Dhaka 10:15 am, Monday, 1 July 2024

এ হাসির রহস্য কি?

অনেকদিন পর দেখা হলো আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ও বিদ্যা সিনহা মিমের। আর এই দেখাকে তারা স্মরণীয় করে রাখলেন। কারণ তাদের মধ্যে দেখা হওয়া মাত্র যে হাসির উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয় তা চিরদিন মনে রাখার মত। অনেকেই মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন। এই হাসির কি রহস্য? তা জানার আগ্রহ জন্মেছে অনেকের মধ্যে। উপরের ছবিটি তাকিয়ে দেখুন, কী মনে হচ্ছে? বিদ্যা সিনহা মিম আর পরীমনির প্রাণখোলা হাসির মুহূর্তটি যেন বলে দিচ্ছে, তারা দু’জন বহুদিনের পুরোনো বান্ধবী, হরিহর আত্মা।মজার কোনো বিষয় নিয়ে তাদের একসঙ্গে এভাবে হাসিতে ফেটে পড়তে আগে কখনও দেখা যায়নি। এমন দৃশ্য অনেকে কল্পনাও করতে পারেনি। কারণ, একটাই, স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজের প্রেম চলছে–এমন সন্দেহের বশে মিমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন পরীমণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একে পর এক পোস্টের মধ্য দিয়ে বাক্যবাণে জর্জরিত করেছিলেন। সে কারণেই রাজ-মিম জুটি ভেঙে গেছে সহজেই। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার পর আর কখনোই তারা একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।

তাই আবার একমঞ্চে মিম, পরীকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া, কাঁধে হাত রেখে হাসিতে ফেটে পড়তে দেখা–যে কাউকে অবাক করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, পেশাদারিত্বের খাতিরে মিথ্যা অভিনয়? নাকি এর পেছনে আছে অন্য গল্প? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মিম সোজাসাপ্টা স্বীকার করেছেন, পরীর সঙ্গে তার যে মনোমালিন্য ছিল, তা সহজেই দূর হয়ে গেছে ‘ঢাকা ফ্যাশন ডে’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। মিম বলেন, ‘দুই বছর আগে পরীমনি আমার জন্মদিনের রাতে ফেসবুকে একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে সবার সমানে অপমান করেছিল, হেয় করেছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এর পর থেকে আমি এড়িয়ে চলি তাকে। এদিন স্টেজে ওঠার আগে মঞ্চের পেছনে সবার সঙ্গে আমিও দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ পরীমনি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, “এই তুমি আমার ওপর রাগ করে আছো? আমি সরি, ওসব কথা আর মনে রেখো না। ওসব ভুলে যাও। এই তুমি আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না?” এ ধরনের নানা কথা বলতে থাকে। আমি তো অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই এসে জড়িয়ে ধরার বিষয়টি আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ওই সময় সাবিলা নূর, তানজিন তিশাসহ অনেকেই বিষয়টি দেখেছেন।’ মিম জানালেন, মঞ্চে ওঠার আগে, এমনকি অনুষ্ঠান শেষে চলে আসার সময়ও আরও দুবার একইভাবে জড়িয়ে ধরে ওই সব কথাই বলতে থাকেন পরীমনি মিম আরও বলেন, ‘প্রতিবার ওই একই কথা। আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না? আমার ওপর রাগ রাইখো না।

যা হওয়ার হয়েছে, ভুলে যাও। সবকিছুর জন্য আমি সরি।’ তখন পরীমণিকে আপনি কী বলেছিলেন, জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, অবশ্যই বাচ্চাকে ভালোবাসি। তার বাচ্চাকে দেখতে তার বাসায়ও গিয়েছিলাম একসময়, সেটাও বলেছি তাকে। তবে আমি যখন পরীকে উল্টো জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই বলে “পরী, আমার তো কোনো দোষ ছিল না, তাহলে তুমি কেন এ ধরনের মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো দেশবাসীর কাছে আমাকে ছোট করেছ। সে সময় আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম?” তখন পরী বলেছে, “আরে ওসব ভুলে যাও। আমি সরি ওসবের জন্য। আমাকে ক্ষমা করে দাও। ওসব কথা মনে রাইখো না, কষ্ট নিয়ো না প্লিজ।”’ তাহলে আপনি পরীমনিকে কি ক্ষমা করে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে মিম বলেন, ‘যেভাবে আমাকে বারবার জড়িয়ে ধরে নিজের ভুল স্বীকার করল, অনুতপ্ত হলো, মানুষমাত্রই তো ভুল হয়, আমার আর কী করার আছে। ক্ষমা করে দিয়েছি।’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

এ হাসির রহস্য কি?

Update Time : 04:27:42 pm, Sunday, 9 June 2024

অনেকদিন পর দেখা হলো আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ও বিদ্যা সিনহা মিমের। আর এই দেখাকে তারা স্মরণীয় করে রাখলেন। কারণ তাদের মধ্যে দেখা হওয়া মাত্র যে হাসির উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয় তা চিরদিন মনে রাখার মত। অনেকেই মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন। এই হাসির কি রহস্য? তা জানার আগ্রহ জন্মেছে অনেকের মধ্যে। উপরের ছবিটি তাকিয়ে দেখুন, কী মনে হচ্ছে? বিদ্যা সিনহা মিম আর পরীমনির প্রাণখোলা হাসির মুহূর্তটি যেন বলে দিচ্ছে, তারা দু’জন বহুদিনের পুরোনো বান্ধবী, হরিহর আত্মা।মজার কোনো বিষয় নিয়ে তাদের একসঙ্গে এভাবে হাসিতে ফেটে পড়তে আগে কখনও দেখা যায়নি। এমন দৃশ্য অনেকে কল্পনাও করতে পারেনি। কারণ, একটাই, স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজের প্রেম চলছে–এমন সন্দেহের বশে মিমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন পরীমণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একে পর এক পোস্টের মধ্য দিয়ে বাক্যবাণে জর্জরিত করেছিলেন। সে কারণেই রাজ-মিম জুটি ভেঙে গেছে সহজেই। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার পর আর কখনোই তারা একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।

তাই আবার একমঞ্চে মিম, পরীকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া, কাঁধে হাত রেখে হাসিতে ফেটে পড়তে দেখা–যে কাউকে অবাক করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, পেশাদারিত্বের খাতিরে মিথ্যা অভিনয়? নাকি এর পেছনে আছে অন্য গল্প? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মিম সোজাসাপ্টা স্বীকার করেছেন, পরীর সঙ্গে তার যে মনোমালিন্য ছিল, তা সহজেই দূর হয়ে গেছে ‘ঢাকা ফ্যাশন ডে’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। মিম বলেন, ‘দুই বছর আগে পরীমনি আমার জন্মদিনের রাতে ফেসবুকে একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে সবার সমানে অপমান করেছিল, হেয় করেছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এর পর থেকে আমি এড়িয়ে চলি তাকে। এদিন স্টেজে ওঠার আগে মঞ্চের পেছনে সবার সঙ্গে আমিও দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ পরীমনি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, “এই তুমি আমার ওপর রাগ করে আছো? আমি সরি, ওসব কথা আর মনে রেখো না। ওসব ভুলে যাও। এই তুমি আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না?” এ ধরনের নানা কথা বলতে থাকে। আমি তো অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই এসে জড়িয়ে ধরার বিষয়টি আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ওই সময় সাবিলা নূর, তানজিন তিশাসহ অনেকেই বিষয়টি দেখেছেন।’ মিম জানালেন, মঞ্চে ওঠার আগে, এমনকি অনুষ্ঠান শেষে চলে আসার সময়ও আরও দুবার একইভাবে জড়িয়ে ধরে ওই সব কথাই বলতে থাকেন পরীমনি মিম আরও বলেন, ‘প্রতিবার ওই একই কথা। আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না? আমার ওপর রাগ রাইখো না।

যা হওয়ার হয়েছে, ভুলে যাও। সবকিছুর জন্য আমি সরি।’ তখন পরীমণিকে আপনি কী বলেছিলেন, জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, অবশ্যই বাচ্চাকে ভালোবাসি। তার বাচ্চাকে দেখতে তার বাসায়ও গিয়েছিলাম একসময়, সেটাও বলেছি তাকে। তবে আমি যখন পরীকে উল্টো জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই বলে “পরী, আমার তো কোনো দোষ ছিল না, তাহলে তুমি কেন এ ধরনের মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো দেশবাসীর কাছে আমাকে ছোট করেছ। সে সময় আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম?” তখন পরী বলেছে, “আরে ওসব ভুলে যাও। আমি সরি ওসবের জন্য। আমাকে ক্ষমা করে দাও। ওসব কথা মনে রাইখো না, কষ্ট নিয়ো না প্লিজ।”’ তাহলে আপনি পরীমনিকে কি ক্ষমা করে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে মিম বলেন, ‘যেভাবে আমাকে বারবার জড়িয়ে ধরে নিজের ভুল স্বীকার করল, অনুতপ্ত হলো, মানুষমাত্রই তো ভুল হয়, আমার আর কী করার আছে। ক্ষমা করে দিয়েছি।’