Dhaka 12:43 am, Friday, 5 July 2024

‘টাইমড আউট’ উদযাপন নিয়ে যা বলল শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথ মানেই যেন ভিন্ন উত্তেজনা! সেই নিদহাস ট্রফির নাগিন ডান্স থেকে শুরু। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপে যোগ হয়েছে নতুন উপাদান। এই দ্বৈরথে নতুন উপাদান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড–আউট’। শনিবার (৯ মার্চ) সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আরও একবার সেই উত্তাপ ছড়াল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এরপর ট্রফি নিয়ে পুরো সদলবলে টাইমড-আউট উদযাপন করেছেন তারা। এরপর বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার লঙ্কানদের হয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিরিজসেরা হওয়া কুশল মেন্ডিস।

আরো পড়ুন:২ হাজার কোটি টাকার মাদক পাচার, প্রযোজক গ্রেপ্তার

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কুশল মেন্ডিসের ভাষ্য, কেউ একজন টাইমড আউটের উদযাপন করছিল, তাকে দেখে বাকিরাও অনুসরণ করেছে। জানি না কেন। কেউ চাইলে একটা কিছু উদযাপন করতেই পারে। আমরা ওরকম কিছু উদ্দেশ নিয়ে করিনি। সবাই খুশি মনে উদযাপন করছিল। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নাওয়াজও। তার ভাষ্যমতে, এটি কোনো ট্রেডমার্ক উদযাপন নয় এবং দু’দলেরই এমন মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা (টাইমড আউটের ঘটনা থেকে) মুভ অন করেছি। আমার মনে হয় হিট অব দ্য মোমেন্টের কারণে এই উদযাপন করা হয়েছে, আর এটাকে ভুলভাবে নেওয়া হয়েছে। দুই দলেরই উচিত, এটা ভুলে যাওয়া। এটা মোটেও শ্রীলঙ্কার ট্রেডমার্ক উদযাপন না।

নাভিদ যোগ করেন, দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। পরিবেশ দারুণ। প্রত্যেকে তাদের শতভাগ উজাড় করে দেয় খেলায়। কখনো কখনো আবেগের স্ফুরণও ঘটে। মাঠের বাইরে সবার মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ। বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে সবাই যার যার দেশের হয়ে কঠোর লড়াই করে। তবে খেলার সঙ্গে শৃঙ্খলা রাখাটাও জরুরি। আমি শ্রীলঙ্কা দলের কাছেও এটা চাই, বাংলাদেশের কাছেও একই প্রত্যাশা। এর আগে, টাইগার অধিনায়ক শান্ত বলেন, আগ্রাসীভাবে হ্যান্ডেল করার কিছু নাই। ওরা ওই টাইমড আউট নিয়েই তো দেখাইছে? আমার মনে হয় ওরা এখনও (সেই আউটের চিন্তা থেকে) বের হইতে পারে নাই। এটা থেকে বের হয়ে বর্তমানে থাকা উচিত। আমরা খেলার নিয়মের বাইরে কিছু করি নাই। একটু বেশিই মাতামাতি করছে, তো করুক, এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না।

2 thoughts on “‘টাইমড আউট’ উদযাপন নিয়ে যা বলল শ্রীলঙ্কা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা অযৌক্তিক : পরিবেশমন্ত্রী

‘টাইমড আউট’ উদযাপন নিয়ে যা বলল শ্রীলঙ্কা

Update Time : 03:09:59 pm, Sunday, 10 March 2024

বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথ মানেই যেন ভিন্ন উত্তেজনা! সেই নিদহাস ট্রফির নাগিন ডান্স থেকে শুরু। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপে যোগ হয়েছে নতুন উপাদান। এই দ্বৈরথে নতুন উপাদান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড–আউট’। শনিবার (৯ মার্চ) সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আরও একবার সেই উত্তাপ ছড়াল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এরপর ট্রফি নিয়ে পুরো সদলবলে টাইমড-আউট উদযাপন করেছেন তারা। এরপর বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার লঙ্কানদের হয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিরিজসেরা হওয়া কুশল মেন্ডিস।

আরো পড়ুন:২ হাজার কোটি টাকার মাদক পাচার, প্রযোজক গ্রেপ্তার

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কুশল মেন্ডিসের ভাষ্য, কেউ একজন টাইমড আউটের উদযাপন করছিল, তাকে দেখে বাকিরাও অনুসরণ করেছে। জানি না কেন। কেউ চাইলে একটা কিছু উদযাপন করতেই পারে। আমরা ওরকম কিছু উদ্দেশ নিয়ে করিনি। সবাই খুশি মনে উদযাপন করছিল। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নাওয়াজও। তার ভাষ্যমতে, এটি কোনো ট্রেডমার্ক উদযাপন নয় এবং দু’দলেরই এমন মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা (টাইমড আউটের ঘটনা থেকে) মুভ অন করেছি। আমার মনে হয় হিট অব দ্য মোমেন্টের কারণে এই উদযাপন করা হয়েছে, আর এটাকে ভুলভাবে নেওয়া হয়েছে। দুই দলেরই উচিত, এটা ভুলে যাওয়া। এটা মোটেও শ্রীলঙ্কার ট্রেডমার্ক উদযাপন না।

নাভিদ যোগ করেন, দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। পরিবেশ দারুণ। প্রত্যেকে তাদের শতভাগ উজাড় করে দেয় খেলায়। কখনো কখনো আবেগের স্ফুরণও ঘটে। মাঠের বাইরে সবার মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ। বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে সবাই যার যার দেশের হয়ে কঠোর লড়াই করে। তবে খেলার সঙ্গে শৃঙ্খলা রাখাটাও জরুরি। আমি শ্রীলঙ্কা দলের কাছেও এটা চাই, বাংলাদেশের কাছেও একই প্রত্যাশা। এর আগে, টাইগার অধিনায়ক শান্ত বলেন, আগ্রাসীভাবে হ্যান্ডেল করার কিছু নাই। ওরা ওই টাইমড আউট নিয়েই তো দেখাইছে? আমার মনে হয় ওরা এখনও (সেই আউটের চিন্তা থেকে) বের হইতে পারে নাই। এটা থেকে বের হয়ে বর্তমানে থাকা উচিত। আমরা খেলার নিয়মের বাইরে কিছু করি নাই। একটু বেশিই মাতামাতি করছে, তো করুক, এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না।