Dhaka 3:53 pm, Tuesday, 10 September 2024

ফেরদৌস ও রিয়াজের ফোন বন্ধ, তারা কোথায়?

একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন ফেরদৌস আহমেদ ও রিয়াজ। তাদের বন্ধুত্ব বেশ পুরনো। দুজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন একাধিবার। পরে সিনেমা কমে এলে তারা যোগ দেন রাজনীতিতে।

এর মধ্যে সর্বশেষ নির্বাচনে ফেরদৌস নির্বাচন করেছেন ঢাকা-১০ আসন থেকে। নির্বাচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায় ঢাকা-১০ আসনের এই সংসদ সদস্যকে। এমনকি শিল্পীদের সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান ফেরদৌস-রিয়াজ।

আরও পড়ুন: রাহুলের বাড়িতে হামলা, বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর

তবে হাসিনার পদত্যাগের খবরের পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না এই দুই নায়ককে। রয়েছে দুজনের মুঠোফোন বন্ধ। ফেসবুক থেকেও বিছিন্ন তারা।

কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অনেকেই বলছে, শেখ হাসিনা ও অন্য মন্ত্রীদের মতো নায়ক-নেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ দেশত্যাগ করেছেন! তবে গতকাল নায়ক রিয়াজের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, তিনি এয়ারপোর্টে আটকে গেছেন। পরে জানা যায় খবরটি গুজব।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে বিটিভিতে গিয়ে ফেরদৌস বলেছিলেন, ‘আমি দেখেছি, ছাত্ররা যে কোটার আন্দোলনে নেমেছিল সে কোটার পক্ষে আমরা সবাই ছিলাম, কিন্তু আন্দোলনে এই ছাত্রদের ঢাল করে একদল মানুষরূপী পশু জালিয়ে-পুড়িয়ে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে আমাদের এ দেশটিকে। দেশটি হয়তো আবার আমরা কষ্ট করে ঠিক করে ফেলব কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল সেগুলো আর আমরা আর কোনো দিন ফিরে পাব না।

আজকে আমরা বিটিভিতে এসেছি। আমাদের সংস্কৃতির অস্তিত্বের একটি জায়গা এটি। সে বিটিভিতে আগুন কেন? এ অগ্নিসন্ত্রাসী কারা? তাদের খুঁজে বের করতে হবে, চিহ্নিত করতে হবে।’

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুই দিন আগে বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।  ৩ আগস্ট এফডিসিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ভাঙচুর, মেট্রো রেল স্টেশন, এলিভেটর এক্সপ্রেস টোল প্লাজাসহ দেশের বিভিন্ন জনসেবামূলক স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক হামলা প্রতিবাদে মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে মানববন্ধনে উপস্থিত হননি তিনি।

কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, দেশেই আছেন ফেরদৌস। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ফোন অফ করে নীরব আছেন তিনি। তার বাসা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় হওয়ায় তিনি খুব একটা ঝামেলায় পড়েননি।

এরপর ফেরদৌস-রিয়াজকে ‘টোকাই’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে কড়া স্ট্যাটাস দেন  জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির। এ সময় ফেরদৌস ও রিয়াজের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, ‘দেশকে পুরো বেচে দিয়ে নায়ক ফেরদৌস, রিয়াজের মতো টোকাইগুলো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সবার সামনে ভাষণ দিচ্ছে, কেউ কিছু করতে পারল না?’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ফেরদৌস ও রিয়াজের ফোন বন্ধ, তারা কোথায়?

Update Time : 08:21:43 pm, Wednesday, 7 August 2024

একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন ফেরদৌস আহমেদ ও রিয়াজ। তাদের বন্ধুত্ব বেশ পুরনো। দুজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন একাধিবার। পরে সিনেমা কমে এলে তারা যোগ দেন রাজনীতিতে।

এর মধ্যে সর্বশেষ নির্বাচনে ফেরদৌস নির্বাচন করেছেন ঢাকা-১০ আসন থেকে। নির্বাচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায় ঢাকা-১০ আসনের এই সংসদ সদস্যকে। এমনকি শিল্পীদের সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান ফেরদৌস-রিয়াজ।

আরও পড়ুন: রাহুলের বাড়িতে হামলা, বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর

তবে হাসিনার পদত্যাগের খবরের পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না এই দুই নায়ককে। রয়েছে দুজনের মুঠোফোন বন্ধ। ফেসবুক থেকেও বিছিন্ন তারা।

কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অনেকেই বলছে, শেখ হাসিনা ও অন্য মন্ত্রীদের মতো নায়ক-নেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ দেশত্যাগ করেছেন! তবে গতকাল নায়ক রিয়াজের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, তিনি এয়ারপোর্টে আটকে গেছেন। পরে জানা যায় খবরটি গুজব।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে বিটিভিতে গিয়ে ফেরদৌস বলেছিলেন, ‘আমি দেখেছি, ছাত্ররা যে কোটার আন্দোলনে নেমেছিল সে কোটার পক্ষে আমরা সবাই ছিলাম, কিন্তু আন্দোলনে এই ছাত্রদের ঢাল করে একদল মানুষরূপী পশু জালিয়ে-পুড়িয়ে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে আমাদের এ দেশটিকে। দেশটি হয়তো আবার আমরা কষ্ট করে ঠিক করে ফেলব কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল সেগুলো আর আমরা আর কোনো দিন ফিরে পাব না।

আজকে আমরা বিটিভিতে এসেছি। আমাদের সংস্কৃতির অস্তিত্বের একটি জায়গা এটি। সে বিটিভিতে আগুন কেন? এ অগ্নিসন্ত্রাসী কারা? তাদের খুঁজে বের করতে হবে, চিহ্নিত করতে হবে।’

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুই দিন আগে বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।  ৩ আগস্ট এফডিসিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ভাঙচুর, মেট্রো রেল স্টেশন, এলিভেটর এক্সপ্রেস টোল প্লাজাসহ দেশের বিভিন্ন জনসেবামূলক স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক হামলা প্রতিবাদে মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে মানববন্ধনে উপস্থিত হননি তিনি।

কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, দেশেই আছেন ফেরদৌস। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ফোন অফ করে নীরব আছেন তিনি। তার বাসা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় হওয়ায় তিনি খুব একটা ঝামেলায় পড়েননি।

এরপর ফেরদৌস-রিয়াজকে ‘টোকাই’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে কড়া স্ট্যাটাস দেন  জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির। এ সময় ফেরদৌস ও রিয়াজের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, ‘দেশকে পুরো বেচে দিয়ে নায়ক ফেরদৌস, রিয়াজের মতো টোকাইগুলো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সবার সামনে ভাষণ দিচ্ছে, কেউ কিছু করতে পারল না?’