ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি তিনগ্রুপে বিভক্ত হয়ে একগ্রুপের সাথে অন্যগ্রুপের সম্পর্কের টানাপোড়ন ক্রমেই বিরোধে রুপ নিচ্ছে। নিজ নিজ অবস্থান শক্ত ও পাকাপোক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে অন্য পক্ষের লোকজনের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। গত ২৭ নভেম্বরে গাবতলীতে প্রতিপক্ষের উপর হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আগামী সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যগন তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।সাইফুল ইসলাম ও মোঃ বাতেনের নেতৃত্বে সাইফুল বাতেন গ্রুপ, ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাবিবুর রহমান ও আসলাম চৌধুরী নেতৃত্বে হাবিব আসলাম গ্রুপ, মাহাতাব চৌধুরী ও সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে মাহাতাব সোহরাব গ্রুপ যার যার অবস্থান জানান দিতে নিজ নিজ অনুগত শ্রমিকদের নিয়ে সভা সেমিনার চা চক্রের আয়োজন করছেন। গত ২৭ নভেম্বর গাবতলীতে হাবিব আসলাম গ্রুপের শ্রমিকদের চা চক্রে প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। এতে অনেকেই আহত হন। কয়েকজন গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে। কারো মাথায় সেলাইসহ হাত ভেঙ্গে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাসির জানান, হাবিব আসলাম গ্রুপের আমন্ত্রনে ৪০/৫০ জন শ্রমিক গাবতলীতে চা চক্রে গিয়েছিলাম, সেখানে সাইফুল বাতেন গ্রুপের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমাদের শ্রমিক মকসুদের হাত ভেঙ্গে যায়। আমাদের আরো ৭/৮ জন ঘুরুতর আহত হন। মালিক সমিতির সদস্য কাদির জানান, স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে ষড়যন্ত্র করছে। তারা ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চায়। যারা হামলা করেছে তাদের বিরূদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গতঃ গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিতে আওয়ামী সমর্থিতরা পলাতক রয়েছেন। পরবর্তীতে প্রভাব বিস্তারের জন্য তিনটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনগ্রুপকে একত্রে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রম অধিদপ্তর। বিরোধ নিস্পত্তি না হলে পরিবহন খাত অস্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।