তৃতীয় সন্তানটি মেয়ে হওয়ায় মারতে পারেননি বাবা। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত স্ত্রীকে খোটা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে গতকাল রোববার তিন মাসের শিশুটির দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভারতের মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভাতশালায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শিশুটির দাদু দবির শেখের অভিযোগ, তার ছেলে রিন্টু আছড়ে খুন করেছে ছোট নাতনিকে। খুনে জড়িত পুত্রবধূও। দু’জনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে পুলিশ রিন্টু এবং তার স্ত্রী বেলুয়ারা বিবিকে আটক করে।
ডোমকল থানার পুলিশ জানায়, প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে তারা সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে রিন্টুর বিয়ে হয় ডোমকলের কামুড়দিয়াড়ের বাসিন্দা বেলুয়ারার সঙ্গে। চার বছর আগে তাদের প্রথম কন্যা সন্তান হয়। পরের সন্তানটিও মেয়েই। তিন মাস আগে তৃতীয়বার কন্যার জন্ম দেন বেলুয়ারা। কিন্তু দুই মেয়েকে নানা অজুহাতে মারধর করত রিন্টু। কিছু দিন আগে সে মেরে বড় মেয়ের হাত ভেঙে দিয়েছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিয়মিত মাদক নিত রিন্টু। ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভম বাজাজ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরো পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন বহাল
One thought on “সন্তান মেয়ে হওয়ায় আছড়ে মারলেন বাবা-মা!”