Dhaka ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের বিবৃতি

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে সামনে রেখে সারাদেশে ‘সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের’ নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এই বিবৃতিতে দেশের ১৭৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক সই করেছেন। তাদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত সচিব বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাট্যব্যক্তিত্বরা রয়েছেন।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, গত ১৬ জুলাই থেকে নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, বাংলাদেশের মানুষের বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। অস্ত্র লুটসহ জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও দুর্বিষহ করে তুলছে এবং কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। এইধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানান তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে, তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জানান বিশিষ্টজনেরা।

কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানানো হয়। তারা বিশ্বাস করেন, এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। তাই এখন ছাত্রদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন দেশের এই বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

আরো পড়ুন: স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Tag :
আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের বিবৃতি

Update Time : ১১:৫৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে সামনে রেখে সারাদেশে ‘সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের’ নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এই বিবৃতিতে দেশের ১৭৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক সই করেছেন। তাদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত সচিব বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাট্যব্যক্তিত্বরা রয়েছেন।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, গত ১৬ জুলাই থেকে নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, বাংলাদেশের মানুষের বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। অস্ত্র লুটসহ জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও দুর্বিষহ করে তুলছে এবং কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। এইধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানান তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে, তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জানান বিশিষ্টজনেরা।

কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানানো হয়। তারা বিশ্বাস করেন, এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। তাই এখন ছাত্রদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন দেশের এই বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

আরো পড়ুন: স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী