Dhaka 11:34 pm, Thursday, 4 July 2024

ঈদের আগে ফ্রিজের যত্ন

কোরবানি একদম দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কয়েকটা দিন গেলেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের কথা শুনলেই নাকে যেন মাংসের ঘ্রাণ চলে আসে। কোরবানি ঈদে আনন্দের সাথে সাথে থাকে এক পাহাড় সমান ব্যস্ততাও। ঈদের দিনের কোরবানির প্রস্তুতির সাথে সাথে নিজের ঘরকেও করতে হয় কোরবানির জন্য প্রস্তুত। ঘরে বেড়ে যায় নানান কাজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণের কাজ। আর এখন তা সংরক্ষণের জন্য একমাত্র মাধ্যম হলো ঘরের ফ্রিজটি। নিয়মিত ফ্রিজ ব্যবহারে অনেক সময় মাছ মাংস থেকে রক্ত জমে থাকতে পারে। এছাড়াও বরফ জমে থাকে এছাড়া ফ্রিজে যে শুধু মাছ মাংস থাকে তাও নয় অন্যান্য অনেক মসলাও ফ্রিজে থাকে। দীর্ঘদিন ফ্রিজে নানান ধরনের মাছ-মাংস মসলা থাকার ফলে ফ্রিজ খানিকটা নোংরা হয়ে যায়। আর কোরবানি ঈদের জন্য ফ্রিজকে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন কারণ তখন ফ্রিজে জিনিসপত্র রাখার চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। এবং ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র সরানোরও প্রয়োজন পরে জায়গা করার জন্য। তাই ঈদের আগেই ফ্রিজ খালি করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। সঠিক সময়ে যদি ফ্রিজটি প্রস্তুত না থাকে তাহলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং এতে ফ্রিজে থাকা আগের জিনিসপত্রও জমাট ছেড়ে দেবে। এরপর ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নরম কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন। এছাড়া ফ্রিজের দুর্গন্ধ দুর করতে একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রস মিশিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন, শিরিষ কাগজ বা শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ শক্ত জিনিস দিয়ে পরিষ্কার করলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ, ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার ও হ্যান্ডলটিও পরিষ্কার করুন। এতে এর আঠালো ভাবটি দূর হয়ে যাবে। ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণটি সুরক্ষিতও থাকবে এবং চকচকেও হয়ে উঠবে। ফ্রিজ পরিষ্কার হয়ে গেলে ফ্রিজকে কিছুক্ষণ খালি রেখে ফ্রিজের দরজাটা খোলা রাখুন। এতে করে ভেতরে থাকা গন্ধ হাওয়ার মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ ফ্রিজটি পরিষ্কার হয়ে গেলে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফ্রিজের লাইন অন করে দিন এবং ফ্রিজ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ফ্রিজের ভেতর  কিছু না রাখাই ভালো।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা অযৌক্তিক : পরিবেশমন্ত্রী

ঈদের আগে ফ্রিজের যত্ন

Update Time : 10:07:41 am, Wednesday, 12 June 2024

কোরবানি একদম দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কয়েকটা দিন গেলেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের কথা শুনলেই নাকে যেন মাংসের ঘ্রাণ চলে আসে। কোরবানি ঈদে আনন্দের সাথে সাথে থাকে এক পাহাড় সমান ব্যস্ততাও। ঈদের দিনের কোরবানির প্রস্তুতির সাথে সাথে নিজের ঘরকেও করতে হয় কোরবানির জন্য প্রস্তুত। ঘরে বেড়ে যায় নানান কাজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণের কাজ। আর এখন তা সংরক্ষণের জন্য একমাত্র মাধ্যম হলো ঘরের ফ্রিজটি। নিয়মিত ফ্রিজ ব্যবহারে অনেক সময় মাছ মাংস থেকে রক্ত জমে থাকতে পারে। এছাড়াও বরফ জমে থাকে এছাড়া ফ্রিজে যে শুধু মাছ মাংস থাকে তাও নয় অন্যান্য অনেক মসলাও ফ্রিজে থাকে। দীর্ঘদিন ফ্রিজে নানান ধরনের মাছ-মাংস মসলা থাকার ফলে ফ্রিজ খানিকটা নোংরা হয়ে যায়। আর কোরবানি ঈদের জন্য ফ্রিজকে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন কারণ তখন ফ্রিজে জিনিসপত্র রাখার চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। এবং ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র সরানোরও প্রয়োজন পরে জায়গা করার জন্য। তাই ঈদের আগেই ফ্রিজ খালি করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। সঠিক সময়ে যদি ফ্রিজটি প্রস্তুত না থাকে তাহলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং এতে ফ্রিজে থাকা আগের জিনিসপত্রও জমাট ছেড়ে দেবে। এরপর ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নরম কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন। এছাড়া ফ্রিজের দুর্গন্ধ দুর করতে একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রস মিশিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন, শিরিষ কাগজ বা শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ শক্ত জিনিস দিয়ে পরিষ্কার করলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ, ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার ও হ্যান্ডলটিও পরিষ্কার করুন। এতে এর আঠালো ভাবটি দূর হয়ে যাবে। ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণটি সুরক্ষিতও থাকবে এবং চকচকেও হয়ে উঠবে। ফ্রিজ পরিষ্কার হয়ে গেলে ফ্রিজকে কিছুক্ষণ খালি রেখে ফ্রিজের দরজাটা খোলা রাখুন। এতে করে ভেতরে থাকা গন্ধ হাওয়ার মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ ফ্রিজটি পরিষ্কার হয়ে গেলে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফ্রিজের লাইন অন করে দিন এবং ফ্রিজ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ফ্রিজের ভেতর  কিছু না রাখাই ভালো।