Dhaka ১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

৩২ কিলোমিটার সৈকত রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার নাম মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার সু- বিশাল সমুদ্র এবং একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করা। দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। পাখির কলকাকলি। সৈকতে বিছানো সারি সারি ঝিনুক। আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণে ফুটে উঠেছে আল্পনা। এইসব দৃশ্য উপভোগ করতে কুয়াকাটায় ইতিমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হয়েছে। হোটেল- মোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে গতকালই আমাদের শতভাগ বুকিং হয়েগেছে।
শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকেই পর্যটকবাহী গাড়িতে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার পর্যটক পার্কিং গুলো। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিলো পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। তবে শুক্রবার সকাল থেকে দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সৈকত রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। হালকা হিমেল বাতাসে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছে এ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক হয়েছে আজকে।
সকাল বেলার শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতের পানিতে গোসল ও উল্লাসে মেতেছে হাজারো পর্যটক। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা।এদিকে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মামুন- রিয়া জানান, খুব অল্প সময়ে মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। একসঙ্গে এত মানুষ এর আগে দেখিনি।যদিও এর আগে আমরা দুইবার এসেছি। কুয়াকাটায় একসঙ্গে এতবেশী পর্যটক দেখে বেশ ভালোই লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্ট গুলোর খাবারের মান আরো ভালো করা দরকার।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা ‘টোয়াক’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এতো বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। ইতিমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল- মোটেল রিসোর্ট গুলো শতভাগ বুকিং হয়েগেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে।কুয়াকাটার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে আমাদের টিম রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।
https://www.youtube.com/watch?v=WO8gmlta8b8&t=7s
Tag :

2 thoughts on “কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

Update Time : ০৯:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার নাম মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার সু- বিশাল সমুদ্র এবং একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করা। দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। পাখির কলকাকলি। সৈকতে বিছানো সারি সারি ঝিনুক। আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণে ফুটে উঠেছে আল্পনা। এইসব দৃশ্য উপভোগ করতে কুয়াকাটায় ইতিমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হয়েছে। হোটেল- মোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে গতকালই আমাদের শতভাগ বুকিং হয়েগেছে।
শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকেই পর্যটকবাহী গাড়িতে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার পর্যটক পার্কিং গুলো। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিলো পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। তবে শুক্রবার সকাল থেকে দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সৈকত রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। হালকা হিমেল বাতাসে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছে এ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক হয়েছে আজকে।
সকাল বেলার শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতের পানিতে গোসল ও উল্লাসে মেতেছে হাজারো পর্যটক। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা।এদিকে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
আরও পড়ুন: দুইদিন ব্যাপি কুয়াকাটায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ষান্মাসিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মামুন- রিয়া জানান, খুব অল্প সময়ে মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। একসঙ্গে এত মানুষ এর আগে দেখিনি।যদিও এর আগে আমরা দুইবার এসেছি। কুয়াকাটায় একসঙ্গে এতবেশী পর্যটক দেখে বেশ ভালোই লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্ট গুলোর খাবারের মান আরো ভালো করা দরকার।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা ‘টোয়াক’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এতো বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। ইতিমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল- মোটেল রিসোর্ট গুলো শতভাগ বুকিং হয়েগেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে।কুয়াকাটার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে আমাদের টিম রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিভাগীয় প্রাক বাজেট আলোচনা সভা
https://www.youtube.com/watch?v=WO8gmlta8b8&t=7s