Dhaka 2:13 pm, Tuesday, 2 July 2024

আগামীকাল শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৪

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল (রোববার)। এই পরীক্ষাকে নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু করতে আজ (২৯ জুন) থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৪ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে আইএসটিএস, বিসিএস পরীক্ষার মতো অন্যান্য কোচিং সেন্টার যথারীতি খোলা রাখতে পারে।

আরো পড়ুন:সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার শঙ্কা

আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গত ৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব নির্দেশনা দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।এবার বন্যার কারণে সিলেট, মাদ্রাসা ও কারিগরি এই তিনটি বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ায় প্রথম দিনে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসবেন। এগুলো হলো- ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী, যশোর, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর বোর্ড। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষাবোর্ড, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষা জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্রসংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ ৫০৯ জন। এবার মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র এক হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ঐ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।

আরো পড়ুন:ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা : পাটগ্রাম সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি আটক

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন- পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।এ ছাড়া, বিশেষভাবে সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আগামীকাল শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৪

Update Time : 12:57:21 pm, Saturday, 29 June 2024

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল (রোববার)। এই পরীক্ষাকে নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু করতে আজ (২৯ জুন) থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৪ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে আইএসটিএস, বিসিএস পরীক্ষার মতো অন্যান্য কোচিং সেন্টার যথারীতি খোলা রাখতে পারে।

আরো পড়ুন:সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার শঙ্কা

আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গত ৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব নির্দেশনা দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।এবার বন্যার কারণে সিলেট, মাদ্রাসা ও কারিগরি এই তিনটি বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ায় প্রথম দিনে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসবেন। এগুলো হলো- ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী, যশোর, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর বোর্ড। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষাবোর্ড, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষা জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্রসংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ ৫০৯ জন। এবার মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র এক হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ঐ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।

আরো পড়ুন:ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা : পাটগ্রাম সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি আটক

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন- পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।এ ছাড়া, বিশেষভাবে সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।