Dhaka 12:05 pm, Monday, 8 July 2024

সবারই বিকল্প আছে কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: শেখ পরশ

আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। রোববার (১৯ মে) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত শোভাযাত্রার প্রাক্কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ পরশ বলেন, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার নেতৃত্ব, দায়িত্বশীলতা, গুণ, ধৈর্য তাকে আজকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরেও তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এবং এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার উদ্ধার করার জন্য জীবনের সব হুমকি ও মায়াকে তুচ্ছ করে আপনাদের কাছে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

আরো পড়ুন:দেশকে আরও এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে এবং এদেশের মানুষের উন্নয়নের বাহক হিসেবে তিনি সেদিন বাংলার মাটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। দৃপ্তকণ্ঠে সেদিন শেখ হাসিনা বলেছিলেন-বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার তিনি করবেন। সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছিলেন। এটা লক্ষ্যণীয় কোনো সামারি ট্রায়ালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। সামাজিক ন্যায় পরায়ণ বিচার ব্যবস্থা বুকে নিয়ে তিনি প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। তিনি আরও বলেন, যেখানে সামরিক জান্তারা রাতের পর রাত মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করেছে, ফাঁসি দিয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার এই আগমন ছিল অত্যন্ত সাহসী এবং আত্মত্যাগী। সেই আগমনের বার্তা এদেশের লাখ লাখ নিপীড়িত, শোষিত মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। এদেশের জনগণ আস্তা ফিরে পেয়েছিল, স্বপ্ন দেখেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের বাংলাদেশ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার।

আরো পড়ুন:শেখ হাসিনা-ওয়াংচুক বৈঠক, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ২১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাহিরে থেকেও তার সেই দৃঢ় প্রত্যয় ধরে রেখে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল, মন্ত্রী বানিয়েছিল তিনি সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। এখনও চলমান রয়েছে। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও তাদের সন্তানরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তা না হলে এই বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশ হিসেবে পরিচালিত হতো। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে পরনির্ভর রাজনীতি। আজকে তারা বিদেশী শক্তির উপর নির্ভর করে কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করে না। তারা নির্ভর করে মিস্টার লু’দের ওপর যে তাদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। এই স্বপ্ন সেই স্বপ্ন আজকে ব্যর্থ হয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এদেশের আপামর জনগণ রয়েছে।

One thought on “সবারই বিকল্প আছে কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: শেখ পরশ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সবারই বিকল্প আছে কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: শেখ পরশ

Update Time : 11:00:27 am, Monday, 20 May 2024

আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। রোববার (১৯ মে) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত শোভাযাত্রার প্রাক্কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ পরশ বলেন, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার নেতৃত্ব, দায়িত্বশীলতা, গুণ, ধৈর্য তাকে আজকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরেও তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এবং এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার উদ্ধার করার জন্য জীবনের সব হুমকি ও মায়াকে তুচ্ছ করে আপনাদের কাছে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

আরো পড়ুন:দেশকে আরও এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে এবং এদেশের মানুষের উন্নয়নের বাহক হিসেবে তিনি সেদিন বাংলার মাটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। দৃপ্তকণ্ঠে সেদিন শেখ হাসিনা বলেছিলেন-বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার তিনি করবেন। সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছিলেন। এটা লক্ষ্যণীয় কোনো সামারি ট্রায়ালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। সামাজিক ন্যায় পরায়ণ বিচার ব্যবস্থা বুকে নিয়ে তিনি প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। তিনি আরও বলেন, যেখানে সামরিক জান্তারা রাতের পর রাত মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করেছে, ফাঁসি দিয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার এই আগমন ছিল অত্যন্ত সাহসী এবং আত্মত্যাগী। সেই আগমনের বার্তা এদেশের লাখ লাখ নিপীড়িত, শোষিত মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। এদেশের জনগণ আস্তা ফিরে পেয়েছিল, স্বপ্ন দেখেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের বাংলাদেশ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার।

আরো পড়ুন:শেখ হাসিনা-ওয়াংচুক বৈঠক, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ২১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাহিরে থেকেও তার সেই দৃঢ় প্রত্যয় ধরে রেখে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল, মন্ত্রী বানিয়েছিল তিনি সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। এখনও চলমান রয়েছে। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও তাদের সন্তানরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তা না হলে এই বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশ হিসেবে পরিচালিত হতো। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে পরনির্ভর রাজনীতি। আজকে তারা বিদেশী শক্তির উপর নির্ভর করে কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করে না। তারা নির্ভর করে মিস্টার লু’দের ওপর যে তাদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। এই স্বপ্ন সেই স্বপ্ন আজকে ব্যর্থ হয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এদেশের আপামর জনগণ রয়েছে।