Dhaka ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুলিশ সাংবাদিকদের বাড়ছে দুরত্ব, হোয়াটসএ্যাপে অভিযোগ

গুলশানে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে স্পা সেন্টারের নামে চলছে ইভা-পায়েলের যত অপকর্ম!

  • সংবাদ দিগন্ত :
  • Update Time : ১০:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২১৪ Time View

রাজধানীর গুলশানে স্পা সেন্টার ঘিরে চলছে মাদক ও নারী সিন্ডিকেট। যতই দিন যাচ্ছে ততই গুলশানের সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আর এসব চলে পুলিশের নাকের ডগায়। জানা গছে, আ.লীগ স্বৈারাচর সরকারের সময় এসব অবৈধ স্পা সেন্টার গড়ে ওঠে। তৎকালীন সময়ে তারা আ.লীগের নেতাকর্মীদের পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপটে দেধারছে চালিয়ে আসছিল বিভিন্ন অপকর্ম এবং স্বৈরাচারী সকর পতন হওয়ার পর আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে চলে তাদের যথারিতি তালবাহানা। হয়ত পুলিশ ভুলে গেছে তাদের সেই দিনগুলোর কথা। পুলিশ বাহিনীকে যতই সংস্কার করা হোক তাদের লোভ লালশতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ব্যবসায়ীদের যারা লঅলন পালন করেন তাদের মনে হয় সামাজিক বলতে কিছুই নেই। অর্থের কাছে সামাজিক ভারশম্যও বিক্রি হয়ে গেছে পুরোদমে।
সুত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে যারা এসব ব্যবসা করতেন তারা এখন ভোল পাল্টিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী বা অণ্যন্য রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচয় দিয়ে ইভা ও পায়েল নামের দুই ব্যক্তির গুলশান এলাকায় স্পা সেন্টারের আড়ালে তাদের নারী ও মাদক সিন্ডিকেটের তৎপরতা দিন দিন ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। আরো জানা তথ্যমতে জানা গেছে, বিগত ফ্যাসিষ্ট ও স্বৈরাচারী আ.লীগের সরকারের পরিচয়দানকারী পায়েল এর অধীনে রোড নং -২৪ বাড়ি নং ৯১/বি, বাড়িটির (২য় তলা) একটি প্রতিষ্ঠান ইভাকে চুক্তিভিক্তিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে ও সেই ১৩০ থাকা ইভা বিরুদ্ধে নারী ও মাদকসহ কিছুদিন আগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয় এবং তিনি কিছুদিন জেল ও খাটেন। বর্তমানে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে যথারিতি স্পা অড়ালে যৌনকর্মীদের পতিতা পল্লি হিসাবে গড়ে তুলেছেন উক্ত প্রতিষ্ঠান দুটি।
অণ্যদিকে রোড নং ৪৭, হাউজ নং- ২৫, (৫মতলা) অবস্থিত একাধিক মানব পাচার ও মাদক মামলার আসামী হাসানের স্ত্রী পায়েল। এসব স্পা সেন্টারের রাজধানীর আনাচে কানাচে পরে থাকা বিভিন্ন দালালচক্রের মাধ্যমে স্পা সেন্টারে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে যত অপকর্ম। এসব দালাল চক্রের বেপারোয়ায় অতিষ্ঠ সাধরন স্থানীয় জনসাধারন। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভবনের ফেøার ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তবে পায়েল বলেন, ভাই আমার ৪ রুমের ফ্ল্যাট এবং ব্যবসাও ভালো না। ডিসি ওসিকে পেমেন্ট দেওয়ার পর কিছুই থাকে না ও আমার ফ্ল্যাটটি নিজের কেনা বিধায় আমি কোনমতে টিকে আছি। তাছাড়া থানা কিংবা ডিসি পরিবর্তন হলেও কিছুদিন একটু ঝামেলা হয়। পরে অর্থের লোভে পরে সবাই ম্যানেজ হয়ে যায়। ডিএমপির কমিশনারের বিভিন্ন বক্ত্যব অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনীকে সক্ষ ভ‚মিকা রাখতে বলেন। কিন্তু তার বক্তব্য অনযায়ী যথাযথ পালনে গুলশান বিভাগের পুলিশ বাহিনী কোন কাজ করছেনা বলে তথ্যসূত্রে জানা গেছে। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্নই হচ্ছে ও জনসাধারন পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বাহিনী।
এদিকে এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা সব সময় দাবী করেন, অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
সম্প্রত্তি, অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব ব্যবসায় বিল্ডিং মালিক কিংবা ম্যানেজার অতিরিক্ত লোভ দেখিয়ে ভাড়া নিয়ে এসব ব্যবসা করে থাকেন। যার ফলে তারা নিরাবতা ভ‚মিকা পালন করে বিল্ডিং মালিকরা। এসব স্পা সেন্টারের ফ্লোরে দালালাচক্ররা নিয়মিত সুন্দরী নারী ও মাদক সাপ্লাই দিয়ে থাকেন যথারিতি। এছাড়া খদ্দের যোগানে সোসাল মিডিয়াতে বেশ প্রচার প্রচারনা রয়েছে তাদের। দালালচক্ররা সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে স্পা সেন্টার দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে যৌন বাণিজ্য করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে রাজধানীজুড়ে রয়েছে তার নারী সিন্ডিকেটের একটি দালাল চক্র। এমনকি তাদেরকে সুন্দরী নারী দিয়ে বø্যাকমেইলও করেন।
এবিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার ওসিকে হোয়াটসএ্যাপে জানালে তাদের নিকট কোন সৎ উত্তর পাওয়া যায়নি। এতে করে মনে হয় এসব বিষয়ে তারা পূর্বের থেকেই জানেন। গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত এমন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরলেও পুলিশ প্রসাশনের নিরাবতায় মনে হয় সন্ধেহভাজন। এতে করে পুলিশ সাংবাদিকের সাথে ক্রমেই দুরত্ব বাড়ছে এবং তাদের নিরাবতায় মনে হয় এসব ব্যবসায় তাদের হাত রয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পুলিশ সাংবাদিকদের বাড়ছে দুরত্ব, হোয়াটসএ্যাপে অভিযোগ

গুলশানে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে স্পা সেন্টারের নামে চলছে ইভা-পায়েলের যত অপকর্ম!

Update Time : ১০:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর গুলশানে স্পা সেন্টার ঘিরে চলছে মাদক ও নারী সিন্ডিকেট। যতই দিন যাচ্ছে ততই গুলশানের সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আর এসব চলে পুলিশের নাকের ডগায়। জানা গছে, আ.লীগ স্বৈারাচর সরকারের সময় এসব অবৈধ স্পা সেন্টার গড়ে ওঠে। তৎকালীন সময়ে তারা আ.লীগের নেতাকর্মীদের পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপটে দেধারছে চালিয়ে আসছিল বিভিন্ন অপকর্ম এবং স্বৈরাচারী সকর পতন হওয়ার পর আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে চলে তাদের যথারিতি তালবাহানা। হয়ত পুলিশ ভুলে গেছে তাদের সেই দিনগুলোর কথা। পুলিশ বাহিনীকে যতই সংস্কার করা হোক তাদের লোভ লালশতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ব্যবসায়ীদের যারা লঅলন পালন করেন তাদের মনে হয় সামাজিক বলতে কিছুই নেই। অর্থের কাছে সামাজিক ভারশম্যও বিক্রি হয়ে গেছে পুরোদমে।
সুত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে যারা এসব ব্যবসা করতেন তারা এখন ভোল পাল্টিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী বা অণ্যন্য রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচয় দিয়ে ইভা ও পায়েল নামের দুই ব্যক্তির গুলশান এলাকায় স্পা সেন্টারের আড়ালে তাদের নারী ও মাদক সিন্ডিকেটের তৎপরতা দিন দিন ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। আরো জানা তথ্যমতে জানা গেছে, বিগত ফ্যাসিষ্ট ও স্বৈরাচারী আ.লীগের সরকারের পরিচয়দানকারী পায়েল এর অধীনে রোড নং -২৪ বাড়ি নং ৯১/বি, বাড়িটির (২য় তলা) একটি প্রতিষ্ঠান ইভাকে চুক্তিভিক্তিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে ও সেই ১৩০ থাকা ইভা বিরুদ্ধে নারী ও মাদকসহ কিছুদিন আগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয় এবং তিনি কিছুদিন জেল ও খাটেন। বর্তমানে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে যথারিতি স্পা অড়ালে যৌনকর্মীদের পতিতা পল্লি হিসাবে গড়ে তুলেছেন উক্ত প্রতিষ্ঠান দুটি।
অণ্যদিকে রোড নং ৪৭, হাউজ নং- ২৫, (৫মতলা) অবস্থিত একাধিক মানব পাচার ও মাদক মামলার আসামী হাসানের স্ত্রী পায়েল। এসব স্পা সেন্টারের রাজধানীর আনাচে কানাচে পরে থাকা বিভিন্ন দালালচক্রের মাধ্যমে স্পা সেন্টারে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে যত অপকর্ম। এসব দালাল চক্রের বেপারোয়ায় অতিষ্ঠ সাধরন স্থানীয় জনসাধারন। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভবনের ফেøার ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তবে পায়েল বলেন, ভাই আমার ৪ রুমের ফ্ল্যাট এবং ব্যবসাও ভালো না। ডিসি ওসিকে পেমেন্ট দেওয়ার পর কিছুই থাকে না ও আমার ফ্ল্যাটটি নিজের কেনা বিধায় আমি কোনমতে টিকে আছি। তাছাড়া থানা কিংবা ডিসি পরিবর্তন হলেও কিছুদিন একটু ঝামেলা হয়। পরে অর্থের লোভে পরে সবাই ম্যানেজ হয়ে যায়। ডিএমপির কমিশনারের বিভিন্ন বক্ত্যব অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনীকে সক্ষ ভ‚মিকা রাখতে বলেন। কিন্তু তার বক্তব্য অনযায়ী যথাযথ পালনে গুলশান বিভাগের পুলিশ বাহিনী কোন কাজ করছেনা বলে তথ্যসূত্রে জানা গেছে। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্নই হচ্ছে ও জনসাধারন পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বাহিনী।
এদিকে এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা সব সময় দাবী করেন, অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
সম্প্রত্তি, অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব ব্যবসায় বিল্ডিং মালিক কিংবা ম্যানেজার অতিরিক্ত লোভ দেখিয়ে ভাড়া নিয়ে এসব ব্যবসা করে থাকেন। যার ফলে তারা নিরাবতা ভ‚মিকা পালন করে বিল্ডিং মালিকরা। এসব স্পা সেন্টারের ফ্লোরে দালালাচক্ররা নিয়মিত সুন্দরী নারী ও মাদক সাপ্লাই দিয়ে থাকেন যথারিতি। এছাড়া খদ্দের যোগানে সোসাল মিডিয়াতে বেশ প্রচার প্রচারনা রয়েছে তাদের। দালালচক্ররা সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে স্পা সেন্টার দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে যৌন বাণিজ্য করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে রাজধানীজুড়ে রয়েছে তার নারী সিন্ডিকেটের একটি দালাল চক্র। এমনকি তাদেরকে সুন্দরী নারী দিয়ে বø্যাকমেইলও করেন।
এবিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার ওসিকে হোয়াটসএ্যাপে জানালে তাদের নিকট কোন সৎ উত্তর পাওয়া যায়নি। এতে করে মনে হয় এসব বিষয়ে তারা পূর্বের থেকেই জানেন। গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত এমন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরলেও পুলিশ প্রসাশনের নিরাবতায় মনে হয় সন্ধেহভাজন। এতে করে পুলিশ সাংবাদিকের সাথে ক্রমেই দুরত্ব বাড়ছে এবং তাদের নিরাবতায় মনে হয় এসব ব্যবসায় তাদের হাত রয়েছে।