মামলা সূত্রে জানা যায়, রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী হাওলাদারের পুত্র মো: শামীম হাওলাদার দীর্ঘদিন যাবত শ্যামপুর গ্রামের অসহায় পরিবারের লোকজন থেকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালি ভাতার কার্ড দেয়ার নামে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। এমনি এক অসহায় পরিবারের মমতাজ বেগমের থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে শামীম ৪ হাজার টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন পার হলেও তাকে কার্ড করে দেয়নি। পরবর্তীতে মমতাজ বেগম কার্ড না পেয়ে তার বাড়ির মানুষকে জানালে হযরত আলীর পুত্র মো: কামরুল হাওলাদার তার চাচি মমতাজের কার্ডের বিষয়ে শামীমের কাছে জানতে চাইলে কামরুলের সাথে শামীমের কথা কাটাকাটি হয়। তখন রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন শিকদার উভয়পক্ষকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে দেয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে শামীম হাওলাদার কামরুল ও তার ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ১৯ মার্চ মঙ্গলবার রঙ্গশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান বশির শিকদারের বাড়ির সামনে পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলার সময় কামরুল ও তার ভাইকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে হেলাল হাওলাদার, হেমায়েত হাওলাদার, সজীব হাওলাদার, হযরত আলী হাওলাদার ও চম্পা বেগমের উপর হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হেলাল হাওলাদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। গুরুতর আহত হেলাল হাওলাদার এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামিরা পালাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।