাপাচার, তারা জেনা ব্যাভিচারের অবৈধ যৌনতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধংষ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায় সেখানে প্রতিদিন অপরাধের ভয়ংকর প্রকৃতির লোকের সমাগম লক্ষ করা যায়। এমনকি প্রশাসনের কতিপয় অফিসার ও সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এবং অশ্লীল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী বিশ্বাসঘাতক জামাত চক্রের মদদ দাতা হিসেবে তারা সেখানে একত্রে মিলিত হচ্ছে। এরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নির্বিগ্নে সকল কাজ পরিচালনা করছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনে ও না জনার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতার চাদর মুড়ি দিয়ে রয়েছে। তা না হলে গুলশানের মত স্পর্সকাতর এলাকায় কিভাবে তারা এ ধরনের জঘন্য গর্হিত কর্মকান্ড চালাতে সাহস পাচ্ছে। তারা তাদের হীন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ। আরো বিস্তারিত আসছে পত্রিকার পাতায়।
আরও পড়ুন: গুলশানে অবৈধ স্পা সেন্টার সিলগালা
https://www.youtube.com/watch?v=N-7VsJ2A55s&t=6s