
রাজধানীর গুলশান বারিধারা একটি ডিপ্লোমেটিক জোন এবং আবাসিক এলাকা। যেখানে বসবাস করেন ভিআইপি সিআইপিসহ সর্বস্থরের মানুষ। তবে আবাসকি এলাকাগুলোতে হোটেল কিংবা রেষ্ট্রুরেন্টের বৈধতা না থাকলেও স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠে একাধিক আবাসিক হোটেল। এসব হোটেলগুলো থ্রি ষ্টারের নামে চলে প্রকাশ্যে মাদক ও যৌন বাণিজ্য। তবে এসব হোটেলে নামীদামী গাড়িতে করে কলগার্লসহ ভিআইপি সিআইপি সুন্দরী নারীদের চলে নীলাখেলা। সন্ধ্যা হলেই চোঁখে পরে নামীদামী গাড়িতে সুন্দরী রমনীদের আনাগোনা। তেমনি অনুসন্ধানে মিলে ৬৯ সরোয়ার্দী এভিনিউ বারিধারায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল ডেইজ। হোটেলটিতে ভাড়াকরা সুন্দরী রমনীদের রাত্রিযাপনের জণ্য নিয়ে এসে রুম বরাদ্ধ করে প্রকাশ্যে চলছে যৌন বাণিজ্যের নিলা খেলা এবং মাদক সেবনের ধুম। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রতিনিয়ত এসব কর্মকান্ডে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে। পুলিশের নজরদারী না থাকায় নারী সিন্ডিকেট দিন দিন বেপারোয়া হয়ে উঠছে উক্ত আবাসিক হোটেলটিতে। জানা গেছে, হোটেল মালিকের নির্দেশনায় হোটেল ম্যানেজার এসব কাজ করে থাকেন। খদ্দের যোগোনে রয়েছে তাদের সোসাল মিডিয়া বা ওয়েব সাইডে প্রচার প্রচারনা। হোটেল মালিক দাবী করেন এটি থ্রি ষ্টার হোটেল। তবে থ্রি ষ্টার হোটেলে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের অনমোদন রয়েছে কিনা সেটি ক্ষতি দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট যুব সমাজ। কিন্তু আমাদের জানামতে কোন আবাসিক হোটেলের অনুমতির কোন বৈধতা হয়না। এসব বিষয়ে বারিধারা সোসাইটি বা পুলিশ প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ক্রমেই বাড়ছে হোটেলটিতে নারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা। যদি সার্ভিস দেওয়ার মত তাদের রয়েছে বেশ কিছু কলগার্ল।
এদিকে এর আগেও হোটেলেটিতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদক তাদের হুমকির মূখে পরতে হয়। তারা বলেন, পুলিশ সাংবাদিক গোনার সময় নেই। আমরা অনেক পুরোনো ব্যবসায়ী। এসব কাজ বহুদিন ধরেই চলছে। পারলে আপনার কিছু কইরেন। যদিও আবাসিক হোটেল পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকার কখা থাকলেও কোনটাই নেই তাদের। সিটি কর্পোরেশনের নিকট হতে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে অবৈধ হোটেল ব্যবসা। বিগত স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের সময় বেশ দাপটে ছিল হোটেলটি এবং তাদের পরিচয় দিয়ে হোটেলটি পরিচালনা করতেন হোটেল মালিক। এখনো বহাল তবিয়তে হোটেলটিতে চলছে সামাজের যত অপৃত্তিকর ঘটনা। এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ভাই হোটেলটিতে অপরাধমূলক এমন কোন কাজ নেই তারা করেনা। শুধু তাই না খদ্দেরদের সাথে বø্যাক- মেইলও করে থাকেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এরা স্বৈরাচারী আ.লীগ সরকারের লোক।
অণ্যদিতে এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে। পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।
সম্প্রত্তি, গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত এমন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি গোচরের জন্য তারা হয়তো বিষয়গুলো বিধি মতো সুরাহা করবেন। এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা সব সময় দাবী করেন, অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশ ও বারিধারা সোসাইটি সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। (ধারাবাহিক
প্রতিবেদনের পর্ব-১)
এবিষয়ে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি।