Dhaka 2:14 pm, Tuesday, 2 July 2024

অসুস্থ ব্যক্তির জন্য হাদিসের সুসংবাদ

আতা ইবনি ইয়াসার রহ. থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো (আল্লাহর) বান্দা রোগাক্রান্ত হয় তখন আল্লাহ তায়ালা তার কাছে দুইজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং বলেন, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে যারা দেখতে আসে, সেই লোকগুলোকে রোগী কি বলে, দেখ। যদি সে আগন্তুকদের কাছে আল্লাহর প্রশংসা করে, তখন সেই দুই ফেরেশতা রোগী করা প্রশংসা নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হন। 

আরো পড়ুন:সাইবার অপরাধের শীর্ষে হ্যাকিং, ভুক্তভোগীদের ৫৯ শতাংশই নারী

 আল্লাহ তায়ালা সব জানা সত্ত্বেও সেই ফেরেশতাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, সে কি বলেছে? ফেরেশতা যখন সেই প্রশংসার কথা বলেন তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন—

যদি আমি আমার সেই রুগ্ন বান্দাকে এই রোগের মাধ্যমে মৃত্যু দান করি, তবে আমি তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাব। আর যদি সুস্থ করে দেই, তবে আগের চাইতে অধিক গোশত ও রক্ত দান করব (অর্থাৎ ভাল স্বাস্থ্য দান করব) এবং তার গুনাহ মাফ করে দেবো। (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস :১৬৯২)

এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝা যায়, যার ওপর কোনো মুসিবত আসে, তিনি যদি প্রকৃত ঈমানদার হন, তাহলে বুঝতে হইবে যে, এই বিপদ মুসিবত তার জন্য মঙ্গলময় হইবে।আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো রোগীকে দেখতে গেল, তার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা যায় এবং তারা সবাই সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান নির্ধারণ করা হয়।আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় কোনো রোগীকে দেখতে গেল, তার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা যায় এবং তারা সবাই সকাল পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান নির্ধারণ করা হয়। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৭৬৭)রোগী দেখতে যাওয়ার সওয়াব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রোগী দেখতে গেল, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে আচ্ছন্ন থাকল এবং যখন সে রোগীর কাছে বসে, তখন সে রহমতের ভেতরে ডুবে থাকে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৩০১৮)

আরো পড়ুন:প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল গ্রিস : ৬ পর্যটকের মৃত্যু

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

অসুস্থ ব্যক্তির জন্য হাদিসের সুসংবাদ

Update Time : 05:16:11 pm, Saturday, 29 June 2024

আতা ইবনি ইয়াসার রহ. থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো (আল্লাহর) বান্দা রোগাক্রান্ত হয় তখন আল্লাহ তায়ালা তার কাছে দুইজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং বলেন, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে যারা দেখতে আসে, সেই লোকগুলোকে রোগী কি বলে, দেখ। যদি সে আগন্তুকদের কাছে আল্লাহর প্রশংসা করে, তখন সেই দুই ফেরেশতা রোগী করা প্রশংসা নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হন। 

আরো পড়ুন:সাইবার অপরাধের শীর্ষে হ্যাকিং, ভুক্তভোগীদের ৫৯ শতাংশই নারী

 আল্লাহ তায়ালা সব জানা সত্ত্বেও সেই ফেরেশতাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, সে কি বলেছে? ফেরেশতা যখন সেই প্রশংসার কথা বলেন তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন—

যদি আমি আমার সেই রুগ্ন বান্দাকে এই রোগের মাধ্যমে মৃত্যু দান করি, তবে আমি তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাব। আর যদি সুস্থ করে দেই, তবে আগের চাইতে অধিক গোশত ও রক্ত দান করব (অর্থাৎ ভাল স্বাস্থ্য দান করব) এবং তার গুনাহ মাফ করে দেবো। (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস :১৬৯২)

এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝা যায়, যার ওপর কোনো মুসিবত আসে, তিনি যদি প্রকৃত ঈমানদার হন, তাহলে বুঝতে হইবে যে, এই বিপদ মুসিবত তার জন্য মঙ্গলময় হইবে।আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো রোগীকে দেখতে গেল, তার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা যায় এবং তারা সবাই সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান নির্ধারণ করা হয়।আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় কোনো রোগীকে দেখতে গেল, তার সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা যায় এবং তারা সবাই সকাল পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান নির্ধারণ করা হয়। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৭৬৭)রোগী দেখতে যাওয়ার সওয়াব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রোগী দেখতে গেল, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে আচ্ছন্ন থাকল এবং যখন সে রোগীর কাছে বসে, তখন সে রহমতের ভেতরে ডুবে থাকে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৩০১৮)

আরো পড়ুন:প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল গ্রিস : ৬ পর্যটকের মৃত্যু