Dhaka 6:50 pm, Tuesday, 2 July 2024

৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু-বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‌‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখা, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর করার দাবি মেনে না নিলে আগামী ১ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি হিসেবে কর্মবিরতি পালন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এতে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ফলে ১ জুলাই থেকে ক্লাসে ফেরা হবে কি-না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

আরো পড়ুন:প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা সরকারের

ঈদের ছুটি কাটিয়ে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে ১ জুলাই থেকে। আবার সেদিন থেকেই যদি শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যান তাহলে ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ-চালু রাখার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে  নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া। তিনি বলেন, আগামী ৩০ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে কর্মবিরতি বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেটা জানানো হবে।তবে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই ‘জল ঘোলা’ করা শুরু হয়েছে। ‘এডুকেশন নিউজ’ নামের একটি পেইজ থেকে করা এক ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক কল্যাণ সমিতির বরাত দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার দেওয়া হয়েছে দেখা যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।পোস্টে বলা হয়, ‘১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব পাবলিক ইউনিভার্সিটির ক্লাস এবং পরীক্ষা স্থগিত।’প্রকাশিত খবরের কনটেক্সট হিসেবে কমেন্টে বলা হয়, ‘সর্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন বহাল থাকবে ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।’এ বিষয়ে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, ভুয়া নিউজ এটা। যাদের বরাতে বলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে সে নামে কোনো সমিতিকে আমরা চিনিই না। এখনো আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা  এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। তাছাড়া আগামী ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হবে।

One thought on “৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু-বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু-বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

Update Time : 11:20:11 am, Saturday, 29 June 2024

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‌‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখা, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর করার দাবি মেনে না নিলে আগামী ১ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি হিসেবে কর্মবিরতি পালন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এতে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ফলে ১ জুলাই থেকে ক্লাসে ফেরা হবে কি-না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

আরো পড়ুন:প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা সরকারের

ঈদের ছুটি কাটিয়ে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে ১ জুলাই থেকে। আবার সেদিন থেকেই যদি শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যান তাহলে ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ-চালু রাখার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে  নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া। তিনি বলেন, আগামী ৩০ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে কর্মবিরতি বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেটা জানানো হবে।তবে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই ‘জল ঘোলা’ করা শুরু হয়েছে। ‘এডুকেশন নিউজ’ নামের একটি পেইজ থেকে করা এক ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক কল্যাণ সমিতির বরাত দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার দেওয়া হয়েছে দেখা যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।পোস্টে বলা হয়, ‘১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব পাবলিক ইউনিভার্সিটির ক্লাস এবং পরীক্ষা স্থগিত।’প্রকাশিত খবরের কনটেক্সট হিসেবে কমেন্টে বলা হয়, ‘সর্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন বহাল থাকবে ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।’এ বিষয়ে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, ভুয়া নিউজ এটা। যাদের বরাতে বলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে সে নামে কোনো সমিতিকে আমরা চিনিই না। এখনো আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা  এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। তাছাড়া আগামী ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হবে।