Dhaka ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১২ দিন কারাগারে ১৬ বছরের কিশোর

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আলফি শাহরিয়ার মাহিম নামের এক ১৬ বছরের কিশোরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

ভুক্তভোগীর বোন সানজানা আখতার স্নেহা ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

সানজানা লেখেন, ‘আমার ছোট ভাই মো. আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ (এইচএসসি ২৫)-এর ছাত্র।’

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয় তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিন্সের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আটক হয় মাহিম। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।’

উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ‘যেহেতু ১৮ ও ১৯ তারিখে সংঘাত-সংঘর্ষ নিয়ে পুরো ফোর্স ব্যস্ত ছিল, সে কারণে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। মূলত ২০ জুলাই থেকে আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে গ্রেফতার করেছি। বিষয়টি জানামাত্র পুলিশ কমিশনার মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র, জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১২ দিন কারাগারে ১৬ বছরের কিশোর

Update Time : ১১:০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আলফি শাহরিয়ার মাহিম নামের এক ১৬ বছরের কিশোরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

ভুক্তভোগীর বোন সানজানা আখতার স্নেহা ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

সানজানা লেখেন, ‘আমার ছোট ভাই মো. আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ (এইচএসসি ২৫)-এর ছাত্র।’

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয় তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিন্সের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আটক হয় মাহিম। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।’

উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ‘যেহেতু ১৮ ও ১৯ তারিখে সংঘাত-সংঘর্ষ নিয়ে পুরো ফোর্স ব্যস্ত ছিল, সে কারণে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। মূলত ২০ জুলাই থেকে আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে গ্রেফতার করেছি। বিষয়টি জানামাত্র পুলিশ কমিশনার মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র, জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’