Dhaka 7:22 pm, Friday, 5 July 2024

যে বাড়িতে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতেন সাহাবিরা

রাসূল সা.-এর ইসলামের আহ্বান মক্কার কাফেররা ভালোভাবে নিতে পারেনি। তারা ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে সবধরনের অপকৌশল অবলম্বন করেছিল। ইসলামের শুরুর দিনগুলোতে কাউকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে দেখলেই তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো।

আরো পড়ুন:বিমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

মক্কার মুশরিকরা একদিন মক্কার একটি পাহাড়ে একদল মুসলিমকে নামাজ আদায় করতে দেখার পর তাদের ওপর হামলা করে। মুসলিমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় মুসলিমদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।এই পরিস্থিতিতে মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গার প্রয়োজন অনুভব করেন যেখানে তারা মক্কার মুশরিকদের চোখের আড়ালে গিয়ে নিজেদের মতো করে ইবাদত করতে পারবেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে ইসলামের বাণী ও ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।  এজন্য হজরত আরকাম বিন আবিল আরকাম মাখযুমী রা.-এর বাড়ি নির্বাচন করা হয়। এ বাড়িটি ছিল ওপর। তাই তা অত্যাচারী মুশরিকদের দৃষ্টির আড়ালে ছিল এবং তারা সচারাচর যেসব জায়গায় বসে গল্প-গুজব ও আড্ডা দিতো এই বাড়ি ছিল তার থেকে দূরে অবস্থিত। তাই রাসূলুল্লাহ সা. এ বাড়িকেই মুসলমানদের সাথে গোপনে মিলিত হওয়ার উপযুক্ত স্থান হিসেবে গ্রহণ করলেন। এখানেই তিনি সাহাবিদেরকে কোরআনের বাণী শোনানো, তাদের অন্তরকে কলূষমুক্তকরণ এবং তাদেরকে কিতাব এবং হিকমত শিক্ষা দেওয়ার মনস্থ করলেন। আর মুসলমানরা যেন নিরাপদে তাদের ইবাদত বন্দেগী চালিয়ে যেতে পারেন; রাসূল সা.-এর উপর যা অবতীর্ণ হয় তা তারা নিরাপদে গ্রহণ করতে পারেন এবং অত্যাচারী মুশরিকদের অজান্তে যারা ইসলাম গ্রহণ করতে চায় তারা যাতে ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হতে পারেন।

(ইবনে হিশাম ১/২৬৩, আর রাহীকুল মাখতুম)

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

যে বাড়িতে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতেন সাহাবিরা

Update Time : 11:37:36 am, Wednesday, 3 July 2024

রাসূল সা.-এর ইসলামের আহ্বান মক্কার কাফেররা ভালোভাবে নিতে পারেনি। তারা ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে সবধরনের অপকৌশল অবলম্বন করেছিল। ইসলামের শুরুর দিনগুলোতে কাউকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে দেখলেই তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো।

আরো পড়ুন:বিমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

মক্কার মুশরিকরা একদিন মক্কার একটি পাহাড়ে একদল মুসলিমকে নামাজ আদায় করতে দেখার পর তাদের ওপর হামলা করে। মুসলিমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় মুসলিমদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।এই পরিস্থিতিতে মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গার প্রয়োজন অনুভব করেন যেখানে তারা মক্কার মুশরিকদের চোখের আড়ালে গিয়ে নিজেদের মতো করে ইবাদত করতে পারবেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে ইসলামের বাণী ও ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।  এজন্য হজরত আরকাম বিন আবিল আরকাম মাখযুমী রা.-এর বাড়ি নির্বাচন করা হয়। এ বাড়িটি ছিল ওপর। তাই তা অত্যাচারী মুশরিকদের দৃষ্টির আড়ালে ছিল এবং তারা সচারাচর যেসব জায়গায় বসে গল্প-গুজব ও আড্ডা দিতো এই বাড়ি ছিল তার থেকে দূরে অবস্থিত। তাই রাসূলুল্লাহ সা. এ বাড়িকেই মুসলমানদের সাথে গোপনে মিলিত হওয়ার উপযুক্ত স্থান হিসেবে গ্রহণ করলেন। এখানেই তিনি সাহাবিদেরকে কোরআনের বাণী শোনানো, তাদের অন্তরকে কলূষমুক্তকরণ এবং তাদেরকে কিতাব এবং হিকমত শিক্ষা দেওয়ার মনস্থ করলেন। আর মুসলমানরা যেন নিরাপদে তাদের ইবাদত বন্দেগী চালিয়ে যেতে পারেন; রাসূল সা.-এর উপর যা অবতীর্ণ হয় তা তারা নিরাপদে গ্রহণ করতে পারেন এবং অত্যাচারী মুশরিকদের অজান্তে যারা ইসলাম গ্রহণ করতে চায় তারা যাতে ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হতে পারেন।

(ইবনে হিশাম ১/২৬৩, আর রাহীকুল মাখতুম)