Dhaka 4:09 pm, Tuesday, 10 September 2024

শোক হোক শক্তি-তালুকদার আব্দুল খালেক

আয়োজিত শোক মিছিল

দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট  কালরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাক কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার পর সামরিক শাসক মেজর জিয়া সামরিক আইন মাসাল্লা জারি করে ক্ষমতায় আসে।ক্ষমতায় এসে ৭১র পরাজিত শক্তি জামায়ত ইসলামের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলে ও তিনি তাদেরকে এদেশের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে  হত্যার পর ৭১র পরাজিত শক্তির সাথে মিশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেন।যাতে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার না হয়, কেউ যেন মামলা করতে না পারেন।পরবর্তীতে তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর তার পিতৃ হত্যা সহ পরিবারের হত্যার বিচার বাংলার জনগনের কাছে চান।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ  সরকার গঠন করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে পিতৃ হত্যা সহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেন।সাথে যুদ্ধাপরাধীদের ও আইনের মাধ্যমে বিচারের রায় কার্যকর করেন।কিন্তু পাকিস্তানি দোসররা সাধীনতার পর এখন ও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।তারা শোকের মাসের আগে ছাত্রদের শান্তিপুর্ন কোটা  আন্দোলনের ভেতর অনুপ্রবেশ করে সমগ্র দেশে নিরিহ ছাত্র, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মি হত্যা সহ সমগ্র দেশে ধংসযজ্ঞ চালায়।রাষ্ট্রিয় ও জনগনের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।তারা এদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না।আর একারনেই সারা দেশব্যাপী এই ধংসযজ্ঞ তারা চালিয়েছে।
তাই এই শোকের মাসে বলতে চাই   শোক হোক শক্তি,শোকের মাসে ঘুছে যাক সকল অপশক্তি।সিটি মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক গতকাল বিকাল ৫টায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত শোক মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা- ৩ আসনের সংসদ এস এম কামাল হোসেন এমপি, তিনি বলেন, ৭৫র ১৫ আগষ্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পাকিস্তানি দোসররা আজ বসে নেই। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত ও দেশকে আবার পেছনে ফেলার    জন্য পুর্ব পরিকল্পনা মতে ষড়যন্ত্র করে  সারাদেশে নিরিহ ছাত্রদের নামে ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন  প্রপাগান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের সকল দাবী মেনে নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসা করাচ্ছেন,তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা সহ পরিবারের একজন সদস্যকে চাকুরির দেবার প্রতিশ্রুতি দেবার পর নিরিহ ছাত্ররা আন্দোলন প্রত্যাহার করলে ও আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী জামায়ত, শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রবেশে আন্দোলনে প্রবেশ করে  সারাদেশে ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রিয় টেলিভিশন বিটিভি ভবন,মেট্রোরেল, পত্রিকা অফিস সহ দেশের  গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়।তিনি রাষ্ট্রিয় সম্পদ ধংস ও নিরিহ ছাত্র, পুলিশ হত্যার বিচার করা হবে বলে জানান।খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশারের সঞ্চালনায়  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।  খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি নুর ইসলাম বন্দ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ।শোক মিছিলে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না,প্যানেল মেয়র -২, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা, প্যানেল মেয়র -৩ মেমোরি সুফিয়া রহমান শুনু, থানা আওয়ামী লীগ নেতা মজিদ বকুল, কাইজার আহমেদ, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান মনির, ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম মোরশেদ আহমেদ মনি, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তার লিটন,সাধারণ সম্পাদক মো: বাবলু,৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ১০নং ওয়ার্ড সভাপতি কাজী তালাত হোসেন কাউট, সাধারণ সম্পাদক ইমরুল ইসলাম, ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মে: সফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আসলাম আলী, ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, যুবলীগ মহানগর সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন,১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো : পিন্স,খুলনা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক পারভীন আক্তার, খাদিজা সুলতানা সোনালী, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি জুবায়ের হোসেন, লুৎফর রহমান,শফিকুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সন্টু,শহিদুল ইসলাম,মো: রবিউল হোসেন খান, শফিকুল ইসলাম অভি,বাবুল শিকদার,কালাম শেখ,ইমরান মিঠু,নজরুল ইসলাম লিমু,হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

শোক হোক শক্তি-তালুকদার আব্দুল খালেক

Update Time : 10:42:50 am, Friday, 2 August 2024
দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট  কালরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাক কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার পর সামরিক শাসক মেজর জিয়া সামরিক আইন মাসাল্লা জারি করে ক্ষমতায় আসে।ক্ষমতায় এসে ৭১র পরাজিত শক্তি জামায়ত ইসলামের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলে ও তিনি তাদেরকে এদেশের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে  হত্যার পর ৭১র পরাজিত শক্তির সাথে মিশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেন।যাতে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার না হয়, কেউ যেন মামলা করতে না পারেন।পরবর্তীতে তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর তার পিতৃ হত্যা সহ পরিবারের হত্যার বিচার বাংলার জনগনের কাছে চান।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ  সরকার গঠন করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে পিতৃ হত্যা সহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেন।সাথে যুদ্ধাপরাধীদের ও আইনের মাধ্যমে বিচারের রায় কার্যকর করেন।কিন্তু পাকিস্তানি দোসররা সাধীনতার পর এখন ও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।তারা শোকের মাসের আগে ছাত্রদের শান্তিপুর্ন কোটা  আন্দোলনের ভেতর অনুপ্রবেশ করে সমগ্র দেশে নিরিহ ছাত্র, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মি হত্যা সহ সমগ্র দেশে ধংসযজ্ঞ চালায়।রাষ্ট্রিয় ও জনগনের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।তারা এদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না।আর একারনেই সারা দেশব্যাপী এই ধংসযজ্ঞ তারা চালিয়েছে।
আরো পড়ুন: খুলনায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কেএমপি’র নিষেধাজ্ঞা
তাই এই শোকের মাসে বলতে চাই   শোক হোক শক্তি,শোকের মাসে ঘুছে যাক সকল অপশক্তি।সিটি মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক গতকাল বিকাল ৫টায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত শোক মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা- ৩ আসনের সংসদ এস এম কামাল হোসেন এমপি, তিনি বলেন, ৭৫র ১৫ আগষ্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পাকিস্তানি দোসররা আজ বসে নেই। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত ও দেশকে আবার পেছনে ফেলার    জন্য পুর্ব পরিকল্পনা মতে ষড়যন্ত্র করে  সারাদেশে নিরিহ ছাত্রদের নামে ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন  প্রপাগান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের সকল দাবী মেনে নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসা করাচ্ছেন,তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা সহ পরিবারের একজন সদস্যকে চাকুরির দেবার প্রতিশ্রুতি দেবার পর নিরিহ ছাত্ররা আন্দোলন প্রত্যাহার করলে ও আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী জামায়ত, শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রবেশে আন্দোলনে প্রবেশ করে  সারাদেশে ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রিয় টেলিভিশন বিটিভি ভবন,মেট্রোরেল, পত্রিকা অফিস সহ দেশের  গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়।তিনি রাষ্ট্রিয় সম্পদ ধংস ও নিরিহ ছাত্র, পুলিশ হত্যার বিচার করা হবে বলে জানান।খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশারের সঞ্চালনায়  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।  খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি নুর ইসলাম বন্দ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ।শোক মিছিলে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না,প্যানেল মেয়র -২, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা, প্যানেল মেয়র -৩ মেমোরি সুফিয়া রহমান শুনু, থানা আওয়ামী লীগ নেতা মজিদ বকুল, কাইজার আহমেদ, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান মনির, ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম মোরশেদ আহমেদ মনি, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তার লিটন,সাধারণ সম্পাদক মো: বাবলু,৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ১০নং ওয়ার্ড সভাপতি কাজী তালাত হোসেন কাউট, সাধারণ সম্পাদক ইমরুল ইসলাম, ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মে: সফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আসলাম আলী, ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, যুবলীগ মহানগর সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন,১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো : পিন্স,খুলনা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক পারভীন আক্তার, খাদিজা সুলতানা সোনালী, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি জুবায়ের হোসেন, লুৎফর রহমান,শফিকুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সন্টু,শহিদুল ইসলাম,মো: রবিউল হোসেন খান, শফিকুল ইসলাম অভি,বাবুল শিকদার,কালাম শেখ,ইমরান মিঠু,নজরুল ইসলাম লিমু,হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: খুলনায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ২৯ হাজার ৫৪৫