Dhaka 4:03 pm, Sunday, 30 June 2024

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার নামে ইডেন কলেজ নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন— এমন অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহদাতের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেত্রী।বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন তিনি। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মাহিন এলাহী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:পদ্মা সেতুর ঋণের ৭ম ও ৮ম কিস্তি পরিশোধ

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম ২০১৩-১৪ সেশনে ইডেন মহিলা কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং সেকশনে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে বান্ধবীদের নিয়ে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান। সেখানে গিয়ে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। তাদের ফোনে কথাবার্তা হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি ফুয়াদ ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। পরদিন তারা শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামি ফুয়াদকে ফোন/হোয়াটসঅ্যাপে জানালে তিনি বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলেন। ভিকটিম এতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের বাচ্চা নষ্ট করতে ফুয়াদ ওষুধ মিশিয়ে জুস খেতে দেন। জুস খাওয়ার পরে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ফুয়াদ ভিকটিমকে বিয়ে রেজিস্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিকটিম বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য ফুয়াদকে চাপ প্রদান করেন। তখন ফুয়াদ জানান তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষ হলে বিয়ের রেজিস্ট্রি করার আশ্বাস দেন। ২০২২ সালে ফুয়াদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পান। আসামির এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ভিকটিম ফুয়াদের নিকটতম লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।তখন তারা জানান যে, ফুয়াদ অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত ৩ জানুয়ারি আগের মতো ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করলে ফুয়াদকে বিয়ের রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তখন ভিকটিমকে মারধর করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন ফুয়াদ।

One thought on “সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার নামে ইডেন কলেজ নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার নামে ইডেন কলেজ নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

Update Time : 03:30:31 pm, Thursday, 27 June 2024

কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন— এমন অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহদাতের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেত্রী।বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন তিনি। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মাহিন এলাহী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:পদ্মা সেতুর ঋণের ৭ম ও ৮ম কিস্তি পরিশোধ

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম ২০১৩-১৪ সেশনে ইডেন মহিলা কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং সেকশনে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে বান্ধবীদের নিয়ে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান। সেখানে গিয়ে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। তাদের ফোনে কথাবার্তা হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি ফুয়াদ ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। পরদিন তারা শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামি ফুয়াদকে ফোন/হোয়াটসঅ্যাপে জানালে তিনি বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলেন। ভিকটিম এতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের বাচ্চা নষ্ট করতে ফুয়াদ ওষুধ মিশিয়ে জুস খেতে দেন। জুস খাওয়ার পরে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ফুয়াদ ভিকটিমকে বিয়ে রেজিস্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিকটিম বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য ফুয়াদকে চাপ প্রদান করেন। তখন ফুয়াদ জানান তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষ হলে বিয়ের রেজিস্ট্রি করার আশ্বাস দেন। ২০২২ সালে ফুয়াদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পান। আসামির এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ভিকটিম ফুয়াদের নিকটতম লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।তখন তারা জানান যে, ফুয়াদ অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত ৩ জানুয়ারি আগের মতো ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করলে ফুয়াদকে বিয়ের রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তখন ভিকটিমকে মারধর করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন ফুয়াদ।