Dhaka 6:20 am, Sunday, 7 July 2024

রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা না থাকলে সমাজ হয় ভারসাম্যহীন : এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, আমরা জনগণের জন্য আন্দোলন করছি। দেশের জন্য আন্দোলন করছি। একইসঙ্গে ভোট ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি।একটি দল দিয়ে রাজনীতি হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে হলে অনেকগুলো দল লাগে। শুধু ক্ষমতাশীল দল দিয়ে হবে না, বিরোধী দলও থাকতে হবে। এরমধ্যে কেউ কখনো বিরোধী দল থাকবে, আবার তারা সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। এটি হলো রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। এটি না থাকলে সমাজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। সমাজে ভারসাম্য থাকবে না। সাধারণ মানুষের মূল্যায়ন থাকবে না। জনগণ বঞ্চিত হবে।

আরো পড়ুন:দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে : বিমান মন্ত্রী

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এ্যানী আরও বলেন, দেশে যদি সর্বজনীন শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন হতো। সংসদে ৩০০ জন সংসদ সদস্যের একেকজন একেক মতের পক্ষে কথা বলতো। ভিন্ন ভিন্ন দলের কথা বলতো। সেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রতিনিধিরা থাকতো। এটি হতো দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ। সেই স্বার্থের জন্য আমরা আন্দোলনরত আছি। দেশ টিকিয়ে রাখতে হলে, গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে, জনগণের মুখ উজ্জ্বল করতে হলে, জনগণের অধিকার আদায় করতে হলে সর্বজনীন নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি যার যার জায়গায় থাকবে। কিন্তু সেখানে যদি রাজনৈতিক সৌহার্দ্য না থাকে, স্বাভাবিক রাজনীতি যদি না থাকে, তাহলে দেশের মানুষ বঞ্চিত হবে। এভাবে বঞ্চিত হতে হতে একদিন রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারির দিকে চলে যাবে। আমরা মনে করি দেশে যারা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যারা আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের উচিত- সব বিরোধী দলকে নিয়ে বসে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, সঠিক রাজনীতিকে কিভাবে নিয়ে আসা যায়, যে রাজনীতিতে দেশের কথা থাকবে, জনগণের কথা থাকবে, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বেও কথা থাকবে, সেই আহ্বান আমরা করতে পারি। রাজনৈতিকভাবে কোনো দল দেউলিয়া হয়ে যাক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই সত্যিকারের রাজনীতির মধ্য দিয়ে নেতার নেতৃত্ব বিকশিত হোক। সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক।এনটিভির লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার সভাপতি কামাল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি বদরুল আলম শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও লক্ষ্মীপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আনিস কবির প্রমুখ।

One thought on “রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা না থাকলে সমাজ হয় ভারসাম্যহীন : এ্যানী

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা না থাকলে সমাজ হয় ভারসাম্যহীন : এ্যানী

Update Time : 05:40:14 pm, Wednesday, 3 July 2024

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, আমরা জনগণের জন্য আন্দোলন করছি। দেশের জন্য আন্দোলন করছি। একইসঙ্গে ভোট ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি।একটি দল দিয়ে রাজনীতি হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে হলে অনেকগুলো দল লাগে। শুধু ক্ষমতাশীল দল দিয়ে হবে না, বিরোধী দলও থাকতে হবে। এরমধ্যে কেউ কখনো বিরোধী দল থাকবে, আবার তারা সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। এটি হলো রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। এটি না থাকলে সমাজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। সমাজে ভারসাম্য থাকবে না। সাধারণ মানুষের মূল্যায়ন থাকবে না। জনগণ বঞ্চিত হবে।

আরো পড়ুন:দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে : বিমান মন্ত্রী

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এ্যানী আরও বলেন, দেশে যদি সর্বজনীন শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন হতো। সংসদে ৩০০ জন সংসদ সদস্যের একেকজন একেক মতের পক্ষে কথা বলতো। ভিন্ন ভিন্ন দলের কথা বলতো। সেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রতিনিধিরা থাকতো। এটি হতো দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ। সেই স্বার্থের জন্য আমরা আন্দোলনরত আছি। দেশ টিকিয়ে রাখতে হলে, গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে, জনগণের মুখ উজ্জ্বল করতে হলে, জনগণের অধিকার আদায় করতে হলে সর্বজনীন নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি যার যার জায়গায় থাকবে। কিন্তু সেখানে যদি রাজনৈতিক সৌহার্দ্য না থাকে, স্বাভাবিক রাজনীতি যদি না থাকে, তাহলে দেশের মানুষ বঞ্চিত হবে। এভাবে বঞ্চিত হতে হতে একদিন রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারির দিকে চলে যাবে। আমরা মনে করি দেশে যারা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যারা আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের উচিত- সব বিরোধী দলকে নিয়ে বসে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, সঠিক রাজনীতিকে কিভাবে নিয়ে আসা যায়, যে রাজনীতিতে দেশের কথা থাকবে, জনগণের কথা থাকবে, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বেও কথা থাকবে, সেই আহ্বান আমরা করতে পারি। রাজনৈতিকভাবে কোনো দল দেউলিয়া হয়ে যাক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই সত্যিকারের রাজনীতির মধ্য দিয়ে নেতার নেতৃত্ব বিকশিত হোক। সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক।এনটিভির লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার সভাপতি কামাল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি বদরুল আলম শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও লক্ষ্মীপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আনিস কবির প্রমুখ।