Dhaka 5:57 pm, Saturday, 14 September 2024

তার ছাড়াই ব্রডব্যান্ড পাবেন গ্রাহকরা

গ্রাহকদের ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডাব্লিউএ) সেবা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশের টেলিকম অপারেটররা। এতে তার ছাড়াই ওয়াইফাই সংযোগ লাভ করতে পারবেন তাদের গ্রাহকরা। ফলে, দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে সামনে। কারণ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের (আইএসপি) সঙ্গে দারুণ এক প্রতিযোগিতা শুরু হতে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটর কোমানিগুলোর। আর গ্রাহকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছে বিকল্প সুযোগ। নতুন ফাইভ-জি নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এফডাব্লিউএ পরিষেবা অনুমোদনসহ ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাসাবাড়ি ও ব্যবসার মতো নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত-গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে মোবাইল অপারেটরগুলো। ফলে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার পরিসর আরও বাড়বে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় তার দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সুযোগ সীমিত, সেসব এলাকার মানুষও ব্রডব্যান্ড স্পিডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অনায়াসে। তবে, এ জন্য হাতে থাকা লাগবে একটি ফাইভ-জি সাপোর্টেড মোবাইল ফোন বা ডিভাইস। কারণ, তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সাধারণত ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের উচ্চগতির ক্ষমতা ব্যবহার করে এফডাব্লিউএ। আর তাই শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের টেলিকম অপারেটরগুলো এখনও বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় এই সেবা সম্প্রসারণে সময় লাগবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে টেলিকম অপারেটররা মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে এবং আইএসপি লাইসেন্সধারীরা ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করে। সাধারণত মোবাইল অপারেটররা থ্রিজি, ফোরজি ও ফাইভ-জির মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। এই নেটওয়ার্কগুলো স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে ওয়্যারলেস ডেটা ট্রান্সমিশন করতে সক্ষম। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড অপারেটররা তার বা ফাইবার অপটিক্সের মতো সংযোগের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করে। তারা মোবাইল নেটওয়ার্কের তুলনায় বেশি ব্যান্ডউইথ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে। তবে, এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররাও একই ধরনের সেবা দিতে পারবে। এজন্য গ্রাহকদের শুধু সিগনালের জন্য বাইরে একটি অ্যান্টেনা, ভিতরে একটি মডেম বা রাউটার ও অপারেটরের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।

আরও পড়ুন:নেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ১৩ লাখ, যার মধ্যে ১১ কোটি ৮৪ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। বাকি ১ কোটি ২৮ লাখ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী। বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ভবিষ্যতে ফাইভ-জি সেবা চালুর কথা মাথায় রেখেই মোবাইল অপারেটরদের এফডাব্লিউএ সেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

2 thoughts on “তার ছাড়াই ব্রডব্যান্ড পাবেন গ্রাহকরা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

চিনাবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

তার ছাড়াই ব্রডব্যান্ড পাবেন গ্রাহকরা

Update Time : 03:28:26 pm, Sunday, 25 February 2024

গ্রাহকদের ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডাব্লিউএ) সেবা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশের টেলিকম অপারেটররা। এতে তার ছাড়াই ওয়াইফাই সংযোগ লাভ করতে পারবেন তাদের গ্রাহকরা। ফলে, দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে সামনে। কারণ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের (আইএসপি) সঙ্গে দারুণ এক প্রতিযোগিতা শুরু হতে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটর কোমানিগুলোর। আর গ্রাহকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছে বিকল্প সুযোগ। নতুন ফাইভ-জি নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এফডাব্লিউএ পরিষেবা অনুমোদনসহ ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাসাবাড়ি ও ব্যবসার মতো নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত-গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে মোবাইল অপারেটরগুলো। ফলে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার পরিসর আরও বাড়বে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় তার দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সুযোগ সীমিত, সেসব এলাকার মানুষও ব্রডব্যান্ড স্পিডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অনায়াসে। তবে, এ জন্য হাতে থাকা লাগবে একটি ফাইভ-জি সাপোর্টেড মোবাইল ফোন বা ডিভাইস। কারণ, তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সাধারণত ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের উচ্চগতির ক্ষমতা ব্যবহার করে এফডাব্লিউএ। আর তাই শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের টেলিকম অপারেটরগুলো এখনও বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় এই সেবা সম্প্রসারণে সময় লাগবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে টেলিকম অপারেটররা মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে এবং আইএসপি লাইসেন্সধারীরা ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করে। সাধারণত মোবাইল অপারেটররা থ্রিজি, ফোরজি ও ফাইভ-জির মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। এই নেটওয়ার্কগুলো স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে ওয়্যারলেস ডেটা ট্রান্সমিশন করতে সক্ষম। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড অপারেটররা তার বা ফাইবার অপটিক্সের মতো সংযোগের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করে। তারা মোবাইল নেটওয়ার্কের তুলনায় বেশি ব্যান্ডউইথ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে। তবে, এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররাও একই ধরনের সেবা দিতে পারবে। এজন্য গ্রাহকদের শুধু সিগনালের জন্য বাইরে একটি অ্যান্টেনা, ভিতরে একটি মডেম বা রাউটার ও অপারেটরের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।

আরও পড়ুন:নেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ১৩ লাখ, যার মধ্যে ১১ কোটি ৮৪ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। বাকি ১ কোটি ২৮ লাখ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী। বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ভবিষ্যতে ফাইভ-জি সেবা চালুর কথা মাথায় রেখেই মোবাইল অপারেটরদের এফডাব্লিউএ সেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।