Dhaka ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট মাসের প্রশিক্ষণে চার সেকেন্ডের উন্নতি

লা ডিফেন্স অ্যারেনা হচ্ছে অলিম্পিক গেমস সাঁতারের ভেন্যু। শহর থেকে খানিকটা দূরে হলেও প্যারিসের যোগাযোগব্যবস্থা এতো ভালো যে, সাঁতারের ভেন্যুতে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। সাঁতার দেখার জন্য ফ্রান্সবাসীর মধ্যে আগ্রহ বেশ। ২০৬ দেশের অংশগ্রহণ এবারের প্যারিস ৩৩তম অলিম্পিক গেমসে।

বিভিন্ন দেশ থেকেও সাঁতার দেখার জন্য হাজির। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফাইনাল রাউন্ডের সাঁতারে তো আগ্রহ আছেই, হিটেও দর্শক আগ্রহ একবিন্দু কমতি ছিল না। একটা স্টেডিয়ামের ভেতরে হচ্ছে সাঁতার। হিট চলছে প্রত্যেক ইভেন্টে। সবকটি ইভেন্টে দর্শক উপচে পড়ছে। একটা চেয়ারও খালি নেই। সাঁতারুদের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম, দর্শকের চিৎকার অন্যরকম শিহরণ তৈরি করে। এমন একটি চোখ ধাঁধাঁনো পরিবেশে এবার প্রথম লড়াই করলেন বাংলাদেশের সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি।

আরও পড়ুন: ‘যারা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তারা অভিনয় জানেন না’

অলিম্পিক গেমসের সুইমিংপুলে নেমে বাংলাদেশের তরুণ সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি সাঁতারের দুনিয়াটা দেখলেন। বুঝতে পারলেন সাঁতারের দুনিয়াটা কতো বড়। বাস্তবতা বুঝতে পারলেন, বাংলাদেশের সাঁতার কোথায় আর পৃথিবীর সাঁতারুরা কোথায় অবস্থান করছেন। ১৯ বছর বয়সি এই সাঁতারু ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ইভেন্টে লড়াই করে ৭৯ জনের মধ্যে ৬৯তম হয়েছেন। বাংলাদেশের হিটে এসএ গেমসের সদস্য দেশ শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের সাঁতারু ছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাঁতারু শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সাঁতারুকে অতিক্রম করতে পারেননি।

শ্রীলঙ্কা নেপালের সঙ্গে পারল না বাংলাদেশ, কেন? রাফি বললেন, ‘ওরা তো পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। শুধু ভুটান নেপাল কেন যারাই অলিম্পিকে এসেছেন তারা দুই তিন অলিম্পিক গেমস আগে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন এখন তারা সেরা আটে খেলবেন।’ রাফি সেটাই বললেন যা সবাই জানেন, ‘ছোট বয়স থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাহলে একটা সময় অবস্থানে পৌঁছাতে পারবেন।’ এমন পরিকল্পনা কী আছে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের।

সত্যিকার অর্থে অলিম্পিক গেমসের মতো বড় মঞ্চে বাংলাদেশের সাঁতারুরা কি আদৌ কোনো দিন কিছু করতে পারবে? দেশের ফেডারেশন যেভাবে চলে, রাজনৈতিক প্রভাবিত ব্যক্তির হাতে পরিচালনার দায়িত্ব আসে। পছন্দের লোকটি যদি চেয়ারের বসেন তাহলে নেতা খুশি, অনুসারীও খুশি। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে নির্ধারিত খেলাটা কতো দূর যেতে পারবে সেই বিবেচ্য বিষয়টি আমলে নেওয়ার দায়িত্ব কার।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

আট মাসের প্রশিক্ষণে চার সেকেন্ডের উন্নতি

Update Time : ১১:৪৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

লা ডিফেন্স অ্যারেনা হচ্ছে অলিম্পিক গেমস সাঁতারের ভেন্যু। শহর থেকে খানিকটা দূরে হলেও প্যারিসের যোগাযোগব্যবস্থা এতো ভালো যে, সাঁতারের ভেন্যুতে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। সাঁতার দেখার জন্য ফ্রান্সবাসীর মধ্যে আগ্রহ বেশ। ২০৬ দেশের অংশগ্রহণ এবারের প্যারিস ৩৩তম অলিম্পিক গেমসে।

বিভিন্ন দেশ থেকেও সাঁতার দেখার জন্য হাজির। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফাইনাল রাউন্ডের সাঁতারে তো আগ্রহ আছেই, হিটেও দর্শক আগ্রহ একবিন্দু কমতি ছিল না। একটা স্টেডিয়ামের ভেতরে হচ্ছে সাঁতার। হিট চলছে প্রত্যেক ইভেন্টে। সবকটি ইভেন্টে দর্শক উপচে পড়ছে। একটা চেয়ারও খালি নেই। সাঁতারুদের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম, দর্শকের চিৎকার অন্যরকম শিহরণ তৈরি করে। এমন একটি চোখ ধাঁধাঁনো পরিবেশে এবার প্রথম লড়াই করলেন বাংলাদেশের সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি।

আরও পড়ুন: ‘যারা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তারা অভিনয় জানেন না’

অলিম্পিক গেমসের সুইমিংপুলে নেমে বাংলাদেশের তরুণ সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি সাঁতারের দুনিয়াটা দেখলেন। বুঝতে পারলেন সাঁতারের দুনিয়াটা কতো বড়। বাস্তবতা বুঝতে পারলেন, বাংলাদেশের সাঁতার কোথায় আর পৃথিবীর সাঁতারুরা কোথায় অবস্থান করছেন। ১৯ বছর বয়সি এই সাঁতারু ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ইভেন্টে লড়াই করে ৭৯ জনের মধ্যে ৬৯তম হয়েছেন। বাংলাদেশের হিটে এসএ গেমসের সদস্য দেশ শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের সাঁতারু ছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাঁতারু শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সাঁতারুকে অতিক্রম করতে পারেননি।

শ্রীলঙ্কা নেপালের সঙ্গে পারল না বাংলাদেশ, কেন? রাফি বললেন, ‘ওরা তো পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। শুধু ভুটান নেপাল কেন যারাই অলিম্পিকে এসেছেন তারা দুই তিন অলিম্পিক গেমস আগে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন এখন তারা সেরা আটে খেলবেন।’ রাফি সেটাই বললেন যা সবাই জানেন, ‘ছোট বয়স থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাহলে একটা সময় অবস্থানে পৌঁছাতে পারবেন।’ এমন পরিকল্পনা কী আছে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের।

সত্যিকার অর্থে অলিম্পিক গেমসের মতো বড় মঞ্চে বাংলাদেশের সাঁতারুরা কি আদৌ কোনো দিন কিছু করতে পারবে? দেশের ফেডারেশন যেভাবে চলে, রাজনৈতিক প্রভাবিত ব্যক্তির হাতে পরিচালনার দায়িত্ব আসে। পছন্দের লোকটি যদি চেয়ারের বসেন তাহলে নেতা খুশি, অনুসারীও খুশি। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে নির্ধারিত খেলাটা কতো দূর যেতে পারবে সেই বিবেচ্য বিষয়টি আমলে নেওয়ার দায়িত্ব কার।