Dhaka 6:00 pm, Saturday, 14 September 2024

সাতক্ষীরায় শিক্ষা অফিসারের নামে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতির যেন শেষ নেই  প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই শিক্ষা অফিসারের খুঁটির জোড় কোথায় স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গাছ কেটে অর্থ আত্মসাত, থেকে শুরু করে প্লিপের, টাকা ভাগবাটোয়ারাসহ সীমানা প্রাচির বিক্রির টাকা আত্মসাৎ।

আরো পড়ুন: সাতক্ষীরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ

এছাড়া শিক্ষক হয়রানীর অভিযোগ তো রয়েছে বটেই। সম্প্রতি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সমান সহকারী শিক্ষক মহাপরিচালক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে ওই শিক্ষককে চরম হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রমতে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও গাছ বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগেরও খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। তারই রেশ কাটতে না কাটতে ফের আব্দুল গনির বিরুদ্ধে নিলাম ব্যতীত গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আরো জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ঘোনা কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ ও পুরাতন সীমানা প্রাচীর বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগি করেছে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের থানা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) মো: নজরুল ইসলাম ও শিক্ষা অফিসার আবদুল গনি। এ ঘটনার পর শিক্ষক সমাজ একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। কারণ আবদুল গানির দুর্নীতিতে পূর্বে কোন এটিইও এমনভাবে প্রকাশ্যে আবদুল গনির দুরীতির সঙ্গী হয়নি। এরফলে আবদুল গনির দুর্নীতি ও অনিয়মের হাত আরো শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে শিক্ষকরা।

আরো পড়ুন: সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় ৫ জুয়ারি আটক

নজরুল ইসলামের বন্ধু, ভাই ও আত্মীয় স্বজন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে চাকরি ও রাজনীতি করার সুবাদে তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। সপ্তাহে ২/১দিন দুপুরের দিকে অফিসে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। যেটুকু সময় থাকে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে দাপটের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।শিক্ষা অফিসার তার সাথে তাল মিলিয়ে অফিস স্টাফ ও অফিসারদের শিক্ষকদের সামনে গালমন্দ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। এর ফলে অফিসে এত্যেকের ক্ষোভ থাকলেও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় তারা অসহায়। সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলামের বিরদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ নিলাম ব্যতীত গাছ ও ভবন বা অন্য কোন হ্াপনা বিক্রি অতীতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ঘটেনি। ২০২০ সাল হতে আবদুল গনির সুদীর্ঘ ৪ বছরের চাকরিকালে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ৷ অভিযোগ রয়েছে, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এসব অবৈধ অরে ভাগ পেয়ে থাকেন। সাধারণ শিক্ষকরা এসব অফিসারদের বিরুদ্ধে হয়রনীর ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পারচ্ছেন না।

আরো পড়ুন: সাতক্ষীরায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

 

One thought on “সাতক্ষীরায় শিক্ষা অফিসারের নামে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

চিনাবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সাতক্ষীরায় শিক্ষা অফিসারের নামে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

Update Time : 06:30:40 pm, Monday, 12 February 2024

সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতির যেন শেষ নেই  প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই শিক্ষা অফিসারের খুঁটির জোড় কোথায় স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গাছ কেটে অর্থ আত্মসাত, থেকে শুরু করে প্লিপের, টাকা ভাগবাটোয়ারাসহ সীমানা প্রাচির বিক্রির টাকা আত্মসাৎ।

আরো পড়ুন: সাতক্ষীরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ

এছাড়া শিক্ষক হয়রানীর অভিযোগ তো রয়েছে বটেই। সম্প্রতি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সমান সহকারী শিক্ষক মহাপরিচালক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে ওই শিক্ষককে চরম হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রমতে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও গাছ বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগেরও খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। তারই রেশ কাটতে না কাটতে ফের আব্দুল গনির বিরুদ্ধে নিলাম ব্যতীত গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আরো জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ঘোনা কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ ও পুরাতন সীমানা প্রাচীর বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগি করেছে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের থানা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) মো: নজরুল ইসলাম ও শিক্ষা অফিসার আবদুল গনি। এ ঘটনার পর শিক্ষক সমাজ একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। কারণ আবদুল গানির দুর্নীতিতে পূর্বে কোন এটিইও এমনভাবে প্রকাশ্যে আবদুল গনির দুরীতির সঙ্গী হয়নি। এরফলে আবদুল গনির দুর্নীতি ও অনিয়মের হাত আরো শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে শিক্ষকরা।

আরো পড়ুন: সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় ৫ জুয়ারি আটক

নজরুল ইসলামের বন্ধু, ভাই ও আত্মীয় স্বজন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে চাকরি ও রাজনীতি করার সুবাদে তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। সপ্তাহে ২/১দিন দুপুরের দিকে অফিসে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। যেটুকু সময় থাকে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে দাপটের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।শিক্ষা অফিসার তার সাথে তাল মিলিয়ে অফিস স্টাফ ও অফিসারদের শিক্ষকদের সামনে গালমন্দ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। এর ফলে অফিসে এত্যেকের ক্ষোভ থাকলেও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় তারা অসহায়। সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলামের বিরদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ নিলাম ব্যতীত গাছ ও ভবন বা অন্য কোন হ্াপনা বিক্রি অতীতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ঘটেনি। ২০২০ সাল হতে আবদুল গনির সুদীর্ঘ ৪ বছরের চাকরিকালে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ৷ অভিযোগ রয়েছে, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এসব অবৈধ অরে ভাগ পেয়ে থাকেন। সাধারণ শিক্ষকরা এসব অফিসারদের বিরুদ্ধে হয়রনীর ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পারচ্ছেন না।

আরো পড়ুন: সাতক্ষীরায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা