Dhaka 10:34 pm, Thursday, 4 July 2024

ক্যানসারের ভ্যাকসিন আনছে রাশিয়া!

ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরিতে সফলতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন রুশ বিজ্ঞানীরা। সেইসঙ্গে খুব শিগরিরই রোগীরা এই ভ্যাকসিন পেতে পারেন বলেও দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে এই ভ্যাকসিন শিগগিরই রোগীরা পেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরির কাছাকাছি রয়েছেন এবং এটি শিগগিরই রোগীদের জন্য সহজলভ্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্মের ক্যানসার ভ্যাকসিন এবং ইমিউনোমোডুলেটরি ওষুধ তৈরির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি’।

আরো পড়ুন:কার অবস্থা কখন কি হয় বলা যায় না : কাদের

ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ওপর আয়োজিত মস্কো ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, শিগগিরই এই টিকা কার্যকরভাবে রোগীদের চিকিৎসা থেরাপির পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার করা হবে।’ অবশ্য প্রস্তাবিত ভ্যাকসিনগুলো ঠিক কোন ধরনের ক্যানসারকে লক্ষ্য করে চিকিৎসার কাজ করবে বা কীভাবে সেটি হবে তা নির্দিষ্ট করেননি পুতিন। রয়টার্স বলছে, রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশ ও কোম্পানি ক্যানসারের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। গত বছর যুক্তরাজ্য সরকার ‘ব্যক্তিগত ক্যানসার চিকিৎসা’ প্রদান করতে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালু করার জন্য জার্মান-ভিত্তিক বায়োএনটেকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দেশটি এই কাজে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার রোগীর কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

আরো পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি প্রসঙ্গে যা বললেন রিজভী

এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না এবং মেরর্ক অ্যান্ড কোম্পানিও একটি পরীক্ষামূলক ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে মধ্য-পর্যায়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মেলানোমায় আক্রান্ত রোগীদের তিন বছরের চিকিৎসার পর ফের এই রোগের পুনরাবৃত্তি বা মৃত্যুর সম্ভাবনা অর্ধেক কমে গেছে। মূলত মেলানোমা হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক ত্বকের ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে ছয়টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। এইচপিভি জরায়ুমুখের ক্যানসারসহ অনেক ধরনের ক্যানসার সৃষ্টি করে। সেইসঙ্গে হেপাটাইটিস বি (এইচবিভি) প্রতিরোধী ভ্যাকসিনও আছে, যা লিভার ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন রাশিয়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিজস্ব স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে সেটি বিক্রিও করেছে।

One thought on “ক্যানসারের ভ্যাকসিন আনছে রাশিয়া!

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা অযৌক্তিক : পরিবেশমন্ত্রী

ক্যানসারের ভ্যাকসিন আনছে রাশিয়া!

Update Time : 10:54:12 am, Thursday, 15 February 2024

ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরিতে সফলতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন রুশ বিজ্ঞানীরা। সেইসঙ্গে খুব শিগরিরই রোগীরা এই ভ্যাকসিন পেতে পারেন বলেও দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে এই ভ্যাকসিন শিগগিরই রোগীরা পেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরির কাছাকাছি রয়েছেন এবং এটি শিগগিরই রোগীদের জন্য সহজলভ্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্মের ক্যানসার ভ্যাকসিন এবং ইমিউনোমোডুলেটরি ওষুধ তৈরির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি’।

আরো পড়ুন:কার অবস্থা কখন কি হয় বলা যায় না : কাদের

ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ওপর আয়োজিত মস্কো ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, শিগগিরই এই টিকা কার্যকরভাবে রোগীদের চিকিৎসা থেরাপির পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার করা হবে।’ অবশ্য প্রস্তাবিত ভ্যাকসিনগুলো ঠিক কোন ধরনের ক্যানসারকে লক্ষ্য করে চিকিৎসার কাজ করবে বা কীভাবে সেটি হবে তা নির্দিষ্ট করেননি পুতিন। রয়টার্স বলছে, রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশ ও কোম্পানি ক্যানসারের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। গত বছর যুক্তরাজ্য সরকার ‘ব্যক্তিগত ক্যানসার চিকিৎসা’ প্রদান করতে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালু করার জন্য জার্মান-ভিত্তিক বায়োএনটেকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দেশটি এই কাজে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার রোগীর কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

আরো পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি প্রসঙ্গে যা বললেন রিজভী

এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না এবং মেরর্ক অ্যান্ড কোম্পানিও একটি পরীক্ষামূলক ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে মধ্য-পর্যায়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মেলানোমায় আক্রান্ত রোগীদের তিন বছরের চিকিৎসার পর ফের এই রোগের পুনরাবৃত্তি বা মৃত্যুর সম্ভাবনা অর্ধেক কমে গেছে। মূলত মেলানোমা হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক ত্বকের ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে ছয়টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। এইচপিভি জরায়ুমুখের ক্যানসারসহ অনেক ধরনের ক্যানসার সৃষ্টি করে। সেইসঙ্গে হেপাটাইটিস বি (এইচবিভি) প্রতিরোধী ভ্যাকসিনও আছে, যা লিভার ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন রাশিয়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিজস্ব স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে সেটি বিক্রিও করেছে।