Dhaka 9:47 pm, Monday, 8 July 2024

বোটানিক্যাল গার্ডেনকে বাণিজ্যিক পণ্য বানানোর সুযোগ নেই : আইপিডি

সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অন্যান্য উদ্যান-ইকোপার্ককে বাণিজ্যিক পণ্য বানানোর সুযোগ নেই বলে দাবি করেছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।শুক্রবার (৫ জুলাই) আইপিডি পরিচালক অধ্যাপক ড.  আদিল মুহাম্মদ খান এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

আরো পড়ুন:ইরানে চলছে ২য় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেনসহ ছয় উদ্যান ও ইকোপার্কের প্রবেশমূল্য অন্যায্য ও অবিবেচনাপ্রসূতভাবে বাড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। উদ্যান-পার্কে সার্বজনীন ও অবাধ প্রবেশাধিকারের রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে প্রবেশমূল্য কয়েকগুণ বাড়ানোর ঘটনাটি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ এবং জনগণের বিনোদন ও জনস্বাস্থ্য সুবিধাদির সার্বজনীন ধারণার  প্রতি বৈষম্যমূলক। ফলে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন (জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান), রাজধানীর বলধা গার্ডেন, কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্ক এবং ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কে প্রবেশমূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করতে হবে।আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, আধুনিক নগর পরিকল্পনায় উদ্যান-পার্ক-খেলার মাঠকে বিনোদন সুবিধাদি বিবেচনার সাথে সাথে স্বাস্থ্য অবকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরো পড়ুন;তিস্তা ব্যারাজের বাঁধে ধস, আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা

যেসব শহরে যথাযথ পরিমাণ উদ্যান-পার্ক-খেলার মাঠ থাকে এবং জনগণের সেখানে অবাধ প্রবেশাধিকার আছে, সেই শহরের অধিবাসীদের জনস্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। ফলে নগরের হাসপাতাল-ক্লিনিক প্রভৃতি স্বাস্থ্য অবকাঠামোয় চাপ পড়ে কম।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের স্মরণ রাখা দরকার, সংবিধানের ১৫ ধারায় বিনোদনকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং ১৭ ধারায় জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রকে। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৯ ধারায় রাষ্ট্রকে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তারপরও বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, পার্ক-উদ্যান-খেলার মাঠে সাধারণ জনসাধারণের প্রবেশাধিকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। পার্ক-উদ্যানসহ বিভিন্ন গণপরিসরসমূহকে ইজারা দেওয়ার নামে গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।আমাদের মনে রাখা দরকার, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অন্যান্য উদ্যান-ইকোপার্কসমূহ আমাদের শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী গবেষকসহ সকলের জন্যই প্রকৃতিকে জানার ও প্রকৃতি থেকে শেখার জন্য উন্মুক্ত বিদ্যালয়। ফলে এই সকল উদ্যানের প্রবেশমূল্য যেন সকলের জন্য সাশ্রয়ী হয়, সেই বিবেচনাটিই প্রাধান্য পাওয়া উচিত।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বোটানিক্যাল গার্ডেনকে বাণিজ্যিক পণ্য বানানোর সুযোগ নেই : আইপিডি

Update Time : 08:07:12 pm, Friday, 5 July 2024

সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অন্যান্য উদ্যান-ইকোপার্ককে বাণিজ্যিক পণ্য বানানোর সুযোগ নেই বলে দাবি করেছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।শুক্রবার (৫ জুলাই) আইপিডি পরিচালক অধ্যাপক ড.  আদিল মুহাম্মদ খান এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

আরো পড়ুন:ইরানে চলছে ২য় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেনসহ ছয় উদ্যান ও ইকোপার্কের প্রবেশমূল্য অন্যায্য ও অবিবেচনাপ্রসূতভাবে বাড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। উদ্যান-পার্কে সার্বজনীন ও অবাধ প্রবেশাধিকারের রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে প্রবেশমূল্য কয়েকগুণ বাড়ানোর ঘটনাটি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ এবং জনগণের বিনোদন ও জনস্বাস্থ্য সুবিধাদির সার্বজনীন ধারণার  প্রতি বৈষম্যমূলক। ফলে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন (জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান), রাজধানীর বলধা গার্ডেন, কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্ক এবং ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কে প্রবেশমূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করতে হবে।আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, আধুনিক নগর পরিকল্পনায় উদ্যান-পার্ক-খেলার মাঠকে বিনোদন সুবিধাদি বিবেচনার সাথে সাথে স্বাস্থ্য অবকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরো পড়ুন;তিস্তা ব্যারাজের বাঁধে ধস, আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা

যেসব শহরে যথাযথ পরিমাণ উদ্যান-পার্ক-খেলার মাঠ থাকে এবং জনগণের সেখানে অবাধ প্রবেশাধিকার আছে, সেই শহরের অধিবাসীদের জনস্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। ফলে নগরের হাসপাতাল-ক্লিনিক প্রভৃতি স্বাস্থ্য অবকাঠামোয় চাপ পড়ে কম।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের স্মরণ রাখা দরকার, সংবিধানের ১৫ ধারায় বিনোদনকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং ১৭ ধারায় জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রকে। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৯ ধারায় রাষ্ট্রকে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তারপরও বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, পার্ক-উদ্যান-খেলার মাঠে সাধারণ জনসাধারণের প্রবেশাধিকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। পার্ক-উদ্যানসহ বিভিন্ন গণপরিসরসমূহকে ইজারা দেওয়ার নামে গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।আমাদের মনে রাখা দরকার, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অন্যান্য উদ্যান-ইকোপার্কসমূহ আমাদের শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী গবেষকসহ সকলের জন্যই প্রকৃতিকে জানার ও প্রকৃতি থেকে শেখার জন্য উন্মুক্ত বিদ্যালয়। ফলে এই সকল উদ্যানের প্রবেশমূল্য যেন সকলের জন্য সাশ্রয়ী হয়, সেই বিবেচনাটিই প্রাধান্য পাওয়া উচিত।