Dhaka ০৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুলশানে যৌথ বাহিনীর অভিযান

পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে স্পার আড়ালে সুলতান-ইভা-রিয়ার যত অপকর্ম

প্রায় এক দশক আগ থেকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীতে একটি-দুটি করে গড়ে উঠে ম্যাসাজ থেরাপী দেওয়ার জন্য স্পা সেন্টার। আর এই স্পা সেগুলোই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতেও। সিটি করপোরেশন থেকে সেলুন, বিউটি পার্লার, ব্যায়ামাগার বা ফিটনেস সেন্টার ও ক্ষুদ্র ব্যবসার লাইসেন্সের আড়ালে গড়ে তোলা হয় এসব কথিত স্পা সেন্টার। সেগুলোর অধিকাংশের বিরুদ্ধে মাদক ও দেহব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে উঠতি বয়সের তরুণীদের দিয়ে গ্রাহকদের স্পা করানোর নামে অশ্লীল কর্মকান্ড এবং ম্যাসাজ থেরাপীর আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপের সময়ের ছবি ধারণ করে পরবর্তীতে চলে ব্ল্যকমেইল।

তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযানে স্পা সেন্টারের মালিকসহ দেহব্যবসায়ীদের মামলা প্রদান করা হয়। কিন্তু একাধিক অভিযানের পরেও স্পা সেন্টারের দৌরাত্ম দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে যুব সমাজ।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ প্রশাসনের মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে মামলা দিলেও কিছু দিন পরে আইনের ফাঁক ফোকরে বেড়িয়ে এসে পুনরায় এরা আবারো অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এতে করে আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ সঙ্কায় রয়েছি। দিন দিন গুলশানে স্পা সেন্টারের আড়ালে এদের অনৈতিক কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে দেশের চলমান ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় এলাকার জনসাধারন। তিনি বনানী থেকে একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা মাথায় নিয়ে গুলশান-১ এর রোড নং-১৩০, বাড়ী নং-২৮ এ একটি স্পা সেন্টারে গতকাল যৗথবাহিনীর  অভিযান পরিচালনা করেন এবং অভিযানে একাধিক অপরাধীদের গ্রেফতার করে গুলশান থানায় নিয়ে যায়।তবে আয়েশা সিদ্দিকী লাবনী ওরফে ইভার ৫ তলার স্পা সেন্টারটি বন্ধ থাকায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।

এছাড়াও একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হওয়ার পরও বহাল তবীয়তে গুলশান-১ এর রোড নং-১৩১, বাড়ী নং-৬০/বি তে স্পা সেন্টারের নাম দিয়ে দেহ ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য পরিচালনা করছেন রহিমা বেগম (ওরফে সুমনা, ওরফে সুলতানা) এবং তার স্বামী কখনো নাটকের পরিচালক আবার কখনো পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নারী পাচার চক্রের সদস্য এ কে হৃদয়। যার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন, নারী পাচারকারী চক্রের দালাল নুরুল ইসলাম নাহিদ (ওরফে নাবিল হাসান)। কিন্তু ওরফে সুলতানা তিনি আ.লীগের সময় কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগসহ একাধিক লীগের পরিচয় দিয়ে থাকতেন। এখন আবার আ.লীগ সরকার পতন হওয়ার পর তিনি পুলিশ কিংবা যৌথ বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে অভিনব কায়দায় দেধারছে চালিয়ে আসছে তার যত অপকর্ম।
অণ্যদিকে গুলশান-২ প্লাটিনিয়াম মার্কেটের তৃতীয় তলায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে নয়ন ওরফে আকাশ এবং রিয়া তারা দির্ঘদীন ধরেই চালিয়ে আসছে তাদের ডায়মন্ড স্পা নামক একটি প্রতিষ্ঠান এবং নয়ন ওরফে আকাশকে অনৈতিক ও মাদক কার্যকলাপের দায়ে গুলশান থানা পুলিশ গত ২-৩ মাস পূর্বে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। পরে কয়েকমাস হাজত বাস করেন তিনি। নয়ন ওরফে আকাশ কখনো নিজেকে আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের পরিচয়ে বেশ দাপটের সহিদ চলতেন দামী দামী গাড়ি নিয়ে। গড়ে তুলেন অবৈধ টাকার পাহাড়।

তবে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাই থানা পুলিশ পয়সা খায় তবে যৌথ বাহিনীর সাথে আলোচনা হচ্ছে এবং মোটামুটি তারাও ম্যানেজের মধ্যে চলে আসবে। এছাড়া এলাকা পাড়া-মহল্লাতো ম্যানেজ আছেই। তবে গুলশান থানার ওসি থেকে শুরু করে সবাই নতুন এবং তাদের ম্যনেজ করে ফেলেছি। আমাদের এসব ব্যবসা বন্ধ করতে পারবেনা। সব মিলিয়ে আমার মোটামুটি ভালই রয়েছি।

এদিকে আমজাদ হোসেন নামের এক সাধারন জনগন বলেন, ভাই কি আর বলবো গুলশানে নারী চক্র ভরে গেছে। ঠিকঠাকমত চলাফেরা করতে পারছি না। এইতো কিছুদিন আগেও এসব নারী ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে গুলশান-১ এ ছাত্র সমাজ মানববন্ধন করে এদের বিরুদ্ধে। তবুও থেমে নেই তারা। (চলবে)

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গুলশানে যৌথ বাহিনীর অভিযান

পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে স্পার আড়ালে সুলতান-ইভা-রিয়ার যত অপকর্ম

Update Time : ১১:২৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রায় এক দশক আগ থেকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীতে একটি-দুটি করে গড়ে উঠে ম্যাসাজ থেরাপী দেওয়ার জন্য স্পা সেন্টার। আর এই স্পা সেগুলোই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতেও। সিটি করপোরেশন থেকে সেলুন, বিউটি পার্লার, ব্যায়ামাগার বা ফিটনেস সেন্টার ও ক্ষুদ্র ব্যবসার লাইসেন্সের আড়ালে গড়ে তোলা হয় এসব কথিত স্পা সেন্টার। সেগুলোর অধিকাংশের বিরুদ্ধে মাদক ও দেহব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে উঠতি বয়সের তরুণীদের দিয়ে গ্রাহকদের স্পা করানোর নামে অশ্লীল কর্মকান্ড এবং ম্যাসাজ থেরাপীর আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপের সময়ের ছবি ধারণ করে পরবর্তীতে চলে ব্ল্যকমেইল।

তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযানে স্পা সেন্টারের মালিকসহ দেহব্যবসায়ীদের মামলা প্রদান করা হয়। কিন্তু একাধিক অভিযানের পরেও স্পা সেন্টারের দৌরাত্ম দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে যুব সমাজ।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ প্রশাসনের মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে মামলা দিলেও কিছু দিন পরে আইনের ফাঁক ফোকরে বেড়িয়ে এসে পুনরায় এরা আবারো অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এতে করে আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ সঙ্কায় রয়েছি। দিন দিন গুলশানে স্পা সেন্টারের আড়ালে এদের অনৈতিক কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে দেশের চলমান ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় এলাকার জনসাধারন। তিনি বনানী থেকে একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা মাথায় নিয়ে গুলশান-১ এর রোড নং-১৩০, বাড়ী নং-২৮ এ একটি স্পা সেন্টারে গতকাল যৗথবাহিনীর  অভিযান পরিচালনা করেন এবং অভিযানে একাধিক অপরাধীদের গ্রেফতার করে গুলশান থানায় নিয়ে যায়।তবে আয়েশা সিদ্দিকী লাবনী ওরফে ইভার ৫ তলার স্পা সেন্টারটি বন্ধ থাকায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।

এছাড়াও একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হওয়ার পরও বহাল তবীয়তে গুলশান-১ এর রোড নং-১৩১, বাড়ী নং-৬০/বি তে স্পা সেন্টারের নাম দিয়ে দেহ ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য পরিচালনা করছেন রহিমা বেগম (ওরফে সুমনা, ওরফে সুলতানা) এবং তার স্বামী কখনো নাটকের পরিচালক আবার কখনো পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নারী পাচার চক্রের সদস্য এ কে হৃদয়। যার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন, নারী পাচারকারী চক্রের দালাল নুরুল ইসলাম নাহিদ (ওরফে নাবিল হাসান)। কিন্তু ওরফে সুলতানা তিনি আ.লীগের সময় কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগসহ একাধিক লীগের পরিচয় দিয়ে থাকতেন। এখন আবার আ.লীগ সরকার পতন হওয়ার পর তিনি পুলিশ কিংবা যৌথ বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে অভিনব কায়দায় দেধারছে চালিয়ে আসছে তার যত অপকর্ম।
অণ্যদিকে গুলশান-২ প্লাটিনিয়াম মার্কেটের তৃতীয় তলায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে নয়ন ওরফে আকাশ এবং রিয়া তারা দির্ঘদীন ধরেই চালিয়ে আসছে তাদের ডায়মন্ড স্পা নামক একটি প্রতিষ্ঠান এবং নয়ন ওরফে আকাশকে অনৈতিক ও মাদক কার্যকলাপের দায়ে গুলশান থানা পুলিশ গত ২-৩ মাস পূর্বে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। পরে কয়েকমাস হাজত বাস করেন তিনি। নয়ন ওরফে আকাশ কখনো নিজেকে আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের পরিচয়ে বেশ দাপটের সহিদ চলতেন দামী দামী গাড়ি নিয়ে। গড়ে তুলেন অবৈধ টাকার পাহাড়।

তবে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাই থানা পুলিশ পয়সা খায় তবে যৌথ বাহিনীর সাথে আলোচনা হচ্ছে এবং মোটামুটি তারাও ম্যানেজের মধ্যে চলে আসবে। এছাড়া এলাকা পাড়া-মহল্লাতো ম্যানেজ আছেই। তবে গুলশান থানার ওসি থেকে শুরু করে সবাই নতুন এবং তাদের ম্যনেজ করে ফেলেছি। আমাদের এসব ব্যবসা বন্ধ করতে পারবেনা। সব মিলিয়ে আমার মোটামুটি ভালই রয়েছি।

এদিকে আমজাদ হোসেন নামের এক সাধারন জনগন বলেন, ভাই কি আর বলবো গুলশানে নারী চক্র ভরে গেছে। ঠিকঠাকমত চলাফেরা করতে পারছি না। এইতো কিছুদিন আগেও এসব নারী ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে গুলশান-১ এ ছাত্র সমাজ মানববন্ধন করে এদের বিরুদ্ধে। তবুও থেমে নেই তারা। (চলবে)