Dhaka 9:41 pm, Thursday, 4 July 2024

বাংলাদেশকে লজ্জা উপহার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস

শেষ ৪ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫৫ রান। তখনো মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামের ৩ ওভার বল বাকি ছিল। ১৭, ১৮ ও ১৯তম ওভারে এই দুজন দিলেন ৪৬ রান। শেষ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার হওয়া ৯ রান আর আটকাতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটের লজ্জাজনক হার উপহার দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট।টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম দেখায়ই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এল এই হার।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নয় নম্বরে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান উনিশে। ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা কিংবা অভিজ্ঞতায়ও লিটন দাস-সাকিব আল হাসানদের ধারে-কাছে নেই তারা। তবে সবকিছুই বিফলে গেল বাংলাদেশের। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় জয়। এর আগে প্রথমবার জিতেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ক্রিকেট শুরু করা কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিং। ২৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্ডারসন। আরেক পাশে হারমিত ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে নায়ক তিনি।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। অফ ফর্মে থাকা লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন ইনজুরি থেকে ফেরা সৌম্য সরকার। ব্যাটে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন লিটন। দুইবার আউটের মুখে পড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় বেঁচে যান তিনি। তবে তৃতীয়বারে আর নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় জসদীপ সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। ১৫ বলে মাত্র ১৪ রান আসে তার ব্যাটে।

আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার চোট কাটিয়ে এই সিরিজে ফিরেছেন শুরুটা মন্দ করেননি তিনি। তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি এই বাঁহাতি। একই রানে স্টিভেন টেইলরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৩ বলে ২০ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। বাজে ফর্ম অব্যাহত রইল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। জিম্বাবুয়ে সিরিজে রান না পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক আগের ব্যর্থতাকেও যেন ছাড়িয়ে গেলেন। ১১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান। ৬৮ রানের মাথায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (১২ বলে ৬) রান আউটে কাটা পড়লে বিপদ আরও বাড়ে বাংলাদেশের। দলের রান রেটও তখন মাত্র ছয়।

পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ বলে দুজনে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ১৩৫ রানের মাথায় ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। যাওয়ার আগে ২২ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় করেন মূল্যবান ৩১ রান। আর ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া হৃদয় ৫৮ রান করেন ৪৭ বলে, ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা অযৌক্তিক : পরিবেশমন্ত্রী

বাংলাদেশকে লজ্জা উপহার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস

Update Time : 10:23:32 am, Wednesday, 22 May 2024

শেষ ৪ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫৫ রান। তখনো মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামের ৩ ওভার বল বাকি ছিল। ১৭, ১৮ ও ১৯তম ওভারে এই দুজন দিলেন ৪৬ রান। শেষ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার হওয়া ৯ রান আর আটকাতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটের লজ্জাজনক হার উপহার দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট।টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম দেখায়ই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এল এই হার।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নয় নম্বরে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান উনিশে। ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা কিংবা অভিজ্ঞতায়ও লিটন দাস-সাকিব আল হাসানদের ধারে-কাছে নেই তারা। তবে সবকিছুই বিফলে গেল বাংলাদেশের। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় জয়। এর আগে প্রথমবার জিতেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ক্রিকেট শুরু করা কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিং। ২৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্ডারসন। আরেক পাশে হারমিত ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে নায়ক তিনি।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। অফ ফর্মে থাকা লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন ইনজুরি থেকে ফেরা সৌম্য সরকার। ব্যাটে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন লিটন। দুইবার আউটের মুখে পড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় বেঁচে যান তিনি। তবে তৃতীয়বারে আর নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় জসদীপ সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। ১৫ বলে মাত্র ১৪ রান আসে তার ব্যাটে।

আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার চোট কাটিয়ে এই সিরিজে ফিরেছেন শুরুটা মন্দ করেননি তিনি। তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি এই বাঁহাতি। একই রানে স্টিভেন টেইলরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৩ বলে ২০ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। বাজে ফর্ম অব্যাহত রইল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। জিম্বাবুয়ে সিরিজে রান না পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক আগের ব্যর্থতাকেও যেন ছাড়িয়ে গেলেন। ১১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান। ৬৮ রানের মাথায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (১২ বলে ৬) রান আউটে কাটা পড়লে বিপদ আরও বাড়ে বাংলাদেশের। দলের রান রেটও তখন মাত্র ছয়।

পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ বলে দুজনে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ১৩৫ রানের মাথায় ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। যাওয়ার আগে ২২ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় করেন মূল্যবান ৩১ রান। আর ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া হৃদয় ৫৮ রান করেন ৪৭ বলে, ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী।