প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৪, ৯:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৩, ২০২৪, ১২:০৭ পি.এম
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। দীর্ঘদিন পরে এমন স্বস্তির বৃষ্টিপাতে ফসলের জন্য ভালো বলে মনে করছে কৃষি অফিস।
আরো পড়ুন:দুপুরের মধ্যে যে ১৭ অঞ্চলে ঝড় হতে পারে
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৯ জুন) রাজশাহীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। রোববার (৩০ জুন) ৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার ও সোমবার (১ জুলাই) রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে।রোববার থেকে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে রাজশাহী নগরীর উপশহর, উপশহর নিউমার্কেট, সপুরা করবস্থানের উত্তরের সড়ক ও সাহেব বাজারের একটি সড়কে পানি জমে যায়। তবে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যায়।এছাড়া কৃষকের জমিতে ধান, পাট, আখ ছাড়াও বিভিন্ন সবজি রয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এই ফসলগুলোতে পানি প্রয়োজন ছিল। এই বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলী জমিতে পানির অভাব পূরণ হয়েছে। রাত ৮টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকায় কথা হয় সাইফুল হকের সাথে। তিনি জানান, বৃষ্টিপাতের পরে সড়কে পানি জমে যায়। সন্ধ্যার দিকে বেশি পানি ছিল। তবে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছিল। তবে বৃষ্টি চলাকালীন সময়ের কিছুক্ষণের মধ্যে পানি ড্রেনে নেমে যায়।পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের হাজরাপুকুর এলাকার বাসিন্দা রাজু আহম্মেদ বৃষ্টির পর খেতে নেমেছেন ধানের বীজতলা ফেলার জন্য। তিনি বলেন, এই বৃষ্টির জন্য অনেক দিন অপেক্ষায় ছিলাম। দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হলে ধানের বীজতলা ফেলবো এমন আশা ছিল। অবশেষে ধানের বীজতলা তৈরি করতে যে পানির প্রয়োজন হয় তা বৃষ্টি থেকে পূরণ হয়েছে।
নগরীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, সকালে শ্রমিক নিয়ে ধান লাগানোর জমি প্রস্তুত করেছি। বিকেলে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে পাটের খেতে কাজ করা হচ্ছে। জমি থেকে অতিরিক্ত পাট গাছ তুলে ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টির দরকার ছিল। বৃষ্টির ফলে পাটের জন্য উপকার হলো। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ রহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, এই বৃষ্টি ফসলের জন্যই ভালো হলো। জমিতে কৃষকরা ধানের বীজ ফেলছেন। এছাড়া পাটের জন্য ভালো হলো। জমিতে কৃষকের ক্ষতি হওয়ার মতো কোনো ফসল নেই। এছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন শাক সবজি ভালো হবে।
https://youtu.be/7uUj7uCehlI?si=81Jw6G8km9WfZdFF
Copyright © 2024 dailysdiganta. All rights reserved.