Dhaka 7:39 pm, Tuesday, 2 July 2024

জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় শেরেবাংলানগর এলাকায় জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীরা। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারতের পর দলের সিনিয়র নেতারা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে রাজধানীতে অসহায় মানুষের কাছে খাবার বিতরণ করবেন। এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের শাসনামলের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড নিয়ে বিষয়ভিত্তিক ১১ ধরনের লিফলেট বিতরণ এবং ২৫টি জেলা, মহানগর ও শহরে বই প্রদর্শনী করা হবে।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ বেঙ্গলের বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মণ্ডলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ডাক নাম ছিল কমল। তিনি বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

আরো পড়ুন:অপরাধী যেই হোক শাস্তি পেতেই হবে: বেনজীর ইস্যুতে কাদের

তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। এরপর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে নিহত হন। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা পরিচালিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ২০ জন শ্রেষ্ঠ বাঙালির মধ্যে জিয়াউর রহমানের নাম ১৯ নম্বরে উঠে আসে।

One thought on “জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা

Update Time : 03:38:56 pm, Thursday, 30 May 2024

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় শেরেবাংলানগর এলাকায় জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীরা। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারতের পর দলের সিনিয়র নেতারা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে রাজধানীতে অসহায় মানুষের কাছে খাবার বিতরণ করবেন। এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের শাসনামলের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড নিয়ে বিষয়ভিত্তিক ১১ ধরনের লিফলেট বিতরণ এবং ২৫টি জেলা, মহানগর ও শহরে বই প্রদর্শনী করা হবে।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ বেঙ্গলের বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মণ্ডলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ডাক নাম ছিল কমল। তিনি বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

আরো পড়ুন:অপরাধী যেই হোক শাস্তি পেতেই হবে: বেনজীর ইস্যুতে কাদের

তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। এরপর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে নিহত হন। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা পরিচালিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ২০ জন শ্রেষ্ঠ বাঙালির মধ্যে জিয়াউর রহমানের নাম ১৯ নম্বরে উঠে আসে।